Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 37
Saheeh International
And they say, "Why has a sign not been sent down to him from his Lord?" Say, "Indeed, Allah is Able to send down a sign, but most of them do not know."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৭-৩৯ নং আয়াতের তাফসীর:
কাফির মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সমস্যায় ফেলার জন্য বলে: কেন তার প্রতি কোন নিদর্শন নাযিল করা হয় না?
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জবাব শিখিয়ে দিচ্ছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা নিদর্শন প্রেরণে সক্ষম কিন্তু চাওয়ার সাথে সাথে তিনি তা দেন না কারণ চাওয়ার সাথে সাথে দেয়ার পর ঈমান না আনলে আল্লাহ তা‘আলা তৎক্ষণাৎ শাস্তি প্রদান করবেন যেমন পূর্ববর্তী উম্মাতের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا مَنَعَنَآ أَنْ نُّرْسِلَ بِالْاٰيٰتِ إِلَّآ أَنْ كَذَّبَ بِهَا الْأَوَّلُوْنَ ط وَاٰتَيْنَا ثَمُوْدَ النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوْا بِهَا وَمَا نُرْسِلُ بِالْاٰياتِ إِلَّا تَخْوِيْفًا)
“পূর্ববর্তীগণের নিদর্শন অস্বীকার করাই আমাকে নিদর্শন প্রেরণ করা হতে বিরত রাখে। আমি নিদর্শনস্বরূপ সামূদ জাতিকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম, অতঃপর তারা তার প্রতি জুলুম করেছিল। আমি কেবল ভীতি প্রদর্শনের জন্যই নিদর্শন প্রেরণ করি।”(সূরা ইসরা ১৭:৫৯)
(اُمَمٌ اَمْثَالُکُمْ)
‘তোমাদের মত একটি জাতি’- বিশিষ্ট তাবেয়ী মুজাহিদ (রহঃ) বলেন: এসব জীবজন্তু ও পাখির কতকগুলো প্রকার রয়েছে যেগুলোর নাম জানা যায়। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন: পাখি একটি জাতি, মানুষ একটি জাতি, জীন একটি জাতি।
সুদ্দী (রহঃ) বলেন:
(أُمَمٌ أَمْثَالُكُمْ)
অর্থাৎ তোমাদের মত সৃষ্টি জীব। (ইবনে কাসীর, ৩/২৮৭, ইবনু জারীর. ১১/১৩-১৪)
(مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتٰبِ مِنْ شَيْءٍ)
‘কিতাবে (লাওহে মাহফূজে) কোন কিছুই আমি বাদ দেইনি।’অর্থাৎ কিতাবে আমি কোন জিনিস উল্লেখ করতে ছাড়িনি- এখানে কিতাব দ্বারা উদ্দেশ্য লাওহে মাহফূজ। (তাফসীর মুয়াসসার, পৃ. ১৩২)
ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত সৃষ্টি জীবের খবর রাখেন। কাউকে আহার দান করতে এবং পরিচর্যা করতে তিনি ভুলে যান না, জলচর হোক বা স্থলচর হোক।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا مِنْ دَا۬بَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَي اللّٰهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا ط كُلٌّ فِيْ كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ)
“ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহরই। তিনি তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত; সুস্পষ্ট কিতাবে (লাওহে মাহফূজ) সব কিছুই আছে।”(সূরা হূদ ১১:৬)
অতঃপর সব মাখলুক কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার কাছে উপস্থিত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا الْوُحُوْشُ حُشِرَتْ)
“যখন বন্য পশুগুলোকে একত্রিত করা হবে।”(সূরা তাকবীর ৮১:৫)
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: শিংবিশিষ্ট কোন ছাগল যদি শিংহীন কোন ছাগলের ওপর জুলুম করে তাহলে কিয়ামতের দিন শিংবিহীন ছাগল শিংবিশিষ্ট ছাগল থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৯৯৭)
(صُمُّ وَبُكْمٌ) ‘বধির ও বোবা’এ সম্পর্কে সূরা বাক্বারার ১৮ নং আয়াতে অলোচনা হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার কাছে কোন নিদর্শন চাওয়া হলে তা বিলম্ব করে দেয়ার পিছনে হিকমত রয়েছে।
২. জমিনে অসংখ্য উম্মাত বা জাতি রয়েছে।
৩. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আবার যাকে ইচ্ছা গুমরাহ করেন। তবে হিদায়াত পেতে হলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে হিদায়াত চাইতে হবে এবং সেই পথে চলতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings