Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 124
Saheeh International
And when a sign comes to them, they say, "Never will we believe until we are given like that which was given to the messengers of Allah ." Allah is most knowing of where He places His message. There will afflict those who committed crimes debasement before Allah and severe punishment for what they used to conspire.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২৩-১২৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেন: হে মুহাম্মাদ! তোমার এলাকায় যেমন বড় বড় নেতারা পাপাচারে লিপ্ত, মানুষদেরকে কুফরীর দিকে আহ্বান করে, আল্লাহ তা‘আলার পথে বাধা দেয়, তোমার বিরোধিতা করে, তেমনি প্রত্যেক নাবীর সমাজে এরূপ বড় বড় নেতারা তাদের বিরোধিতা করত, নাবীদের কষ্ট দিত। অবশেষে তাদের পরিণতি খুবই খারাপ হয়েছিল। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أَرْسَلْنَا فِيْ قَرْيَةٍ مِّنْ نَّذِيْرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَآ إِنَّا بِمَآ أُرْسِلْتُمْ بِه۪ كٰفِرُوْنَ)
“যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী প্রেরণ করেছি তখনই তার বিত্তশালী অধিবাসীরা বলেছে- তোমরা যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছ আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। (সূরা সাবা ৩৪:৩৪)
يَمْكُرُوْنَ ‘তারা ষড়যন্ত্র করে’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল: চাকচিক্যময় কথা, প্রভাব ও ক্ষমতা দ্বারা মানুষকে ভ্রষ্টতার পথে আহ্বান করা। কারণ সমাজের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতাশীনরা সঠিক পথের বিরোধিতা করলে এবং মানুষকে সঠিক পথে বাধা দিলে সাধারণ জনগণের কোন উপায় থাকে না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেন:
(وَمَكَرُوْا مَكْرًا كُبَّارًا )
“আর তারা ভয়ানক ষড়যন্ত্র করেছে।”(সূরা নূহ ৭১:২২)
এরূপ প্রত্যেক যুগেই সমাজের নেতৃস্থানীয়রা সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার করেছে। এ ছাড়াও সূরা সাবার ৩১-৩৩ নং আয়াতে এ সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।
(وَمَا يَمْكُرُوْنَ إِلَّا بِأَنْفُسِهِمْ)
‘তারা শুধু তাদের নিজেদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করে, অর্থাৎ তাদের নিজেদের অপরাধ ও চক্রান্তের অশুভ পরিণাম এবং তাদের অনুসারীদের অনুসরণের মন্দ পরিণামও তাদের ওপরই বর্তাবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَيَحْمِلُنَّ أَثْقَالَهُمْ وَأَثْقَالًا مَّعَ أَثْقَالِهِمْ ز وَلَيُسْأَلُنَّ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ عَمَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ)
“তারা অবশ্যই নিজেদের পাপের ভার বহন করবে এবং নিজেদের বোঝার সাথে আরও কিছু বোঝা; আর তারা যে মিথ্যা উদ্ভাবন করত সে সম্পর্কে কিয়ামত দিবসে অবশ্যই তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে”(সূরা আনকাবুত ২৯:১৩)
(مِثْلَ مَآ أُوْتِيَ رُسُلُ اللّٰهِ)
‘আল্লাহর রাসূলদেরকে যা দেয়া হয়েছিল আমাদেরকেও তা না দেয়া পর্যন্ত’অর্থাৎ যখন তাদের কাছে নাবী-রাসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আগমন করতেন তখন তারা বলত: নাবীদের কাছে ফেরেশতারা যেমন রিসালাত নিয়ে আসে আমাদের কাছেও তেমন রিসালাত না নিয়ে আসা পর্যন্ত তোমাদের কথা বিশ্বাস করব না।
যেমন তারা বলে:
(وَ قَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا لَوْلَآ أُنْزِلَ عَلَيْنَا الْمَلٰٓئِكَةُ أَوْ نَرٰي رَبَّنَا)
“যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা বলে: ‘আমাদের নিকট ফেরেশ্তা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন?’’
(اَللّٰهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَه۫)
‘আল্লাহ তাঁর রিসালাতের ভার কার ওপর অর্পণ করবেন তা তিনিই ভাল জানেন।’অর্থাৎ কাকে নাবী বানানো যাবে, কে নবুওয়াতের উপযুক্ত তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। এ সিদ্ধান্ত মানুষের হাতে নেই। যেমন কাফিরদের বক্তব্য সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالُوْا لَوْلَا نُزِّلَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ عَلٰي رَجُلٍ مِّنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيْمٍ )
“এবং তারা বলে: এই কুরআন কেন অবতীর্ণ করা হল না দু’জনপদের কোন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির ওপর?”(সূরা যুখরুফ ৪৩:৩১) অর্থাৎ তারা বলতে চাচ্ছে- এ কুরআন অত্র এলাকার একজন স্বনামধন্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তির উপর নাযিল হল না কেন, তা হলে তার অনুসরণ করতাম।
অতএব যারা আল্লাহ তা‘আলার বিধান মেনে নিতে অবাধ্য হয় তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِيْنَ)
“নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদত করতে অহংকার করে, তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে।” (সূরা মু’মিনূন ৪০:৬০)
প্রত্যেক যুগের সমসাময়িক রাঘব বোয়ালরাই ইসলাম গ্রহণ করা থেকে বিরত ছিল এবং ইসলামের সাথে শত্র“তা করেছিল। আজও তারাই ইসলামের বিরোধিতা করছে, কিয়ামত পর্যন্ত এরূপ এক শ্রেণি থাকবে যারা নিজেরা সত্য গ্রহণ করবে না এবং অন্যদেরকেও সত্য গ্রহণে বাধা দেবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রত্যেক যুগেই কিছু নেতা ও উঁচু শ্রেণির লোকেরা নাবীদের বিরোধিতা করেছিল।
২. খারাপ চক্রান্তের অশুভ পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. কুরআন অবতীর্ণকালে মক্কার মুশরিকদের অবাধ্যতামূলক আচরণ সম্পর্কে জানতে পারলাম।
৪. রিসালাত আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে দেয়া হয়; কেউ তা অর্জন করতে পারে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings