Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 9
Saheeh International
And if We had made him an angel, We would have made him [appear as] a man, and We would have covered them with that in which they cover themselves.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭-১১ নং আয়াতের তাফসীর:
قِرْطَاسٌ যাতে লেখা হয়, খাতা, কাগজ ইত্যাদি। اسْتُهْزِئَ ঠাট্টা করা, ব্যঙ্গ করা।
অত্র আয়াতগুলোতে সত্য গ্রহণে অনাগ্রহী কাফির-মুশরিকদের অবাধ্যতা ও হঠকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা যদি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কাগজে লিখিত কিতাব দেন আর তারা তা স্পর্শ করতে পারে, তার পরেও তারা তা মানবে না বরং জাদু, ভেলকি এবং পূর্ববর্তীদের উপকথা বলে উড়িয়ে দেবে। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে বলেন:
(وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَابًا مِّنَ السَّمَا۬ءِ فَظَلُّوْا فِيْهِ يَعْرُجُوْنَ - لَقَالُوْآ إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُوْرُوْنَ)
“আমি যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার খুলে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে থাকে, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে; বরং আমরা এক জাদুগ্রস্ত সম্প্রদায়।’(সূরা হিজর ১৫:১৪-১৫)
তারা অবাধ্যতায় বশীভূত হয়ে আরো বলল: কেন তার সাথে কোন ফেরেশতা প্রেরণ করা হয়নি? আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যদি তার সাথে ফেরেশতা প্রেরণ করতাম তাহলে আযাব তাদেরকে গ্রাস করে নিত। আরবের মুশরিকরা জানত, মুহাম্মাদ আমাদের মত একজন মানুষ। যার কারণে ফেরেশতা প্রেরণের দাবী জানিয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَقَدْ مَنَّ اللّٰهُ عَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ إِذْ بَعَثَ فِيْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِه۪ وَيُزَكِّيْهِمْ)
“নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাসীগণের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের কাছে তাদের নিজেদেরই মধ্য হতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের নিকট তাঁর নিদর্শনাবলী (আয়াতসমূহ) পাঠ করেন এবং তাদেরকে পবিত্র করেন।”(সূরা আলি-ইমরান ৩:১৬৪)
অতএব যারা বিশ্বাস করে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নূরের তৈরি তাদের এ বিশ্বাস ভ্রান্ত, তা এ আয়াতটি প্রমাণ করে। আমরা সবাই জানি ও নির্দ্বিধায় স্বীকার করি মানুষ মাটির তৈরি আর ফেরেশতা নূরে তৈরি এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফেরেশতা নন বরং একজন মানুষ, তাও স্বীকার করি এবং মক্কার মুশরিকরাও স্বীকার করত, তাহলে মানুষ কি নূরের তৈরি হয়? এ সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে সামনেও হবে ইনশা-আল্লাহ।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলছেন তোমার পূর্বে অনেক রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছিল তাই তোমাকে নিয়ে যে ঠাট্টা করা হচ্ছে তাতে মনক্ষুণœ হবার কোন কারণ নেই।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে পূর্ববর্তী মিথ্যুকদের কী পরিণতি হয়েছিল তা থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য পৃথিবীতে ভ্রমণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। যেমন ‘আদ, সামুদ ও আইকাবাসী ইত্যাদি। সুতরাং পূর্বের অবাধ্য জাতিদের করুন পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সতর্ক হওয়া উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা সত্য গ্রহণে অনাগ্রহী তাদেরকে শত উপদেশ দিলে বা প্রমাণ দেখালেও কোন উপকারে আসবে না।
২. পূর্ববর্তী জাতির যারাই রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা করেছিল আযাব তাদেরকে গ্রাস করে নিয়েছে।
৩. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদম সন্তান, তিনি মানুষ, তিনি মাটির তৈরি, নূরের নন।
৪. শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভ্রমণ করা বৈধ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings