Surah Al Qiyamah Tafseer
Tafseer of Al-Qiyamah : 40
Saheeh International
Is not that [Creator] Able to give life to the dead?
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৬-৪০ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
মানুষের মৃত্যু যখন কণ্ঠনালীতে পৌঁছে যাবে তখন তার যে ভয়ানক অবস্থা হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
التَّرَاقِيَ হল ترقوة এর বহুবচন, অর্থ : কণ্ঠমূল, কণ্ঠনালী। অর্থাৎ মৃত্যু যখন কণ্ঠনালীতে এসে পৌঁছে যাবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(فَلَوْلَآ إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُوْمَ وَأَنْتُمْ حِيْنَئِذٍ تَنْظُرُوْنَ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلٰكِنْ لَّا تُبْصِرُوْنَ)
“তবে কেন নয়- প্রাণ যখন কণ্ঠাগত হয়। এবং তখন তোমরা তাকিয়ে থাকবে। আর আমি তোমাদের অপেক্ষা (জানার দিক দিয়ে) তার নিকটতর; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।” (সূরা ওয়াকিয়া ৫৬ : ৮৩)
(وَقِيْلَ مَنْ رَاقٍ)
অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির নিকট উপস্থিত ব্যক্তিদের বলা হবে- কেউ কি আছো যারা ঝাড় ফুঁক করে একে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে? মূলত মানুষের অক্ষমতাকে এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। কেননা কোনক্রমেই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : বলা হবে- এ মৃত ব্যক্তির আত্মা কোন্ ফেরেশতা বহন করে নেবে? রহমতের ফেরেশতা না আযাবের ফেরেশতা?
(وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ)
এ থেকে মৃত্যুর সময় পদনালীর সাথে পদনালীর জড়িয়ে দেওয়াকে বুঝানো হয়েছে। অথবা এখানে কষ্টের পর কষ্ট হবে সে কথা বুঝোনো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় মতটি অধিক সঠিক।
(فَلَا صَدَّقَ.... فَأَوْلٰي)
এ সবই কাফিরদের বদগুণ। এদের সম্পর্কে সূরা মুতাফফিফীনে ও ইনশিক্বাকে আলোচনা করা হবে। ইনশা-আল্লাহ।
(أَنْ يُّتْرَكَ سُدًي)
অর্থাৎ মানুষকে অদেশ-নিষেধ দ্বারা পরীক্ষা করা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হবে? আখিরাতে কর্মের প্রতিদান দেওয়া হবে না? না, বরং সবকিছুর হিসাব-নিকাশ ও ফলাফল দেওয়ার জন্য সবাইকে একত্রিত করবেন। এখানে মানুষের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে একটু চিন্তা-ভাবনা করার নির্দেশ দিচ্ছেন যাতে তারা সতর্ক হয়ে যায়। মানুষের বিবেকও বলে, উপযুক্ত একটি বিচার-ফায়সালার দিন হওয়া দরকার। কারণ পৃথিবীতে সবল ও দুর্বল উভয় শ্রেণির মানুষ রয়েছে। যুগে যুগে সবলরা দুর্বলদের ওপর অত্যাচার ও অবিচার চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্বলরা কোন যথাযথ বিচার পাচ্ছে না।
পৃথিবীতে কেউ এসব সবলের বিচার করার ক্ষমতা রাখেনা। তাহলে কি এ সবলরা আজীবন অত্যাচার ও অন্যায় করেই যাবে? না, যারা দুর্বল ব্যক্তিদের ওপর অত্যাচার করছে যদিও পৃথিবীতে তাদের বিচার হয় না কিন্তু তাদের কর্মের উপযুক্ত বিচারের জন্য অবশ্যই একটি বিচারের দিন হওয়া দরকার। সেদিন হল কিয়ামতের দিন।
(أَلَيْسَ ذٰلِكَ بِقَادِرٍ)
হ্যাঁ আল্লাহ তা‘আলা মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম। এ সূরার শেষে بلي পড়ার বিধান সূরা মুরসালাতে আলোচনা হবে। সুতরাং যেহেতু পুনর্জীবিত হতে হবে সেহেতু পরপারের জন্য পাথেয় সাথে নিয়ে যাওয়া প্রতিটি বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির অবশ্য কর্তব্য। এ অকাট্য প্রত্যয় দীপ্ত উপসংহার দ্বারা মানুষের চেতনাকে পরিতৃপ্ত করা এবং মানুষের জন্ম রহস্য ও তার ব্যাপারে মহান আল্লাহর অতুলনীয় দক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার তথ্য উদ্ঘাটনের মধ্য দিয়ে সূরাটির সমাপ্তি টানা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. মৃত্যুর সময় মানুষ খুব যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়।
২. যারা মিথ্যুক ও আখিরাতে অবিশ্বাসী তাদের জন্য উভয় জগতে দুর্ভোগ।
৩. মানুষকে পরীক্ষা করা ছাড়াই এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে না।
৪. আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই সব মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings