Surah Al Qiyamah Tafseer
Tafseer of Al-Qiyamah : 19
Saheeh International
Then upon Us is its clarification [to you].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬-২৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
শানে নুযূল :
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যখন ওয়াহী নাযিল করা হত তখন তা মুখস্থ করার জন্য তিনি তাড়াতাড়ি পড়তেন। তখন এ আয়াত
(لاَ تُحَرِّكْ بِه۪ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِه۪)
অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা. ৪৯২৭, সহীহ মুসলিম হা. ৪৪৮)
কুরআন নাযিল সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্বভার আল্লাহ তা‘আলা গ্রহণ করেছেন। ওয়াহী প্রেরণ থেকে শুরু করে নির্ভূলভাবে তা সংরক্ষণ, সংকলন ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পর্যন্ত সব কিছুই তাঁর প্রত্যক্ষ দায়িত্বের আওতাধীন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَه۫ لَحٰفِظُوْنَ)
“নিশ্চয়ই আমিই এ কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমিই তার সংরক্ষক।” (সূরা হিজর ১৫ : ৯)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(لَّا یَاْتِیْھِ الْبَاطِلُ مِنْۭ بَیْنِ یَدَیْھِ وَلَا مِنْ خَلْفِھ۪ﺚ تَنْزِیْلٌ مِّنْ حَکِیْمٍ حَمِیْدٍ)
“কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করবে না- অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাবান, প্রশংসনীয় আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ।” (সূরা হা-মীম সিজদাহ ৪১ : ৪২)
(وُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ - إِلٰي رَبِّهَا نَاظِرَةٌ)
‘কোন কোন মুখমণ্ডল সেদিন উজ্জ্বল হবে, তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।’ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
أَتُضَامُونَ فِي رُؤْيَةِ القَمَرِ لَيْلَةَ البَدْرِ، وَتُضَامُونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ ؟ قَالُوا : لَا، قَالَ : فَإِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ القَمَرَ لَيْلَةَ البَدْرِ لَا تُضَامُونَ فِي رُؤْيَتِهِ
তোমাদের কি পূর্ণিমার রাতে চাঁদ ও দিনের বেলা সূর্যকে দেখতে কোন সমস্যা হয়? তারা বলল : না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : পূর্ণিমার রাতে চাঁদকে দেখতে তোমাদের যেমন কোন সমস্যা হয় না তেমনি তোমরা তোমাদের প্রভুকে দেখতে পাবে। (তিরমিযী হা. ২৫৫৪, সহীহ) মু’মিনরা কিয়ামতের দিন এবং জান্নাতে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে। এ সম্পর্কে পূর্বের সূরাগুলোতে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَوُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍۭ بَاسِرَةٌ)
অর্থাৎ সেদিন কাফিরদের চেহারা হবে বিবর্ণ, চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে যাবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন :
(وَوُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ أُولٰ۬ئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ)
“এবং কতক মুখমন্ডল হবে সেদিন ধূলি মিশ্রিত। সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে কালো বর্ণ। তারাই কাফির ও পাপাচারী।” (সূরা আবাসা ৮০ : ৪০-৪২)
সুতরাং কুরআন আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেছেন এবং তিনিই তা সংরক্ষণ করবেন। এ ব্যাপারে কোন অসৎ উদ্দেশ্যকারীর উদ্দেশ্য সাধিত হবে না। আর মু’মিনরা আল্লাহ তা‘আলাকে কিয়ামতের দিন দেখতে পাবে, এতে কোন সংশয় নেই। কিন্তু কিভাবে দেখবে তা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের সকল প্রকার পরিবর্তন-পরিবর্ধন থেকে সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।
২. অধিকাংশ মানুষের আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার প্রতি অধিক মোহ রয়েছে।
৩. আখিরাতে মু’মিনরা আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে, ফলে তাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে। আর কাফিরদের চেহারা হয়ে যাবে বিবর্ণ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings