Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 112
Saheeh International
And thus We have made for every prophet an enemy - devils from mankind and jinn, inspiring to one another decorative speech in delusion. But if your Lord had willed, they would not have done it, so leave them and that which they invent.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১১-১১৩ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে যেমন বলা হয়েছে যে, কাফিররা আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করে বলে- এবার কোন নিদর্শন আসলে অবশ্যই আমরা ঈমান আনব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠানো হলে, তাদের সাথে মৃত ব্যক্তি কথা বললে, এমনকি তাদের সামনে প্রত্যেক বস্তু হাজির করে দিলেও তারা ঈমান আনবে না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ - وَلَوْ جَا۬ءَتْهُمْ كُلُّ اٰيَةٍ حَتّٰي يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيْمَ)
“নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে, তারা ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট সকল নিদর্শন আসে (তবুও তারা ঈমান আনবে না) যতক্ষণ না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা ইউনুস ১০:৯৬-৯৭)
আল্লাহ তা‘আলা যাদের হিদায়াত দিতে ইচ্ছা করেন কেবল তারাই হিদায়াত পায়।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সান্ত্বনা দেন যে, প্রত্যেক নাবীর বিপরীতেই মানব শয়তান ও জিন শয়তান শত্র“ ছিল। তারা নাবীদের কষ্ট দিত। তাই তুমিও যে কষ্টের সম্মুখীন হও তাতে ধৈর্যধারণ কর।
এখানে বলা হচ্ছে- প্রত্যেক নাবীর শত্র“ ছিল আর তারা ছিল মানুষ শয়তান ও জিন শয়তান। মানুষ শয়তান ও জিন শয়তানদের পরিচয় আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র তুলে ধরেন:
(وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِيْنَ ط وَكَفٰي بِرَبِّكَ هَادِيًا وَّنَصِيْرًا)
“(আল্লাহ বলেন) ‘এভাবেই আমি প্রত্যেক নাবীর শত্র“ করেছিলাম অপরাধীদেরকে। তোমার জন্য তোমার প্রতিপালকই পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।’(সূরা ফুরকান ২৫:৩১)
(يُوْحِيْ بَعْضُهُمْ إِلٰي بَعْضٍ)
‘একে অন্যকে চমকপ্রদ কথা ওয়াহী করে (অতি গোপনীয়ভাবে জানিয়ে দেয়)।’وحي শব্দটি কুরআন কারীমে কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তার মধ্যে এটি একটি অর্থ: শয়তানের কুমন্ত্রণা ও খারাপ কাজ মানুষের মনে সৌন্দর্যময় করে তুলে ধরা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِنَّ الشَّيٰطِيْنَ لَيُوْحُوْنَ إِلٰٓى أَوْلِيَآئِهِمْ لِيُجَادِلُوْكُمْ)
“নিশ্চয়ই শয়তানেরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে ওয়াহী প্রেরণ করে (গোপনীয়ভাবে জানিয়ে দেয়)” (সূরা আন্‘আম ৬:১২১)
(الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ)
“যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না”অর্থাৎ যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না শয়তানের কুমন্ত্রণার শিকার তারাই হয় এবং তারাই তা পছন্দ করে ও সে অনুযায়ী আমলও করে। আর এ কথাও সত্য যে, মানুষের অন্তরে আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস যত দুর্বল হবে, তারা শয়তানের কুমন্ত্রণার জালে তত ফেঁসে যাবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা সত্য মেনে নেয়ার তারা সহজেই মেনে নেয় আর যারা না মানার তাদের শত নিদর্শন দেখালেও মানবে না।
২. আদম (আঃ) হতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীরই শত্র“ ছিল।
৩. শয়তান কিভাবে কুমন্ত্রণা দেয় সে সম্পর্কে জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings