Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 75
Saheeh International
And thus did We show Abraham the realm of the heavens and the earth that he would be among the certain [in faith]
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭৪-৭৯ নং আয়াতের তাফসীর:
ইবরাহীম (আঃ) “উলুল আযম”বা দৃঢ় প্রত্যয়শীল রাসূলদের একজন, কিন্তু তাঁর পিতা একজন মুশরিক। পিতাকে তিনি খুব শ্রদ্ধা ও নরম ভাষায় তাওহীদের দাওয়াত দিচ্ছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاذْکُرْ فِی الْکِتٰبِ اِبْرٰھِیْمَﹽ اِنَّھ۫ کَانَ صِدِّیْقًا نَّبِیًّاﭸ اِذْ قَالَ لِاَبِیْھِ یٰٓاَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا یَسْمَعُ وَلَا یُبْصِرُ وَلَا یُغْنِیْ عَنْکَ شَیْئًاﭹ یٰٓاَبَتِ اِنِّیْ قَدْ جَا۬ءَنِیْ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ یَاْتِکَ فَاتَّبِعْنِیْٓ اَھْدِکَ صِرَاطًا سَوِیًّاﭺ یٰٓاَبَتِ لَا تَعْبُدِ الشَّیْطٰنَﺚ اِنَّ الشَّیْطٰنَ کَانَ لِلرَّحْمٰنِ عَصِیًّاﭻ یٰٓاَبَتِ اِنِّیْٓ اَخَافُ اَنْ یَّمَسَّکَ عَذَابٌ مِّنَ الرَّحْمٰنِ فَتَکُوْنَ لِلشَّیْطٰنِ وَلِیًّاﭼ قَالَ اَرَاغِبٌ اَنْتَ عَنْ اٰلِھَتِیْ یٰٓاِبْرٰھِیْمُﺆ لَئِنْ لَّمْ تَنْتَھِ لَاَرْجُمَنَّکَ وَاھْجُرْنِیْ مَلِیًّاﭽ)
“স্মরণ কর, এ কিতাবে উল্লিখিত ইব্রাহীমের কথা; সে ছিল সত্যনিষ্ঠ একজন নাবী। যখন তার পিতাকে বলেছিল: হে আমার পিতা! তুমি কেন এমন বস্তুর ইবাদত কর যা শোনে না, দেখে না আর তোমার কোন কাজে আসে না। যখন সে তার পিতাকে বলল: ‘হে আমার পিতা! আমার নিকট এসেছে জ্ঞান যা তোমার নিকট আসেনি; সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাব। হে আমার পিতা! শয়তানের ইবাদত কর না, নিশ্চয়ই শয়তান দয়ালু আল্লাহর অবাধ্য। ‘হে আমার পিতা! আমি আশংকা করি যে, তোমাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করবে, তখন তুমি হয়ে পড়বে শয়তানের বন্ধু।’ পিতা বলল: ‘হে ইব্রাহীম! তুমি কি আমার দেব-দেবী হতে বিমুখ? যদি তুমি নিবৃত্ত না হও তবে আমি প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করবই; তুমি চিরদিনের জন্য আমার নিকট হতে দূর হয়ে যাও।’(সূরা মারইয়াম ১৯:৪১-৪৬)
(مَلَكُوْتَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ)
‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালনা ব্যবস্থা’অর্থাৎ আমি ইবরাহীমকে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি অবলোকন করিয়েছি এবং তার দৃষ্টিতে এই দলীল কায়েম করেছি যে, কিতাবে আল্লাহ তা‘আলার এককত্বের ওপর জমিন ও আসমান সৃষ্টির ভিত্তি স্থাপিত রয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূদ নেই এবং তিনি ছাড়া কোন প্রতিপালক নেই। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلِ انْظُرُوْا مَاذَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ)
“বল: ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার প্রতি তোমরা লক্ষ কর।”(সূরা ইউনুস ১০:১০১)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(أَفَلَمْ يَرَوْا إِلٰي مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ مِّنَ السَّمَا۬ءِ وَالْأَرْضِ ط إِنْ نَّشَأْ نَخْسِفْ بِهِمُ الْأَرْضَ أَوْ نُسْقِطْ عَلَيْهِمْ كِسَفًا مِّنَ السَّمَا۬ءِ ط إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيْبٍ)
“তবে কি তারা তাদের সামনে ও তাদের পিছনে যে আকাশ ও পৃথিবী রয়েছে তার প্রতি লক্ষ করে না? আমি যদি ইচ্ছা করি তবে তাদেরসহ পৃথিবীকে ধসিয়ে দিতে পারি অথবা তাদের ওপর আকাশের খণ্ডসমূহ পতিত করতে পারি। নিশ্চয়ই এতে রয়েছে আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য দৃষ্টান্ত।”(সূরা সাবা ৩৪:৯)
অতঃপর ইবরাহীম (আঃ)-এর রবের পরিচয় লাভের ঘটনা তুলে ধরেছেন। যখন তিনি প্রকৃত মা‘বূদ চিনতে পারেননি তখন বিভিন্ন মাখলুককে রব মনে করেছিলেন তারপর আল্লাহ তা‘আলার কৃপায় সঠিক মা‘বূদকে চিনতে সক্ষম হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَا تَسْجُدُوْا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِيْ خَلَقَهُنَّ)
“তোমরা সূর্যকে সিজদা কর না, চন্দ্রকেও নয়; সিজদা কর আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন।”(সূরা হা-মীম সিজদাহ ৪১:৩৭)
সুতরাং একজন মানুষ না জেনে ইবাদত করবে তা ইসলামের নির্দেশ নয় বরং প্রথমে জানবে বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলার হক কী, কিভাবে সে হক আদায় করতে হবে, তারপর ইবাদত করবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. শির্ক ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা, যদিও নিকটাত্মীয় হয়।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন, তবে আল্লাহ তা‘আলার কাছে হিদায়াত চাইতে হবে।
৩. সৃষ্ট বস্তু দ্বারা স্রষ্টাকে চেনা যায়।
৪. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ধারাবাহিক রীতি অবলম্বন করা উত্তম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings