Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 149
Saheeh International
Say, "With Allah is the far-reaching argument. If He had willed, He would have guided you all."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৪৮-১৫০ নং আয়াতের তাফসীর:
تَخْرُصُوْنَ অর্থাৎ তোমরা মিথ্যা বলছ।
الْحُجَّةُ الْبَالِغَةُ
অর্থাৎ বাতিল দাবীর বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ।
يَعْدِلُوْنَ অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার সাথে মূর্তি ও অন্যান্য বাতিল মা‘বূদদেরকে সমতুল্য করে।
এ আয়াতগুলোতে একটি বিতর্কের অবতারণা করা হয়েছে। মুশরিকরা তাদের শির্ক ও হালালকে হারাম করে নেয়া সম্পর্কে যে দলীল প্রমাণ পেশ করে থাকে আল্লাহ তা‘আলা তার বর্ণনা দিচ্ছেন।
তাদের দাবী, আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে আমাদের মন পরিবর্তন করতে পারতেন। ঈমান আনার তাওফীক দিতে পারতেন। তিনিই ঈমান আনতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন তাই আমরা শির্কে লিপ্ত রয়েছি। অতএব আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছায় আমরা শির্ক করছি। অনুরূপভাবে তারা বলত:
(لَوْ شَا۬ءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْ)
“দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমরা এদের পূজা করতাম না।”(সূরা যুখরুফ ৪৩:২০)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالَ الَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا لَوْ شَا۬ءَ اللّٰهُ مَا عَبَدْنَا مِنْ دُوْنِه۪ مِنْ شَيْءٍ)
“মুশরিকরা বলে, ‘আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমাদের পিতৃ-পুরুষেরা ও আমরা তাঁকে ব্যতীত অপর কোন কিছুর ‘ইবাদত করতাম না।’(সূরা নাহল ১৬:৩৫)
আল্লাহ তা‘আলা তাদের এ দাবীর প্রতিবাদ করে বলেন:
(وَقَالُوْا لَوْ شَا۬ءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْ ط مَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ق إِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُوْن)
“তারা বলে, দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমরা এদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই; তারা তো শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।”(সূরা যুখরুফ ৪৩:২০)
তাদের এ সব দাবী ও সংশয় কয়েক দিকে থেকে অযৌক্তিক ও ভ্রান্ত। ১. তাদের দাবী সত্য হলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে শাস্তি দিতেন না। ২. দাবীর নির্ভরযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে। তাদের দাবীর প্রমাণ কেবল ধারণা ও অনুমান যা সত্যের কোন উপকারে আসে না। ৩. সকল অকাট্য প্রমাণ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার, কারো কোন ওযর বাকি নেই। যে অকাট্য প্রমাণের ব্যাপারে সকল নাবী রাসূল, আসমানি কিতাব ও সুস্থ বিবেক একমত। ৪. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালনের ক্ষমতা ও স্বাধীনতা প্রদান করেছেন। সুতরাং তিনি বান্দার ওপর এমন কিছু চাপিয়ে দেননি যা তাদের পক্ষে পালন করা সম্ভব হবে না আর এমন কিছু হারাম করে দেননি যা বর্জন করা অসম্ভব। ৫. আল্লাহ তা‘আলা কোন বান্দাকে কোন কাজ করার জন্য বাধ্য করেননি। বরং তাদের ইখতিয়ারাধীন করে দিয়েছেন। ইচ্ছা হলে করবে, ইচ্ছা না হলে করবে না। (তাফসীর সা’দী পৃঃ ২৭৫-২৭৬)
এ সম্পর্কে এ সূরাতেই পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রসিদ্ধ তাবেয়ী যহহাক (রহঃ) বলেন: যারা আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য তাদের কোন প্রমাণ নেই বরং সকল প্রমাণ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষে। আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা তাই করেন। তিনি বলেন:
(وَلَوْ شَا۬ءَ رَبُّكَ لَجَعَلَ النَّاسَ أُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلَا يَزَالُوْنَ مُخْتَلِفِيْنَ - إِلَّا مَنْ رَّحِمَ رَبُّكَ ط وَلِذٰلِكَ خَلَقَهُمْ ط وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ)
“তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে সমস্ত মানুষকে এক জাতি করতে পারতেন, কিন্তু তারা মতভেদ করতেই থাকবে, তবে তারা নয়, যাদেরকে তোমার প্রতিপালক দয়া করেন এবং তিনি তাদেরকে এজন্যই সৃষ্টি করেছেন। ‘আমি জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবই; তোমার প্রতিপালকের এ কথা পূর্ণ হবেই।”(সূরা হূদ ১১:১১৮-১১৯)
আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাঁর কাজের জন্য কৈফিয়ত চাওয়ার কেউ নেই। কিন্তু তিনি বান্দাদের কাজের জন্য কৈফিয়ত চাইবেন। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলাকে দোষ দিয়ে পরকালে পার পাওয়া যাবে না, বরং নিজের কাজের জন্য নিজেকেই আসফোস করতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. তাকদীরের দোহাই দিয়ে অপরাধ করা ও তার ওপর বহাল থাকা ইবলিসের স্বভাব।
২. যে প্রমাণের কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র নেই তার কোন মূল্য নেই।
৩. সাক্ষ্য দেয়া ও সাক্ষী হাজির করা শরীয়তসম্মত বিষয়।
৪. যারা আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে তাদের অনুসরণ করা হারাম।
৫. আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করেন, তাঁর ইচ্ছার ওপর সব কিছু নির্ভর করে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings