Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 72
Saheeh International
And to establish prayer and fear Him." And it is He to whom you will be gathered.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭০-৭৩ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা দীনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা এখানে নির্দেশ দিয়েছেন এবং কুরআন দ্বারা উপদেশ দিতে বলেছেন।
অতএব যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দীন নিয়ে এসেছেন তার কোন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করবে, অথবা আল্লাহ তা‘আলা আনুগত্যশীলদের জন্য যে প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন তা নিয়ে ঠাট্টা করবে, অথবা অবাধ্য ও কাফিরদের জন্য যে শাস্তি তৈরি করে রেখেছেন তা নিয়ে ঠাট্টা করবে, সে ব্যক্তি কাফির বলে গণ্য হবে।
যারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য মা‘বূদদেরকে আহ্বান করে তারা কোন প্রকার উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতা রাখে না। সকল ভাল-মন্দের ক্ষমতার উৎস একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, যা তাঁর রুবুবিয়্যাহ বা প্রভুত্যের প্রমাণ বহন করে।
যারা ঈমান আনার পর আবার মুশরিক বা কাফির হয়ে যায় তাদের উদাহরণ হল- এক ব্যক্তি তার সেই সাথীদের সঙ্গ ছাড়া হয়ে যায় যারা সোজা ও সঠিক পথে যাচ্ছিল। আর সঙ্গচ্যুত হয়ে এই ব্যক্তি বনে জঙ্গলে চঞ্চল ও অস্থির অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়। এদিকে তার সাথীরা তাকে ডাকে, কিন্তু চাঞ্চল্যের কারণে সে কিছুই শুনতে পায় না। অথবা শয়তান জিনদের বেড়াজালে পড়ার কারণে পথের দিকে ফিরে আসা তার পক্ষে সম্ভব হয় না।
(إِنَّ هُدَي اللّٰهِ هُوَ الْهُدٰي)
‘আল্লাহর হিদায়াতই হচ্ছে সত্যিকার হিদায়াত’অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জবানে আল্লাহ তা‘আলা যে শরীয়ত প্রদান করেছেন তা ব্যতীত হিদায়াতের অন্য কোন সঠিক পথ নেই।
(وَأُمِرْنَا لِنُسْلِمَ لِرَبِّ الْعٰلَمِيْنَ)
‘আমরা আদিষ্ট হয়েছি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করতে।’অর্থাৎ আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যেন আমরা আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ ও আদেশ-নিষেধের সামনে আত্মসমর্পণ করি। (তাফসীর সা‘দী পৃঃ ২৫৫)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় নিজের রুবুবিয়্যাতের কথা বলেন যে, তিনিই আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন আবার তিনি সব ধ্বংস করে কিয়ামতের দিন বলবেন ‘হয়ে যাও’সাথে সাথে হয়ে যাবে। যে দিনের কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার হাতে থাকবে। তিনি বলেন:
(اَلْمُلْكُ يَوْمَئِذِ نِالْحَقُّ لِلرَّحْمٰنِ ط وَكَانَ يَوْمًا عَلَي الْكٰفِرِيْنَ عَسِيْرًا)
“সে দিন প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে দয়াময়ের এবং কাফিরদের জন্য সে দিন হবে কঠিন।”(সূরা ফুরকান ২৫:২৬)
(يَوْمَ يُنْفَخُ فِي الصُّوْرِ)
‘যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে’ ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন: এ আয়াতের ব্যাপারে মুফাসসিরগণের মতানৈক্য বিদ্যমান। তবে সঠিক কথা হল صور দ্বারা উদ্দেশ্য قرن বা শিং যাতে ইসরাফিল (আঃ) কিয়ামত সংঘঠিত হবার জন্য ফুঁ দেবেন। (ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৩১৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
إن إسرافيل قد التقم الصور وحني جبهته ينتظر متي يؤمر فينفخ
ইসরাফিল (আঃ) শিঙ্গা মুখে লাগিয়ে রয়েছেন। তিনি মাথা নীচু করে অপেক্ষমান রয়েছেন যে, কখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার হুকুম হয় তখন তিনি ফুঁ দেবেন। (তিরমিযী হা: ২৪৩১, আহমাদ ৩/৭২, ৭৩, হাসান)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যদের আহ্বান করে তাদের অবস্থা জানা গেল।
২. যারা মুশরিক ও কাফির তাদের পরিচয় জানতে পারলাম।
৩. কিয়ামতের পূর্বে শিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার জন্য ইসরাফিল (আঃ) প্রস্তুত হয়ে আছেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings