Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 141
Saheeh International
And He it is who causes gardens to grow, [both] trellised and untrellised, and palm trees and crops of different [kinds of] food and olives and pomegranates, similar and dissimilar. Eat of [each of] its fruit when it yields and give its due [zakah] on the day of its harvest. And be not excessive. Indeed, He does not like those who commit excess.
Tafsir Ahsanul Bayaan
Tafseer 'Tafsir Ahsanul Bayaan' (BN)
[১] مَعْرُوْشَاتٍ এর মূল ধাতু হল, عَرْشٌ যার অর্থ, উঁচু করা ও উঠানো। আর معروشات থেকে এখানে বুঝানো হয়েছে কোন কোন গাছের লতাগুলোকে, যেগুলোকে মাচান ইত্যাদির উপরে চড়ানো হয়। যেমন, আঙ্গুর এবং কোন কোন সবজি গাছের লতা। আর غير معروشات হল এমন লতাগাছ, যা মাচান ইত্যাদির উপরে চড়ানো হয় না, বরং তা জমির উপরেই বাড়তে থাকে। যেমন, তরমুজ, শসা ইত্যাদি গাছ। অথবা সেই সব গুঁড়ি বিশিষ্ট গাছ, যা লতা আকারে হয় না। এই সমস্ত গুল্মলতা, বৃক্ষরাজি, খেজুর গাছ এবং ফসলাদি যাদের স্বাদ একে অপর থেকে ভিন্ন এবং যয়তুন ও ডালিম ইত্যাদি সব কিছুর স্রষ্টা মহান আল্লাহ।
[২] এর জন্য দ্রষ্টব্য ৯৯নং আয়াতের টীকা।
[৩] অর্থাৎ, জমি থেকে ফসল কেটে ঝরিয়ে এবং ফলাদি গাছ থেকে যখন পেড়ে নাও, তখন সৃষ্টিকর্তার অধিকার আদায় করে দাও। এই অধিকার থেকে কেউ বুঝিয়েছেন, নফল সাদাকা। আবার কেউ বুঝিয়েছেন, ওয়াজিব সাদাকা। অর্থাৎ, 'ওশর' তথা দশভাগের এক ভাগ (যদি জমি প্রকৃতির পানিতে আবাদ হয়)। অথবা 'নিসফ উশুর' তথা বিশভাগের এক ভাগ (যদি জমি কুঁয়া, নলকূপ অথবা নদী ইত্যাদি থেকে তোলা পানি দ্বারা আবাদ করা হয়)।
[৪] অথবা এর অর্থঃ সীমালংঘন করো না। কারণ, তিনি সীমালংঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। অর্থাৎ, সাদাকা-খয়রাত করার ব্যাপারেও সীমালঙ্ঘন করো না। এমন যেন না হয় যে, (সমস্ত মাল ব্যয় করে দাও, ফলে) আগামী কাল তুমিই অভাবী হয়ে যাও। কেউ কেউ বলেছেন, এর সম্পর্ক হল শাসকদের সাথে। অর্থাৎ, সাদাকা ও যাকাত আদায়ের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করো না। তবে ইমাম ইবনে কাসীর বলেন, আয়াতের পূর্বাপর প্রসঙ্গ থেকে এ অর্থই সঠিক বলে মনে হচ্ছে যে, পানাহারের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না। কেননা, অতি ভোজনে জ্ঞান-বুদ্ধি ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। 'ইসরাফ'-এর এই সমস্ত অর্থই সব সব স্থানে সঠিক। কাজেই সমস্ত অর্থই উদ্দেশ্য হতে পারে। অন্যান্য বহু জায়গায় আল্লাহ তাআলা পানাহারের ব্যাপারে অপচয় করতে যে নিষেধ করেছেন, তা থেকে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, পানাহারের ব্যাপারেও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা জরুরী এবং তার ব্যতিক্রম করা আল্লাহর অবাধ্যতা বলে গণ্য হয়। বর্তমানে মুসলিমরা অপচয় করাকে নিজেদের ধন-সম্পদ প্রকাশ করার নিদর্শন বানিয়ে নিয়েছে। সুতরাং إِنَّا للهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ
[৫] তাই কোন জিনিসের ব্যাপারেই সীমাতিক্রম বা অপচয় করা পছন্দনীয় নয়। না সাদাকা-খয়রাত দেওয়ার ব্যাপারে, আর না অন্য কোন জিনিসের ব্যাপারে। প্রত্যেক ব্যাপারে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করাই বাঞ্ছনীয় ও পছন্দনীয়; বরং তার তাকীদ করা হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings