Surah Al A'raf Tafseer
Tafseer of Al-A'raf : 165
Saheeh International
And when they forgot that by which they had been reminded, We saved those who had forbidden evil and seized those who wronged, with a wretched punishment, because they were defiantly disobeying.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬৩-১৬৬ নং আয়াতের তাফসীরঃ
এ আয়াতে দাঊদ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের শনিবারের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন ও তাদের ওপর আপতিত আযাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
দাঊদ (আঃ) হলেন আল্লাহ তা‘আলার সেই বান্দা যাকে আদম (আঃ) নিজ বয়স থেকে ৪০ বছর দান করেছিলেন। (তিরমিযী, মিশকাত হা: ১৮৮, হাসান সহীহ)
দাঊদ (আঃ) সম্পর্কে কুরআনে নয়টি সূরার তেইশটি আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) আগমনের প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বেকার নাবী। (তাফসীরে মারেফুল কুরআন, পৃঃ ৯৯০) তিনি যেমন রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তেমনি দৈহিকভাবে শক্তিশালী ও ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান ছিলেন। তার নিম্নরূপ:
১. তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক ও দৈহিক শক্তিতে বলিয়ান।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِصْبِرْ عَلٰي مَا يَقُوْلُوْنَ وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاودَ ذَا الْأَيْدِ ج إِنَّه۫ أَوَّابٌ)
“তারা যা কিছু বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং স্মরণ কর আমার বান্দা দাঊদের কথা, যে ছিল খুব শক্তিশালী এবং সে ছিল অতিশয় আল্লাহ তা‘আলা অভিমুখী।” (সূরা সোয়াদ ৩৮:১৭)
২. পাহাড় ও পক্ষীকুল তার অনুগত ছিল। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَه۫ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ وَالطَّيْرَ مَحْشُوْرَةً ط كُلٌّ لَّه۫ أَوَّابٌ)
“আমি পাহাড়গুলোকে অনুগত করে দিয়েছিলাম, তার সাথে তারা সকাল-সন্ধ্যায় আমার তাসবীহ পাঠ করত এবং পাখীদেরকেও, যারা তার কাছে একত্র হত। সকলেই ছিল তাঁর অভিমুখী।” (সূরা সোয়াদ ৩৮:১৮-১৯)
৩. তিনি ছিলেন সুদৃঢ় সাম্রাজের অধিকারী, গভীর প্রজ্ঞাবান ও বাগ্মী।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَشَدَدْنَا مُلْكَه۫ وَاٰتَيْنٰهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ)
“আর আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম হিকমাত ও বিচার ফায়সালায় তীক্ষ্মবুদ্ধি।” (সূরা সোয়াদ ৩৮:২০)
এছাড়াও সূরা সোয়াদে তার সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।
শনিবারের ঘটনার সার-সংক্ষেপ: বানী ইসরাঈলদের জন্য শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট ও পবিত্র দিন। এ দিন তাদের জন্য মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। তারা সমুদ্রোপকুলের বাসিন্দা ছিল এবং মাছ শিকার ছিল তাদের পেশা।
এদের মধ্যে তিন শ্রেণির মানুষ ছিল:
একশ্রেণি: এরা প্রথমে গোপনে ও বিভিন্ন কৌশলে সমুদ্র সংলগ্ন স্থানে খাল খনন করে রাখত, ফলে শনিবার তাতে মাছ প্রবেশ করে আর বের হতে পারত না। আর শনিবার চলে গেলে শিকার করে নিত। পরে তারা প্রকাশ্যে শনিবারে মাছ শিকার করে। এদের ব্যাপারে সূরা বাক্বারার ৫৬-৬৬ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে:
দ্বিতীয় শ্রেণি: এরা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীদের বাধা প্রদান করে। বাধা না মানার কারণে তারা তাদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। এমনকি বাসস্থানও আলাদা করে ফেলে। এদের ব্যাপারে অত্র সূরার ১৬৪ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণি: তারা নিষেধকৃত কাজে জড়িত হয়নি আবার বারণও করেনি। এদেরকেও শাস্তি পাকড়াও করে। সুতরাং অপরাধ করা ও অপরাধ দেখে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও চুপ থাকা সমান অন্যায়। তাই যথাসম্ভব খারাপ কাজে বাধা দেয়া উচিত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দাঊদ (আঃ) ও তাঁর বৈশিষ্ট্য জানতে পারলাম।
২. দাঊদ (আঃ)-এর সম্প্রদায় পৃথিবীর অদ্বিতীয় শাস্তিপ্রাপ্ত জাতি।
৩. যারা অস্যৎ কাজ করে আর যারা তাদের অসৎ কাজে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাধা দেয় না, বরং নিরবতা অবলম্বন করে থাকে তারা সবাই একই বিধানের শামিল।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings