Surah At Talaq Tafseer
Tafseer of At-Talaq : 3
Saheeh International
And will provide for him from where he does not expect. And whoever relies upon Allah - then He is sufficient for him. Indeed, Allah will accomplish His purpose. Allah has already set for everything a [decreed] extent.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২-৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
স্ত্রীর ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বমুহূর্তে স্বামীর কর্তব্য কী তা এখানে বলা হয়েছে। স্ত্রীর ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে স্বামী ইচ্ছা করলে ফিরিয়ে নিতে পারে, আর যদি ফিরিয়ে না নেয় তাহলে ন্যায় সঙ্গত ভাবে তাকে ছেড়ে দেবে। সহবাসকৃত ত্বালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর ইদ্দত হল তিন ঋতু/মাসিক পর্যন্ত (তিন মাস) আর গর্ভবতী ত্বালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর ইদ্দত হল গর্ভ প্রসব হওয়া পর্যন্ত। ফিরিয়ে নেয়ার ইচ্ছা থাকলে এর মধ্যেই ফিরিয়ে নিতে হবে।
(وَّأَشْهِدُوْا ذَوَيْ عَدْلٍ مِّنْكُمْ)
‘তোমাদের মধ্য হতে দুই জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখ’ অর্থাৎ ত্বালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে বা ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দ’ুজন মুসলিম ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখ। এ নির্দেশ ওয়াজিব নয়, বরং মুস্তাহাব। সাক্ষী রাখার উপকারীতা হল কেউ কাউকে অস্বীকার করতে পারবে না যে, স্বামী আমাকে ত্বালাক দেয়নি বা স্ত্রী দাবী করছে যে, আমাকে ত্বালাক দিয়েছে আর স্বামী অস্বীকার করছে। আর বিবাহ বন্ধন অক্ষুণœ রয়েছে বলে কেউ কাউকে অপবাদ দিতে না পারে এবং একজন মারা গেলে অপরজন ওয়ারিশ দাবী করতে না পারে।
(يَجْعَلْ لَّه مَخْرَجًا)
অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সকল বিপদ আপদ থেকে নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন এবং এমনভাবে রিযিক দেবেন যে, সে বুঝতেও পারবে না তা কোথা থেকে এসেছে। ইবনু আব্বাস প্রমুখ বলেন : এটা ত্বালাকের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সুযোগ। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশানুপাতে ত্বালাক দেবে ইদ্দতের মাঝে ফিরিয়ে নেয়ার একটি সুযোগ আল্লাহ তা‘আলা করে দেবেন। তিনি আরো বলেন : দুনিয়া ও আখেরাতের প্রত্যেক বিপদ থেকে মুক্তি দেবেন (কুরতুবী)।
(وَمَنْ يَّتَوَكَّلْ عَلَي اللّٰهِ فَهُوَ حَسْبُه۫)
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : একদা তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে আরোহী ছিলেন। তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : হে বৎস! আমি তোমাকে কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দেব। তুমি আল্লাহ তা‘আলাকে হেফাযত কর আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে হেফাযত করবেন, তুমি আল্লাহ তা‘আলাকে হেফাযত কর সর্বত্র আল্লাহ তা‘আলাকে পাবে। যখন তুমি কিছু চাইবে তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাইবে, যখন সাহায্য চাইবে তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেই সাহায্য চাইবে। জেনে রেখ! সমস্ত মানুষ যদি একত্রিত হয় তোমার কোন উপকার করার জন্য তারা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না তবে আল্লাহ তা‘আলা যেটুকু তাকদীরে লিখে রেখেছেন। আর যদি সবাই একত্রিত হয় তোমার কোন ক্ষতি করার জন্য তাহলে তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না তবে আল্লাহ তা‘আলা তোমার জন্য যেটুকু ক্ষতি তাকদীরে লিখে রেখেছেন। (তিরমিযী হা. ২৫১৬, সহীহ)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছে চাওয়া, আল্লাহ তা‘আলার কাছেই সাহায্য চাওয়া।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. ইদ্দতের মধ্যে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার স্বামীর রয়েছে।
২. সম্পর্ক ছিন্ন বা বহাল রাখার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা মুস্তাহাব॥
৩. তাক্বওয়ার ফযীলত জানলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings