Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 23
Saheeh International
Then there will be no [excuse upon] examination except they will say, "By Allah, our Lord, we were not those who associated."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২২-২৬ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা মুশরিক অবস্থায় মারা গেছে কিয়ামতের দিন তাদের কী করূণ অবস্থা হবে সে অবস্থার কথা এ আয়াতগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে।
সে দিন মুশরিকদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জিজ্ঞেস করবেন: আমার সাথে যাদেরকে শরীক মনে করে ডাকতে, যাতে আমার কাছে সুপারিশ করতে পারে, যাদের কাছে সন্তান চাইতে, বিপদে আপদে তাদের পায়ে সিজদাহ করতে তারা আজ কোথায়?
যখন সেসব মুশরিকরা এ প্রশ্নের সম্মুখীন হবে তখন আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করে বলবে: কখনো আমরা মুশরিক ছিলাম না।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَيَوْمَ يُنَادِيْهِمْ فَيَقُوْلُ أَيْنَ شُرَكَآئِيَ الَّذِيْنَ كُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ)
“এবং সেদিন তিনি তাদেরকে আহ্বান করে বলবেন: ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক গণ্য করতে, তারা কোথায়?’ (সূরা কাসাস ২৮:৬২)
আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলেন: দেখ, কিভাবে তারা নিজেদের ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে। অথচ তারা যাদেরকে ডাকত তারা আজ উধাও। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ثُمَّ قِيْلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ تُشْرِكُوْنَ)
“পরে তাদেরকে বলা হবেঃ কোথায় তারা যাদেরকে তোমরা (আল্লাহর) শরীক করতে।”(সূরা মু’মিন ৪০:৭৩)
অতএব যারা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যকে ডাকে, অন্যের নামে মানত করে, অন্যকে সিজদাহ করে, অন্যের কাছে চায় ইত্যাদি শির্কী কর্মে লিপ্ত তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মুশরিকরা তোমার কাছে এসে কান পেতে কুরআন শুনে কিন্তু হিদায়াতের উদ্দেশ্যে নয়, তাই আমি তাদের অন্তরে আবরণ ফেলে দিয়েছি। আর বধির করে দিয়েছি ফলে কুরআন শুনে তাদের কোন উপকার হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَثَلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا كَمَثَلِ الَّذِيْ يَنْعِقُ بِمَا لَا يَسْمَعُ إِلَّا دُعَا۬ٓءً وَّنِدَا۬ٓءً ط صُمّۭ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ)
“আর যারা কুফরী করেছে তাদের দৃষ্টান্ত ওদের ন্যায় যাদেরকে কেউ আহ্বান করলে শুধু চিৎকার ও শব্দ ব্যতীত আর কিছুই শুনে না। তারা বধির, মূক, অন্ধ। কাজেই তারা বুঝতে পারে না।”(সূরা বাক্বারাহ ২:১৭১)
(وَيَنْهَوْنَ عَنْهُ)
‘তারা অন্যকে তা শ্রবণে বিরত রাখে’অর্থাৎ সাধারণ মানুষদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও কুরআন থেকে বাধা দেয় এবং নিজেরাও তার অনুসরণ থেকে দূরে থাকে। প্রকৃতপক্ষে তারা কেবল নিজেদেরকেই ধ্বংস করছে।
সুতরাং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কেউ কারো কোন উপকার করতে পারবে না। সে দিন মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকতো তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। অতএব তাদেরকে বর্জন করে আল্লাহ তা‘আলার পথে ফিরে আসা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবদেরকে কেবল পার্থিব লালসাই ইসলাম গ্রহণে বাধা দিয়েছে।
২. মুশরিকগণ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার প্রশ্নের জবাবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাবে।
৩. ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে ঠাট্টা ও হেয় প্রতিপন্ন করা মুনাফিক ও অমুসলিমদের কাজ। আর তারাই বলে- এসব আগের দিনের কাহিনী বা এমন বিধি-বিধান যা বর্তমানে অকেজো।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings