Surah Al An'am Tafseer
Tafseer of Al-An'am : 105
Saheeh International
And thus do We diversify the verses so the disbelievers will say, "You have studied," and so We may make the Qur'an clear for a people who know.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
১০৪-১০৫ নং আয়াতের তাফসীর:
(আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে দলীল প্রমাণাদি এবং নিদর্শনাবলী যা কুরআন মাজীদের মধ্যে রয়েছে এবং যা রাসূলুল্লাহ (সঃ) পেশ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এগুলো অনুযায়ী কাজ করলো সে নিজেরই উপকার সাধন করলো। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ “যে ব্যক্তি হিদায়াত গ্রহণ করবে সে তার নিজের উপকারের জন্যে করবে, আর যে পথভ্রষ্ট হবে তার পথভ্রষ্টতার শাস্তি তার নিজের উপরই বর্তিত হবে।” এজন্যেই এখানে মহান আল্লাহ বলেন, যে অন্ধ থাকবে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ “তাদের চক্ষু অন্ধ হয় না, বরং তাদের অন্তরগুলো অন্ধ হয়ে থাকে।” আল্লাহ পাক স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে বলেনঃ হে রাসূল (সঃ)! তুমি তাদেরকে বলে দাও-আমি তো তোমাদের প্রহরী নই। আমি শুধুমাত্র একজন প্রচারক। হিদায়াতের মালিক তো আল্লাহ। তিনি যাকে চান হিদায়াত করেন এবং যাকে ইচ্ছা করেন পথভ্রষ্ট করেন।
ইরশাদ হচ্ছে- এরূপেই আমি নিদর্শনসমূহ বিভিন্ন ধারায় বর্ণনা করে থাকি। যেমন তিনি এই সূরায় একত্ববাদের বর্ণনা করেছেন এবং এর উপর ভিত্তি করেও যে, মুশরিক ও কাফিররা বলে-হে মুহাম্মাদ (সঃ)! আপনি এইসব কথা পূর্ববর্তী কিতাবগুলো হতে নকল করেছেন এবং ওগুলো শিখে নিয়েই আমাদেরকে শুনাচ্ছেন। (এটা ইবনে আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ (রঃ), সাঈদ ইবনে জুবাইর (রঃ), যহহাক (রঃ) এবং অন্যান্যদের উক্তি)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) শব্দের অর্থ (আরবী) অর্থাৎ ‘আপনি পাঠ করেছেন। তাদের এ কথাগুলো তর্ক বিতর্ক ও ঝগড়ার স্থলে ছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলা ঐ কাফিরদের মিথ্যা অপবাদ ও বিরোধিতার সংবাদ দিয়ে বলেনঃ “কাফিররা বলে-এটা তো বানানো মিথ্যা কথা এবং অন্যান্যরাও এই কুরআন তৈরী করতে সাহায্য করেছে। এটাই বড়ই অত্যাচার ও মিথ্যা প্রতিপন্ন। করার কথা। তারা বলে- এটা তো পূর্ববর্তী লোকদের কথিত ও লিখিত কথা যা তিনিও (নবী সঃ) লিখে নিয়েছেন।” কাফিরদের মিথ্যা ধারণা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “সে চিন্তা করলো, তৎপর একটা মন্তব্য স্থির করলো? সুতরাং সে ধ্বংস হাক, কেমন মন্তব্য সে স্থির করল? অতঃপর সে দৃষ্টিপাত করলো। তৎপর মুখ বিকৃত করলো, আরও অধিক বিকৃত করলো। তৎপর সে মুখ ফিরিয়ে নিলো এবং গর্ব করলো। অনন্তর বললো- এটা তো নকল করা যাদু। এটা তো মানুষের উক্তি।”
আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি একে জ্ঞানবান লোকদের জন্যে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে থাকি যারা সত্যকে জেনে নেয়ার পর ওর অনুসরণ করে থাকে এবং মিথ্যা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে। কাফিরদের পথভ্রষ্টতা এবং মুমিনদের সত্যকে স্বীকার করে নেয়ার মধ্যে আল্লাহ তাআলার কৌশল ও যৌক্তিকতা রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “তিনি এর দ্বারা অনেককে বিপথগামী করে থাকেন এবং অনেককে সুপথগামী করে থাকেন।” অন্য জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ “যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যাদের অন্তর পাথরের মত) শক্ত, শয়তান তাদের অন্তরে ফিন্যা নিক্ষেপ করে থাকে এবং এই জিনিসগুলো তাদের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা বনে যায়, আর আল্লাহ মুমিনদেরকে সরল সোজা পথ প্রদর্শন করে থাকেন।" আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ “আমি জাহান্নামে ফেরেশতাদেরকে নিযুক্ত করে রেখেছি এবং তাদের নির্ধারিত সংখ্যা (১৯) কাফিরদের জন্যে একটা ফিত্রার কারণ, কিন্তু এর মাধ্যমেই আহলে কিতাব ও মুমিনদের ঈমান আরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, আহলে কিতাব ও মুমিনরা এতে সন্দেহ পোষণ করে না (কেননা, আহলে কিতাব নিজেদের কিতাবেও এই নির্ধারিত সংখ্যার উল্লেখ পেয়ে থাকে, কিন্তু কাফির ও রোগাক্রান্ত অন্তর বিশিষ্ট লোকেরা বলে থাকে এসব কথা বলার আল্লাহর কি প্রয়োজন ছিল? এভাবেই বহু লোক পথভ্রষ্ট হয়ে যায় এবং বহু লোক সুপথ প্রাপ্ত হয়, আল্লাহ ছাড়া তার সেনাবাহিনী সম্পর্কে কার জ্ঞান রয়েছে?" আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আমি এমন বস্তু অর্থাৎ কুরআন নাযিল করেছি যে, ওটা ঈমানদারদের জন্যে শেফা ও রহমত এবং ওর দ্বারা যালিমদের শুধু অনিষ্টই বর্ধিত হয়।” তিনি আর এক জায়গায় বলেনঃ “ (হে মুহাম্মাদ সঃ!) তুমি বলে দাও-এই কুরআন মুমিনদের জন্যে হিদায়াত ও শেফা আর কাফিরদের কানে কর্ক বা ছিপি লাগা আছে এবং তারা অন্ধ।” কুরআন মুমিনদের জন্যে যে হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়াত ও পথভ্রষ্টতা যে তারই ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এ সম্পর্কে বহু আয়াত রয়েছে। এ জন্যেই এখানে তিনি বলেনঃ “এরূপেই আমি নিদর্শনসমূহ বিভিন্ন ধারায় প্রকাশ করে থাকি, কিন্তু কাফিররা একথাই বলছে যে, তুমি কারও নিকট থেকে লিখিয়ে নিয়েছে।”
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) (আরবী) শব্দের অর্থ (আরবী) এবং (আরবী) বর্ণনা করেছেন। (মুজাহিদ (রহঃ), সুদ্দী (রহঃ) এবং যহহকি (রহঃ) হতেও এটা বর্ণিত আছে) হাসান (রঃ) এটার অর্থ (আরবী) বলেছেন। ইবনে যুবাইর (রঃ) বলেনঃ “ছেলেরা এখানে (আরবী) পড়ে থাকে, অথচ (আরবী) রয়েছে। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর কিরআতে দারাসতা রয়েছে এবং এর অর্থ (আরবী)-ই বটে। এর ভাবার্থ হচ্ছে- “হে মুহাম্মাদ (সঃ)! যেসব কথা আপনি আমাদেরকে শুনাচ্ছেন সেগুলো আমরা পূর্ববর্তীদের মাধ্যমে অবগত রয়েছি।” হযরত ইবনে মাসউদের কিরআতে (আরবী) রয়েছে। অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সঃ) ওটা শিখে রেখেছেন। এই মতভেদ বিস্ময়করই বটে। হযরত উবাই ইবনে কাব (রাঃ) বলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাকে ‘ওয়া লিয়াকুলু দারাস্তা’এইরূপ শুনিয়েছেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings