Surah Al Muddathir Tafseer
Tafseer of Al-Muddaththir : 18
Saheeh International
Indeed, he thought and deliberated.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১-৩০ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
শানে নুযূল :
এ আয়াতগুলো নরাধম ওয়ালিদ বিন মুগীরাহ-এর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। সে ছিল আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের চরম শত্র“। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এমন তিরস্কার করলেন যা অন্য কাউকে করেননি। যারা সত্যের বিরোধিতা করে তাদের জন্য দুনিয়াতে এরূপ লাঞ্ছনা আর আখিরাতে রয়েছে মহাশাস্তি। (তাফসীর সা‘দী)
(خَلَقْتُ وَحِيْدًا)
অর্থাৎ নিঃসঙ্গ করে সৃষ্টি করেছি। সে যখন মায়ের পেট থেকে বের হয় তখন তার কোন সম্পদ ছিলনা, কোন পরিবার ছিল না এবং কোন প্রকার আত্মীয়-স্বজন ছিল না। তারপর তার অনেক সম্পদ দান করেছি, সন্তান দান করেছি। কেউ বলেছেন ওয়ালিদ বিন মুগীরাহর সাত জন ছেলে ছিল, কেউ বলেছেন বার জন ছিল। তাদের তিনজন ইসলাম কবূল করেছেন। তারা হলেন খালেদ, হিশাম এবং ওয়ালিদ বিন ওয়ালিদ। (ফাতহুল কাদীর)
شُهُوْدًا অর্থাৎ ওয়ালিদের ছেলেরা সর্বদা তার কাছে উপস্থিত থাকত। ছেলেদের দ্বারা সে উপকার নিত, প্রয়োজন মেটাতো ও সহযোগিতা নিত।
(ثُمَّ يَطْمَعُ أَنْ أَزِيْدَ)
অর্থাৎ এসব নেয়ামত পাওয়ার পরেও সে আশা করে আরো নেয়ামত পাওয়ার জন্য যেমন দুনিয়ার নেয়ামত পেয়েছে।
كَـلَّا কখনো এরূপ পাবেনা। কারণ সে আমার নিদর্শনাবলীর বিরোধিতা করে।
عَنِيْد বলা হয় সেই ব্যক্তিকে যে জানার পরেও সত্যের বিরোধিতা করে ও প্রত্যাখ্যান করে।
(سَأُرْهِقُه۫ صَعُوْدًا)
অর্থাৎ এমন আযাবে পতিত করব যা সহ্য করা খুবই কঠিন হবে।
إرهاق অর্থ হল : মানুষের ওপর কোন ভারী জিনিস চাপিয়ে দেওয়া। (ফাতহুল কাদীর)
(إِنَّه۫ فَكَّرَ وَقَدَّرَ)
অর্থাৎ কুরআন এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা শুনে সে এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করল যে, আমি এর উত্তর কী দেব? মনে মনে সে উত্তর প্রস্তুত করল।
(ثُمَّ نَظَرَ) অর্থাৎ সে যা বলছে তা চিন্তা করে দেখে।
(سِحْرٌ يُّؤْثَرُ)
অর্থাৎ এটা একটা জাদু, যা মুহাম্মাদ অপরের কাছ থেকে শিখেছে। তাই এটা মানুষের তৈরি কথা, আল্লাহ তা‘আলার কথা নয়।
سَقَرَ আল্লাহ তা‘আলা বলছেন : তিনি তাকে সাকার নামক জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। পরের আয়াতে সাকার জাহান্নামের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেন :
((لَا تُبْقِيْ وَلَا تَذَرُ
অর্থাৎ সাকারের শাস্তি এত মারাত্মক কঠিন যে, শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির গায়ে গোশত ও হাড় কিছু বাকি রাখেনা, সব একাকার করে দেয়। এবং শরীরের চামড়া পুড়িয়ে দেয়।
(عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ)
জাহান্নামের প্রহরী ঊনিশজন। যখন জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাদের কথা আল্লাহ তা‘আলা ঊনিশজন বলে উল্লেখ করলেন তখন আবূ জাহল কুরাইশদেরকে সম্বোধন করে বলল : তোমাদের থেকে প্রত্যেকে দশজনের একটি দল এক এক জন ফেরেশতার জন্য যথেষ্ট নও কি? কেউ বলেন : কাতাদাহ নামক এক ব্যক্তি (যে নিজ শক্তির ব্যাপারে বড়ই অহংকারী ছিল) সে বলল : তোমরা কেবল দু’জন ফেরেশতাকে সামলে নিও, বাকী সতের জন ফেরেশতার জন্য আমি একাই যথেষ্ট। বলা হয়, এ লোকই কয়েকবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুস্তি লড়াই করার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিল। অথচ প্রত্যেকবারেই সে হার মেনেছে। কিন্তু ঈমান আনেনি।
সুতরাং যুগে যুগে যারাই ইসলামের ও মুসলিমদের বিরোধিতা করেছে, মুসলিমদেরকে ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত করেছে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে এভাবেই শাস্তি দিয়েছেন আর আখিরাতে তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. অনেক ক্ষেত্রে সন্তান ও সম্পদ অবাধ্যতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে যাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা রহম করেন তারা ব্যতীত।
২. যারা আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনের বিদ্রোহ করে তারা সবচেয়ে বড় কাফির।
৩. যারাই আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলদের অবাধ্য হয়েছে তারাই দুনিয়াতে লাঞ্ছিত হয়েছে। তাদের জন্য আখিরাতে আছে মহা শাস্তি।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings