6:152
وَلَا تَقۡرَبُواۡ مَالَ ٱلۡيَتِيمِ إِلَّا بِٱلَّتِى هِىَ أَحۡسَنُ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ أَشُدَّهُۥۖ وَأَوۡفُواۡ ٱلۡكَيۡلَ وَٱلۡمِيزَانَ بِٱلۡقِسۡطِۖ لَا نُكَلِّفُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۖ وَإِذَا قُلۡتُمۡ فَٱعۡدِلُواۡ وَلَوۡ كَانَ ذَا قُرۡبَىٰۖ وَبِعَهۡدِ ٱللَّهِ أَوۡفُواۡۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ١٥٢
Saheeh International
And do not approach the orphan's property except in a way that is best until he reaches maturity. And give full measure and weight in justice. We do not charge any soul except [with that within] its capacity. And when you testify, be just, even if [it concerns] a near relative. And the covenant of Allah fulfill. This has He instructed you that you may remember.
যখন ইয়াতীমের মাল খেয়ো না’ -এ আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন যার বাড়ীতে কোন ইয়াতীম ছিল সে সেই ইয়াতীমের খাদ্য ও পানীয়কে নিজের খাদ্য ও পানীয় হতে পৃথক করে দেয় এই ভয়ে যে, না জানি ইয়াতীমের খাদ্য তার খাদ্যের সাথে মিশ্রিত হয়ে যাবে। এমন কি ইয়াতীমের আহার করার পর যা অবশিষ্ট থাকতো তা তারা তারই জন্যে উঠিয়ে রেখে দিতো, যেন সে আবার তা আহার করে। এর ফলে খাবার নষ্ট হয়ে যেতো। এটা ছিল উভয়ের জন্যেই অমঙ্গল। তারা তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে এ সম্পর্কে আলোচনা করে। সেই সময় মহান আল্লাহ স্বীয় রাসূল (সঃ)-এর কাছে অহী পাঠানঃ “লোকেরা তোমাকে ইয়াতীমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তুমি তাদেরকে বলে দাও-তাদের মঙ্গল কামনাই হচ্ছে ভাল কাজ। সুতরাং যদি তোমরা তাদের সাথে একত্রিতভাবে খাও তবে তাতে কোন দোষ নেই, তারা তো তোমাদেরই ভাই, এটা ঐ পর্যন্ত চলবে যে পর্যন্ত তারা বালেগ বা বয়োঃপ্রাপ্ত না হয়।” সুদ্দী (রঃ) এর সময়কাল ত্রিশ বছর, চল্লিশ বছর এমন কি ষাট বছর পর্যন্তও নির্ধারণ করেছেন। এটা এখানকার আলোচ্য বিষয় নয় ।(আরবী) অর্থাৎ আদান প্রদানে পরিমাণ ও ওযন তোমরা সঠিকভাবে করবে। মাপ ও ওযনে ইনসাফ করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা খুবই গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং কঠোরভাবে শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেনঃ “নিরতিশয় সর্বনাশ রয়েছে মাপে কমদাতাদের। যখন তারা মানুষের নিকট থেকে মেপে নেয়, তখন পুরোপুরিই নেয়। আর যখন তাদেরকে মেপে কিংবা ওযন করে দেয়, তখন কম দেয়। তাদের কি এ বিশ্বাস নেই যে, তাদেরকে এক অত্যন্ত কঠোর দিবসে উঠান হবে?” পূর্বে এক জাতি মাপে ও ওযনে বেঈমানী করার কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।(আরবী) আমি কারো উপর তার সাধ্যাতীত ভার (দায়িত্ব-কর্তব্য) অৰ্পণ করি না। যে ব্যক্তি হক আদায়ে পুরোপুরি চেষ্টা করলো, তথাপি পূর্ণ মাত্রায় আদায় করতে পারলো না, তার কোন দোষ নেই এবং এজন্যে তাকে জবাবদিহি করতে হবে না। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ আয়াতের ব্যাপারে বলেন ঃ “যে ব্যক্তি বিশুদ্ধ নিয়তে মাপলো বা ওযন করলো, আর আল্লাহ তো তার নিয়ত সম্পর্কে জানেনই, তাহলে তাকে পাকড়াও করা হবে না।” (আরবী) শব্দের ব্যাখ্যা এটাই।(আরবী) যখন কথা বলবে তখন স্বজনের বিরুদ্ধে হলেও ন্যায়ানুগ বলবে । যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “হে মুমিনগণ! আল্লাহর জন্যে আদল ও ইনসাফের সাথে সাক্ষ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক।” অনুরূপভাবে সূরা নিসায় আল্লাহ তা'আলা কথায় ও কাজে ইনসাফের নির্দেশ দিয়েছেন, নিকটবর্তীদের জন্যেই হাক বা দূরবর্তীদের জন্যেই হাক। আল্লাহ পাক প্রত্যেকের জন্যে, প্রত্যেক সময়ে এবং সর্বাবস্থায় ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।ইরশাদ হচ্ছে (আরবী) অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণ করো। এটা পূরণ করার স্বরূপ হচ্ছে- তোমরা তাঁর আদেশ ও নিষেধ মেনে চল। এবং তাঁর কিতাব ও সুন্নাতে রাসূল (সঃ)-এর উপর আমল করো। এটাই হচ্ছে আল্লাহর সাথে কত অঙ্গীকার পূরণ করা।(আরবী) আল্লাহ তোমাদেরকে এসব বিষয় নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা তাঁর এ নির্দেশ ও উপদেশ গ্রহণ কর এবং পূর্বের অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাক। কেউ কেউ শব্দের -কে দিয়ে পড়েছেন এবং কেউ কেউ করে পড়েছেন।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us