Surah An Naziat Tafseer
Tafseer of An-Nazi'at : 33
Saheeh International
As provision for you and your grazing livestock.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৭-৩৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর:
যারা পুনরুত্থানকে অস্বীকার করতঃ বলে : আমরা মারা গেলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব, কোন অস্তিত্ব থাকবে না, কিভাবে আবার সৃষ্টি করা সম্ভব? তাদের এরূপ চিন্তাধারাকে খণ্ডন করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: সৃষ্টিগতভাবে তোমরা অধিক মজবুত না আকাশ? না, বরং আকাশ সৃষ্টিগতভাবে তোমাদের চেয়ে অধিক মজবুত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَخَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ)
“মানব সৃজন অপেক্ষা আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি অবশ্যই অনেক বড় কাজ; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা জানে না।” (সূরা মু’মিন ৪০: ৫৭০)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন :
(أَوَلَيْسَ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ بِقٰدِرٍ عَلٰٓي أَنْ يَّخْلُقَ مِثْلَهُمْ ط بَلٰي ق وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيْمُ)
“আর যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি সক্ষম নন এদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে? হ্যাঁ তিনি মহান স্রষ্টা ও মহা জ্ঞানী।” (সূরা ইয়াসিন ৩৬ : ৮১)
অতএব আকাশ সৃষ্টি করার চেয়ে পুনরায় মানুষকে জীবিত করা আল্লাহ তা‘আলার নিকট অতি সহজ ব্যাপার।
بَنٰهَا এ অংশটুকুর তাফসীর হলো পরের আয়াত
(رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا)
অর্থাৎ তিনি অত্যন্ত উঁচু, প্রশস্ত ও সমতল করে আকাশ সৃষ্টি করেছেন। তারপর অন্ধকার রাতে চমকিত ও উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি ঐ আকাশের গায়ে বসিয়ে দিয়েছেন।
فَسَوَّاهَا বা সুবিন্যাস্ত করেছেন : অর্থাৎ তাকে এমন আকৃতি ও গঠন প্রদান করা, যাতে কোন প্রকার খুঁত, ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ফাটল থাকেনা।
أَغْطَشَ অর্থ : أظلم অর্থাৎ আঁধার করা, আর أَخْرَج অর্থ أبرز বা বের করা, প্রকাশ করা। আয়াতে نهارها এর স্থানে ضحاها ব্যবহার করা হয়েছে এ জন্য যে, চাশতের সময়টা খুবই উত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর ভাবার্থ হলো : দিনকে সূর্য দ্বারা উজ্জ্বল করেছেন।
دَحَاهَا অর্থাৎ জমিনকে বিস্তৃত করেছেন। এ আয়াত প্রমাণ করে যে, জমিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টি করার পর। এ আয়াত এবং
ثم استوي إلي السماء
এ আয়াতের মাঝে কোন বৈপরিত্য নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে জমিনকে অবিস্তৃত অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন, তারপর আকাশ সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর জমিনকে বিস্তৃত করেছেন। অনেক বিদ্বানগণ বলেছেন : এখানে بعد বা পরে শব্দটি مع বা সাথে অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ তিনি আকাশ, চন্দ্র, সূর্য, দিন ও রাত ইত্যাদি সৃষ্টি করার সাথে সাথে জমিনকে বিস্তৃত করেছেন। যেমন নিন্মোক্ত আয়াতগুলোতে بعد বা পরে শব্দটি مع বা সাথে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(عُتُلٍّۭ بَعْدَ ذٰلِکَ زَنِیْمٍ)
“কঠোর স্বভাবের তা সত্ত্বেও কুখ্যাত।” (সূরা কলাম ৬৮ : ১৩)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَلَقَدْ کَتَبْنَا فِی الزَّبُوْرِ مِنْۭ بَعْدِ الذِّکْرِ اَنَّ الْاَرْضَ یَرِثُھَا عِبَادِیَ الصّٰلِحُوْنَ)
“আমি অবশ্যই লাওহে মাহফুযে যা লেখার তা লেখার পর নাযিলকৃত আসমানী কিতাবে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মশীল বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হবে।” (সূরা আম্বিয়া ২১: ১০৫, ফাতহুল কাদীর)
(أَخْرَجَ مِنْهَا مَا۬ءَهَا.....)
হাফেয ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন : এ আয়াতটি পূর্বের আয়াতের তাফসীর।
أَرْسٰهَا অর্থাৎ পাহাড়গুলোকে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেছেন। আকাশ-জমিন, চন্দ্র-সূর্যকে বিস্তৃত করা, জমিনে পানির উৎস সৃষ্টি করা, দিন-রাতসহ সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষ ও পশুর ভোগের জন্য। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা এত সুন্দর করে আকাশ সৃষ্টি করলেন, তাকে সুবিন্যন্ত করলেন, তারকা দ্বারা সুসজ্জিত করলেন, দিন-রাত দিলেন, জমিন দিলেন, তা থেকে পানি উদ্গত করলেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। তাই আমাদের উচিত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই ইবাদত করা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন এবং এটা আল্লাহ তা‘আলার জন্য অত্যন্ত সহজ।
২. সব কিছু আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারার্থে আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য।
৩. আকাশ ও জমিনের সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings