Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 16
Saheeh International
He from whom it is averted that Day - [ Allah ] has granted him mercy. And that is the clear attainment.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২-১৬ নং আয়াতের তাফসীর:
كَتَبَ عَلٰي نَفْسِهِ
অর্থাৎ নিজের ওপর আবশ্যক করে নিয়েছেন।
অত্র আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রুববিয়্যাহ সম্পর্কে অবগত করছেন যে, তিনি আকাশ- জমিন ও এতদুভয়ের মাঝে যা আছে সবকিছুর স্রষ্টা। তিনি সকল সৃষ্টি জীবকে আহার দেন, তাঁর আহারের প্রয়োজন হয় না।
সৃষ্টি জীবের প্রতি দয়া করা আল্লাহ তা‘আলা নিজের প্রতি আবশ্যক করে নিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
إنَّ اللَّهَ لَمَّا قَضَي الْخَلْقَ كَتَبَ عِنْدَهُ فَوْقَ عَرْشِهِ إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা যখন সৃষ্টি জীব সৃষ্টি করলেন তখন তাঁর আরশের ওপর নিজের কাছে লিখে রাখলেন যে, আমার রহমত আমার ক্রোধের ওপর জয় লাভ করেছে। (সহীহ বুখারী হা: ৭৪০৪)
এ দয়া ও রহমত কিয়ামতের দিন শুধু ঈমানদারদের জন্য হবে। আর কাফিরদের প্রতি থাকবে চরম ক্রোধ।
(لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلٰي يَوْمِ الْقِيٰمَةِ..)
‘কিয়ামতের দিন তিনি তোমাদেরকে অবশ্যই একত্র করবেন’অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা আদি-অন্ত সকলকে কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে উপস্থিত করবেন। সেদিন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত যারা কিয়ামত দিবসে বিশ্বাসী ছিল না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُّسْلِمَةٌ
মুসলিম আত্মা ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। (সহীহ বুখারী হা: ২৮৯৭)
(وَهُوَ يُطْعِمُ وَلَا يُطْعَمُ)
‘তিনিই খাদ্য দান করেন কিন্তু তাঁকে কেউ খাদ্য দান করে না’অর্থাৎ যিনি আকাশ মণ্ডলী ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা তাঁকে ব্যতীত অন্য কাকে আমি অভিভাবকরূপে গ্রহণ করব? তিনি জীবিকা দেন, তাঁকে জীবিকা বা খাবার দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ مَآ أُرِيْدُ مِنْهُمْ مِّنْ رِّزْقٍ وَّمَآ أُرِيْدُ أَنْ يُّطْعِمُوْنِ)
“আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে এজন্য যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে কোন রিযিক চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমাকে খাওয়াবে।”(সূরা যারিয়াত ৫১:৫৬-৫৭)
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে খাদ্য, সুস্বাস্থ্যসহ কত নেয়ামত দান করেছেন, উদ্দেশ্য একটাই আমরা যেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করি।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ তথা আল্লাহ তা‘আলা সবকিছুর মালিক, সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা ও পরিচালক।
২. মু’মিনদের অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ তা‘আলাকেই গ্রহণ করা উচিত।
৩. রহমত, ক্রোধ, শ্রবণ ও জ্ঞান-ইত্যাদি আল্লাহ তা‘আলার সিফাত বা গুণাবলী প্রমাণিত হল।
৪. সবকিছু আল্লাহ তা‘আলার মুখাপেক্ষী কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা কারো কিছুর প্রতি মুখাপেক্ষী নন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings