Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 56
Saheeh International
Say, "Indeed, I have been forbidden to worship those you invoke besides Allah ." Say, "I will not follow your desires, for I would then have gone astray, and I would not be of the [rightly] guided."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৬-৫৯ নং আয়াতের তাফসীর:
يَقُصُّ শব্দটির قصص শব্দ থেকে উৎপত্তি। অর্থাৎ
يقص قصص الحق
(সত্য কথা বর্ণনা করেন অথবা বলেন) কিংবা قص أثره (কারো পেছনে অনুসরণ করা) থেকে গৃহীত। অর্থাৎ
يتبع الحق فيما يحكم به
(নিজের ফায়সালার ব্যাপারে তিনি সত্যের অনুসরণ করেন।) (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলেন, যে সকল মুশরিক আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য মা‘বূদদের ডাকে তাদেরকে বলে দাও, আমাকে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা কোন প্রকার উপকার, ক্ষতি, জীবন-মরণের মালিক নয়। আর আমি তোমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করি না। যদি করি তাহলে আমি পথভ্রষ্ট।
(إِنِّيْ عَلٰي بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّيْ)
‘অবশ্যই আমি আমার প্রতিপালকের স্পষ্ট প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত’অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা আমার কাছে যে শরীয়ত ওয়াহী করেছেন তার ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান ও প্রমাণের ওপর আছি। আর তোমরা একে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছ।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যারা দ্রুত আযাব কামনা করে তাদেরকে বলে দাও, তোমরা দ্রুত যে আযাব চাচ্ছ তা আমার ক্ষমতাধীন নয়। যদি থাকত তাহলে আমার ও তোমাদের মাঝে ইচ্ছা অনুযায়ী আযাব দ্বারা ফায়সালা হয়ে যেত। যেহেতু এটা আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাধীন তাই তিনি যখন ইচ্ছা দেবেন। হাদীসে এসেছে: তায়েফবাসী দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আহত হলে পাহাড় নিয়ন্ত্রণকারী ফিরিশতা আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন: আপনি নির্দেশ দিলে আমি তায়েফের জনপদকে উভয় পাহাড়ের মধ্যস্থলে পিষে দেব। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: না, বরং আমি আশা করি আল্লাহ তা‘আলা এদেরই বংশ থেকে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতকারী সৃষ্টি করবেন; যারা তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। (সহীহ বুখারী হা: ৩২৩১)
(وَعِنْدَه۫ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ)
“গায়েবের সকল চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে”রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: গায়েবের চাবিকাঠি পাচঁটি যা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা জানেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ اللّٰهَ عِنْدَه۫ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ ج وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِيْ نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِيْ نَفْسٌۭ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوْتُ إِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ)
“নিশ্চয় আল্লাহরই কাছে রয়েছে কিয়ামাত সম্পর্কে জ্ঞান এবং তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর তিনিই জানেন যা কিছু আছে গর্ভাধারে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী আয় করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব খবর রাখেন।”(সূরা লুকমান ৩১:৩৪) সুতরাং আলেমুল গায়েব’ কেবল আল্লাহ তা‘আলা। (সহীহ বুখারী হা: ৮৬২৭)
(وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ)
‘স্থলে ও জলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত’অর্থাৎ স্থলে ও জলে যত কিছুর অস্তিত্ব আছে সব কিছু আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞানায়ত্বে কোন কিছু তাঁর জ্ঞানের বাইরে নয় এবং কোন কিছু তাঁর কাছে অস্পষ্ট নয়। এমনকি গাছের একটি পাতা কখন পড়ে কিভাবে পড়ে তাও তিনি জানেন।
(كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ)
সুস্পষ্ট কিতাব বলতে ‘লাওহে মাহফূয’-কে বুঝানো হয়েছে।
সুতরাং যে আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য, স্থল ও জলে যা কিছু আছে এবং হচ্ছে সব জানেন ও প্রত্যক্ষ করেন সে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা উচিত। তাঁর দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে কোন কাজ করার সুযোগ নেই।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা প্রবৃত্তির অনুসারী হয় তারাই বিপদগামী হয়।
২. ইসলামী শরীয়ত সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
৩. গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। কোন নাবী-রাসূলও নন। তবে ওয়াহীর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে যতটুকু জানান ততটুকু জানতে পারেন।
৪. আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু হয় সবই আল্লাহ তা‘আলা জানেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings