Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 18
Saheeh International
And He is the subjugator over His servants. And He is the Wise, the Acquainted [with all].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৭-২১ নং আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় তাঁর তাওহীদে রুবুবিয়্যাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যদি কোন অমঙ্গল করতে চান তাহলে তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আবার যদি কল্যাণ করতে চান তাহলে তা বাধা দেয়ারও কেউ নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا يَفْتَحِ اللّٰهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا ج وَمَا يُمْسِكْ لا فَلَا مُرْسِلَ لَه۫ مِنْۭ بَعْدِه وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ)
“আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত উন্মুক্ত করে দেন তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না; আর যা তিনি বন্ধ করে দেন তা বন্ধ করার পরে কেউ উন্মুক্ত করতে পারে না। তিনি প্র্রতাপশালী ও মহাপ্রজ্ঞাময়।”(সূরা ফাতির ৩৫:২)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: হে আল্লাহ! তুমি যা দান করবে তার কোন বাধা দানকারী নেই আর যা দেবে না তার কোন দাতা নেই। কোন প্রভাবশালীর প্রভাব উপকারে আসবে না। (সহীহ বুখারী হা: ৮৪৪)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বলেন: হে বৎস! তুমি জেনে রেখ: সারা পৃথিবীর মানুষ যদি একত্রিত হয় তোমার কোন ক্ষতি করার জন্য, আল্লাহ তা‘আলা তোমার তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তা ব্যতীত- তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি সারা পৃথিবীর মানুষ একত্রিত হয় তোমার কোন উপকার করার জন্য, তোমার জন্য আল্লাহ তা‘আলা যতটুকু উপকার লিখে রেখেছেন তার চেয়ে বেশি কোন উপকার করতে পারবে না। (তিরমিযী হা: ২৫৬১, সহীহ)
সুতরাং যদি আল্লাহ তা‘আলা রাসূলের কোন ক্ষতি করতে ইচ্ছা করেন আর তা যদি তিনি ছাড়া অন্য কেউ প্রতিরোধ করতে না পারেন, তাহলে তথাকথিত গাউস, কুতুব, পীর-ফকীর, ওলী-আউলিয়া এবং কবর-মাযারে শায়িত ব্যক্তিরা যাদের কাছে মানুষ কল্যাণ লাভ ও অকল্যাণ প্রতিরোধের জন্য আসা-যাওয়া করে তারা কতটুকু সক্ষম হবে? এ সবই শির্ক ছাড়া আর কিছুই নয়।
অতএব এসব বর্জন করে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার প্রতি সবার ধাবিত হওয়া উচিত।
(وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِه)
‘তিনি তাঁর বান্দাদের ওপর পরাক্রমশালী’অর্থাৎ সবাই আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন, নেতৃত্বাধীন ও ইচ্ছাধীন। সবাই তাঁর নিকট অক্ষম। কেউ তাঁর রাজত্ব ও ক্ষমতার বাইরে না।
(اَیُّ شَیْءٍ اَکْبَرُ شَھَادَةً)
‘সাক্ষ্যতে সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয় কী?’ অর্থাৎ হে নাবী তুমি বল: আমি যা নিয়ে এসেছি তার সত্যতা প্রমাণের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষ্য থেকে কার সাক্ষ্য অধিক বড়? না, কারো সাক্ষ্য বড় হতে পারে না বরং আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষ্যই সবচেয়ে বড়। তিনি স্বয়ং আমার সত্যতার সাক্ষ্য দিচ্ছেন এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছেন- তিনি ছাড়া অন্য কোন মা‘বূদ নেই।
তোমরা যদিও সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ তা‘আলার সাথে আরো মা‘বূদ আছে কিন্তু আমি এ সাক্ষ্য দেই না। আমি সাক্ষ্য দেই আল্লাহ তা‘আলা একমাত্র সত্যিকার মা‘বূদ আর তোমরা যা শরীক করছ আমি তা থেকে মুক্ত।
(يَعْرِفُوْنَه كَمَا يَعْرِفُوْنَ أَبْنَا۬ءَهُمْ)
“তারা তাকে সেরূপ চেনে যেরূপ চেনে তাদের সন্তানদেরকে”অর্থাৎ তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঐরূপ চিনত যেরূপ তাদের সন্তানদেরকে চিনত। এ আয়াত সম্পর্কে সূরা বাকারার ১৪৬ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতএব মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ। সকল অকল্যাণ ও অনিষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। এজন্য বিপদ-আপদে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকেই ডাকা কর্তব্য।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কল্যাণ দাতা ও অকল্যাণ দূরকারী একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, অন্য কেউ নয়।
২. রাসূলগণও মানুষের ভাল-মন্দের কোন মলিক নন, তবে আল্লাহ তা‘আলা তাদের যে ক্ষমতা দিয়েছেন তা ব্যতীত।
৩. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ বা এককত্বের ব্যাপারে তাঁর সাক্ষীই সবচেয়ে বড় এবং যথেষ্ট।
৪. মুশরিকদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা ঈমানের অপরিহার্য দাবী।
৫. আহলে কিতাবগণ তাদের নাবী ও ধর্মীয় গ্রন্থের মাধ্যমে জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল।
৬. আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করা সবচেয়ে বড় জুলুম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings