Surah Al Ma'arij Tafseer
Tafseer of Al-Ma'arij : 7
Saheeh International
But We see it [as] near.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১-৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
سَأَلَ سَآئِلٌ (একজন জিজ্ঞাসকারী) এ জিজ্ঞাসকারী কে তা নিয়ে ইমাম শাওকানী (রহঃ) কয়েকটি মত নিয়ে এসেছেন। মতগুলোর মধ্যে সঠিক কথা হচ্ছে : সে নজর বিন হারেস। সে বলল : যে আযাব আমাদের ওপর আসার কথা তা আসুক। আল্লাহ তা‘আলা তার কথা তুলে ধরে বলেন :
وَإِذْ قَالُوا اللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ هٰذَا هُوَ الْحَقَّ مِنْ عِنْدِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْنَا حِجَارَةً مِّنَ السَّمَا۬ءِ أَوِ ائْتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيْمٍ
“স্মরণ কর! যখন তারা বলছিল, ‘হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার পক্ষ হতে সত্য হয়, তবে আমাদের ওপর আকাশ হতে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দাও।” (সূরা আনফাল ৮ : ৩২) এ লোকটি বদরের দিন বাধা অবস্থায় নিহত হয়েছে।
لَيْسَ لَه دَافِعٌ
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যখন কাফিরদের ওপর আযাব দিতে চাইবেন তখন তা কেউ ঠেকাতে পারবে না। তা অবশ্যই ঘটবে। অতএব যে আযাব দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পাকড়াও করবেন তা হতে পারে দুনিয়াতেই অথবা আখিরাতে। (তাফসীর সা‘দী)
যেমন দুনিয়াতে বদরের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করলেন।
(تَعْرُجُ الْمَلٰ۬ئِكَةُ وَالرُّوْحُ)
মহান আল্লাহ যার দিকে ফেরেশতারা ঊর্ধ্বগামী হয় এবং রূহ ঊর্ধ্বগামী হয়। এখানে الرُّوْحُ রূহ বলতে মানুষের আত্মা হতে পারে অথবা জিবরীল (আঃ) হতে পারেন। (ইবনু কাসীর)।
এ আয়াত প্রমাণ করছে আল্লাহ তা‘আলা সসত্ত্বায় সর্বত্র বিরাজমান নন। তিনি যদি সর্বত্র বিরাজমান হতেন তাহলে ফেরেশতাসহ রূহের ঊর্ধ্বগামী হওয়ার কোনই প্রয়োজন ছিল না। যেখানে সেখানে আল্লাহ তা‘আলাকে পাওয়া যেত। (শারহু আকীদাহ ওয়াসিতিয়া)
كَانَ مِقْدَارُه خَمْسِيْنَ أَلْفَ سَنَةٍ
আল্লামা ইবনু কাসীর (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে চারটি কথা তুলে ধরেছেন। যথা-
১. ৫০ হাজার বছরের সমপরিমাপ দ্বারা আরশে আযীম থেকে সপ্ত জমিন (পাতাল) পর্যন্ত যে দূরত্ব তার পরিমাপ বুঝোনো হয়েছে। সাত জমিনের এক জমিন থেকে অন্য জমিনের দূরত্ব ৫০০ বছরের সমান, আর প্রত্যেক জমিনের পূরুত্ব ৫০০ বছরের দূরত্বের সমান। এখানে মোট দূরত্ব হল : ৭০০০ বছরের দূরত্ব। আবার প্রত্যেক আকাশের পূরুত্ব ৫০০ বছরের দূরত্বের সমান। এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব ৫০০ বছরের দূরের সমান। এখানে মোট দূরত্ব ৭০০০ বছরের সমান। আর সাত আকাশ ও আরশের মাঝে দূরত্ব ৩৬ হাজার বছরের দূরত্বের সমান। তাহলে মোট দূরত্ব (৭০০০+৭০০০+৩৬০০০)=৫০০০০ বছরের দূরত্ব।
২. এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল : পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা থেকে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মোট পৃথিবীর বয়স।
৩. এর দ্বারা উদ্দেশ্য দুনিয়া ও আখিরাতের পার্থক্যসূচক একটি দিনের পরিমাপ।
৪. এটা হল কিয়ামতের দিনের পরিমাপ। অর্থাৎ কাফিরদের ওপর হিসাবের এ দিনটি ৫০ হাজার বছরের মত বড় মনে হবে। কিন্তু মুমিনের জন্য এক ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায় করার চেয়েও কম সময় মনে হবে। ইবনু কাসীর (রহঃ) চতুর্থ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ এর সমর্থনে হাদীস রয়েছে যাতে বলা হয়েছে : কিয়ামতের দিন তোমাদের গণনানুযায়ী ৫০ হাজার বছরের সমান হবে। (সহীহ মুসলিম হা. ২৬, অধ্যায়/৯৮৭)
(فَاصْبِرْ صَبْرًا)
অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তুমি ধৈর্য ধর তাদের কথায় মনক্ষুণœ হয়ো না। যদিও তারা মনে করছে কিয়ামত অনেক দূরে কিন্তু আমার কাছে তা অনেক নিকটে। অতএব অচিরেই তাদেরকে শাস্তিতে নিপতিত করব।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে। এর ওপর ঈমান আনতে হবে।
২. আল্লাহ তা‘আলা সপ্ত আকাশের ওপরস্থিত আরশে আজীমে সমুন্নত আছেন। স্বসত্ত্বায় সর্বত্র বিরাজমান নন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings