Surah Al Ma'arij Tafseer
Tafseer of Al-Ma'arij : 11
Saheeh International
They will be shown each other. The criminal will wish that he could be ransomed from the punishment of that Day by his children
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮-৩৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
(یَوْمَ تَکُوْنُ السَّمَا۬ئُ کَالْمُھْلِ... وَجَمَعَ فَاَوْعٰی)
এ আয়াতগুলোতে কিয়ামতের পূর্বে আকাশ-জমিন ও উভয়ের মধ্যস্থিত বস্তুর যে অবস্থা হবে তার বিবরণ এবং অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য সন্তান, স্ত্রী, ভাই এমনকি পৃথিবীর সব কিছু দিতে প্রস্তুত থাকবে কিন্তু তার বিনিময়েও শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না সে বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
الْمُهْل অর্থ : ইবনু আব্বাস (রাঃ)-সহ প্রসিদ্ধ মুফাসসিরগণ বলেছেন :
دردي الزيت
বা তেল গলানোর পর নিচে যে সরিষার আঁশ/বস্তু (খইল) পড়ে থাকে তাই হল دردى الزيت। কিয়ামতের দিন আকাশ এরূপ হয়ে যাবে।
الْعِهْن ঘরের ভেতর ছিদ্র দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করলে আলোতে যে ধূলিকণা উড়তে দেখা যায় তাই-ই হল الْعِهْن। কিয়ামতের দিন পাহাড়সমূহ এরূপ হয়ে যাবে। حَمِيْمٌ বলা হয় অন্তরঙ্গ বন্ধুকে।
يُّبَصَّرُوْنَهُمْ
অর্থাৎ যদিও একজন অন্যজনকে প্রত্যক্ষ করতে পারবে কিন্তু সবাই নিজ চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করবে না।
ثُمَّ يُنْجِيْهِ অর্থাৎ দুনিয়াতে স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, ধন-সম্পদ ইত্যাদি তার কত প্রিয় ছিল কিন্তু আখিরাতে এ সবের কোন মূল্যই থাকবে না। এ সব কিছূু দিয়ে হলেও সে বাঁচতে চাইবে। কিন্তু সে কখনো বাঁচতে পারবে না।
فَصِيْلَتِهِ অর্থ : গোষ্ঠি, জাতি।
لَظٰي হল জাহান্নামের একটি নাম। এ অংশের প্রখরতা খুব বেশি, ফলে চামড়া পুুড়ে শরীর থেকে খসে যাবে।
(تَدْعُوْا مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلّٰي)
অর্থাৎ জাহান্নাম তাকে ডাকবে সত্য দীন গ্রহণ করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে বলে।
(وَجَمَعَ فَأَوْعٰي)
অর্থাৎ সম্পদ জমা করে রাখত যাকাত দিত না-এমনসব ব্যক্তিদের জন্য জাহান্নামের এরূপ শাস্তি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এমন অবস্থা থেকে মুক্তি দান করুন। আমীন!
(اِنَّ الْاِنْسَانَ خُلِقَ ھَلُوْعًا... اُولٰ۬ئِکَ فِیْ جَنّٰتٍ مُّکْرَمُوْنَ)
এখানে মানুষের চিরাচরিত একটি স্বভাবের কথা আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন হা-হুতাশ করে আর যখন কোন নেয়ামত পায় তথা ধন-সম্পদ বা শারীরিক সুস্থতা ইত্যাদি তখন কৃপণতা করে আল্লাহ তা‘আলার হক যথাযথ আদায় করে না, তবে যারা সৎ বান্দা তারা ব্যতীত।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
্রشَرُّ مَا فِي رَجُلٍ شُحٌّ هَالِعٌ وَجُبْنٌ خَالِعٌগ্ধ
মানুষের মাঝে নিকৃষ্টতম স্বভাব হলো অত্যন্ত কৃপণতা ও চরম কাপুরুষতা। (আবূ দাঊদ : ২৫১৩, সিলসিলা সহীহাহ : ৫৬০)
পরের আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের গুণাবলী উল্লেখ করেছেন। এ সম্পর্কে সূরা মু’মিনূনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. কিয়ামতের পূর্বে আকাশ-জমিনের ভয়াবহ অবস্থা হবে।
২. মানুষ সেদিন সব কিছুর বিনিময়ে হলেও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে কিন্তু সক্ষম হবে না।
৩. জাহান্নাম যাদেরকে ডাকবে তাদের পরিচয় জানলাম।
৪. সুখ-সাচ্ছন্দ্যে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করা এবং দুঃখ-বেদনায় ধৈর্য ধারণ করা উচিত। সুখ-শান্তি পেয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ভুলে গিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা উচিত নয়।
৫. প্রকৃত মু’মিনরা সালাত ও লজ্জাস্থান হেফাজত করে ও সম্পদের হকের কথা ভুলে যায় না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings