Surah Al Mumtahanah Tafseer
Tafseer of Al-Mumtahanah : 11
Saheeh International
And if you have lost any of your wives to the disbelievers and you subsequently obtain [something], then give those whose wives have gone the equivalent of what they had spent. And fear Allah, in whom you are believers.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
১০-১১ নং আয়াতের তাফসীর:
সূরায়ে ফাত্হর তাফসীরে হুদায়বিয়ার সন্ধির ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। এই সন্ধিপত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) এবং কুরায়েশ কাফিরদের মধ্যে যেসব শর্ত লিপিবদ্ধ হয়েছিল ওগুলোর মধ্যে একটি শর্ত এও ছিল যে, যে কাফির মুসলমান হয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর নিকট চলে যাবে তাকে তিনি মক্কাবাসীর নিকট ফেরত পাঠিয়ে দিবেন। কিন্তু কুরআন কারীম এর মধ্য হতে ঐ মহিলা বা নারীদেরকে খাস করে নেয় যারা ঈমান আনয়ন করে এবং খাটি মুসলমান হয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট চলে যাবে তাদেরকে তিনি কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবেন না।
কুরআন কারীম দ্বারা হাদীসকে খাস করার এটা একটা উত্তম দৃষ্টান্ত। কারো কারো মতে এই আয়াতটি এই হাদীসের নাসিখ বা রহিতকারী।
এই আয়াতের শানে নুযূল এই যে, হযরত উম্মে কুলসূম বিনতে উক্রা ইবনে আবি মুঈত (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজরত করে মদীনায় চলে যান। আম্মারাহ্ এবং ওয়ালীদ নামক তাঁর দুই ভ্রাতা তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্যে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর খিদমতে হাযির হয় এবং এ ব্যাপারে তাঁর সাথে আলাপ আলোচনা করে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা ইমতেহান বা পরীক্ষার এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। এভাবে আল্লাহ্ পাক মুমিনা নারীদেরকে ফেরত পাঠাতে নিষেধ করে দেন।
হযরত আবু নাস্র আসাদী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) জিজ্ঞাসিত হনঃ “রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কি ভাবে নারীদের পরীক্ষা নিতেন?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “তা এই ভাবে যে, তারা শপথ করে করে বলতো যে, তারা স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে নয় এবং শুধু আবহাওয়া ও মাটির পরিবর্তনের জন্যে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নয়, বরং একমাত্র আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর মহব্বতে ইসলামের খাতিরেই দেশ ত্যাগ করেছে। এ ছাড়া তাদের আর কোন উদ্দেশ্য নেই।” (এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
কসম দিয়ে এই প্রশ্নগুলো করা ও ভালভাবে পরীক্ষা করার দায়িত্ব হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ)-এর উপর অর্পিত ছিল। (এটা ইমাম বাযযার (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
ইমাম আওফী (রঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তাদের পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ছিলঃ তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। পরীক্ষা নেয়ার পর যদি বুঝা যেতো যে, তারা পার্থিব কোন স্বার্থের জন্যে হিজরত করেছে তবে তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হতো। যেমন জানা যেতো যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে বা কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে স্ত্রী হিজরত করেছে ইত্যাদি।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা (নারীরা) মুমিনা তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না। এর দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, কারো ঈমানদার হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত রূপে অবহিত হওয়া সম্ভব।
এরপর আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ ‘মুমিনা নারীরা কাফিরদের জন্যে বৈধ নয় এবং কাফিররা মুমিনা নারীদের জন্যে বৈধ নয়। এই আয়াত এই আত্মীয়তার সম্পর্ককে হারাম করে দিয়েছে। ইতিপূর্বে মুমিনা নারীদের বিবাহ কাফিরদের সাথে বৈধ ছিল। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর কন্যা হযরত যায়নাব (রাঃ)-এর বিয়ে হয়েছিল আবুল আস ইবনে রাবী (রাঃ)-এর সাথে। অথচ ঐ সময় তিনি কুফরীর উপর ছিলেন। আর হযরত যায়নাব (রাঃ) ছিলেন মুসলমান। বদরের যুদ্ধে তিনিও কাফিরদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। এ যুদ্ধে যে কাফিররা মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়েছিল তিনিও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। হযরত যায়নাব (রাঃ) তাঁর মাতা হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর হারটি তাঁর স্বামী আবুল আ’স (রাঃ)-এর মুক্তিপণ হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। হারটি দেখে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর মধ্যে ভাবাবেগ সৃষ্টি হয় এবং তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে মুসলমানদেরকে বলেনঃ “যদি তোমরা আমার কন্যার বন্দীকে মুক্তি দেয়া পছন্দ কর তবে তাকে মুক্ত করে দাও।” মুসলমানরা মুক্তিপণ ছাড়াই সন্তুষ্টচিত্তে আবুল আ’স (রাঃ)-কে মুক্ত করে দিতে সম্মত হন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁকে আযাদ করে দিয়ে বলেন যে, তিনি যেন তার কন্যা হযরত যায়নাব (রাঃ)-কে মদীনায় পাঠিয়ে দেন। আবুল আস (রাঃ) তা স্বীকার করেন। মক্কায় গিয়ে তিনি হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা (রাঃ)-এর সাথে হযরত যায়নাব (রাঃ)-কে মদীনায় পাঠিয়ে দেন। এটা হলো দ্বিতীয় হিজরীর ঘটনা। হযরত যায়নাব (রাঃ) মদীনাতেই অবস্থান করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ্ হযরত আবুল আ’স (রাঃ)-কে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দান করেন এবং তিনি মুসলমান হয়ে যান। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তার কন্যাকে পূর্বের বিবাহের উপরই নতুন মহর ছাড়াই হযরত আবুল আস (রাঃ)-এর কাছে সমর্পণ করেন।
অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, দুই বছর পর হযরত আবুল আস (রাঃ) মুসলমান হয়েছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তার কন্যা হযরত যায়নাব (রাঃ)-কে ঐ পূর্ব বিবাহের উপরই তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেন।
এটা সঠিক কথা যে, মুমিনা নারীরা মুশরিক পুরুষদের উপর হারাম হওয়ার দুই বছর পরে হযরত আবুল আস (রাঃ) মুসলমান হয়েছিলেন। অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত আবুল আস (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পর আবার নতুনভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং নতুনভাবে মহরও ধার্য করা হয়েছিল। ইমাম তিরমিযী (রঃ) বলেন যে, হযরত ইয়াযীদ (রঃ) বলেছেনঃ প্রথম হাদীসের বর্ণনাকারী হলেন হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং ইসনাদ হিসেবে এ রিওয়াইয়াতটি উন্নততর। আর দ্বিতীয় হাদীসের বর্ণনাকারী হলেন হযরত আমর ইবনে শুআয়েব (রাঃ) এবং আমল এর উপরই রয়েছে। কিন্তু এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, হযরত আমর ইবনে শুয়ায়েব (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটির একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন হাজ্জাজ ইবনে ইরতাত যাকে হযরত ইমাম আহমাদ (রঃ) প্রমুখ গুরুজন দুর্বল বলেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের জবাব জমহুর এই দেন যে, এটা ব্যক্তিগত ঘটনা, হয়তো তার ইদ্দত শেষই হয়নি। অধিকাংশ গুরুজনের মাযহাব এই যে, এই অবস্থায় যখন স্ত্রী ইদ্দত পুরো করে নিবে এবং তখন পর্যন্ত তার স্বামী মুসলমান না হবে তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। কোন কোন মনীষীর মাযহাব এটাও যে, ইদ্দত পুরো করার পর স্ত্রীর স্বাধীনতা রয়েছে, ইচ্ছা করলে সে তার পূর্ব বিবাহ ঠিক রাখতে পারে এবং ইচ্ছা করলে ফস করে দিতেও পারে। এর উপরই তারা হযরত ইবনে উমার (রাঃ)-এর রিওয়াইয়াতকে মাহ্মূল করে থাকেন।
এরপর আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ কাফির স্বামীরা তাদের ঐ মুহাজিরা স্ত্রীদের জন্যে যা ব্যয় করেছে তা তোমরা তাদেরকে ফিরিয়ে দিবে, যেমন মহর।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে মুমিনগণ! এখন তোমরা হিজরতকারিণী ঐ মুহাজিরা মুমিনা নারীদেরকে মহর দিয়ে বিয়ে করে নিলে তোমাদের কোন অপরাধ হবে না। ইদ্দত অতিক্রান্ত হওয়া, ওলী নির্ধারণ করা ইত্যাদি যেসব বিষয় বিয়ের জন্যে শর্ত, এসব শর্ত পূরণ করে ঐ মুহাজির নারীদেরকে যেসব মুসলমান বিয়ে করতে চায় করতে পারে।
অতঃপর ইরশাদ হচ্ছেঃ হে মুমিনগণ! তোমরা ঐ নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে। অনুরূপভাবে কাফিরা নারীদেরকে বিয়ে করাও তোমাদের জন্যে হারাম।
এই হুকুম অবতীর্ণ হওয়া মাত্রই হযরত উমার (রাঃ) তাঁর দু'টি কাফিরা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন যাদের একজনকে হযরত মুআবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান (রাঃ) বিয়ে করেন এবং অপরজনের বিয়ে হয় সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার সাথে।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) কাফিরদের সাথে সন্ধি করে ফেলেছেন এবং তখনও তিনি হুদায়বিয়ার নীচের অংশেই রয়েছেন এমতাবস্থায় এই আয়াত নাযিল হয় এবং মুসলমানদেরকে বলে দেয়া হয়ঃ “হিজরত করে যেসব নারী আসবে এবং তাদের খাঁটি মুমিনা হওয়া এবং আন্তরিকতার সাথে হিজরত করার অবস্থাও জানা যাবে তখন তোমরা তাদের কাফির স্বামীদেরকে তাদের দেয়া মহর ফিরিয়ে দিবে।” অনুরূপভাবে কাফিরদেরকেও এই হুকুম শুনিয়ে দেয়া হয়। এই হুকুমের কারণ ঐ চুক্তিপত্র ছিল যা সবেমাত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। হযরত উমার (রাঃ) তাঁর যে দু’টি কাফিরা স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন তাদের একজনের নাম ছিল কুরাইবা। (তাফসীরে বাগাভীতে এর নাম রয়েছে ফাতিমা) সে আবূ উমাইয়া ইবনে মুগীরার কন্যা ছিল। অপরটির নাম ছিল কুলসূম এবং সে ছিল আমর ইবনে জারওয়ান খুযায়ীর কন্যা। সে-ই ছিল হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর মাতা। তাকে আবূ জাহাম ইবনে হুযাইফা ইবনে গানিম খুযায়ী বিয়ে করে নিয়েছিল। এও মুশরিক ছিল। এই হুকুমের ভিত্তিতেই হযরত তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ্ (রাঃ) তার কাফিরা স্ত্রী আরওয়া বিনতে বাবীআহ্ ইবনে হারিস ইবনে আবদিল মুত্তালিবকে তালাক দিয়ে দেন। তাকে খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনে। আ’স বিয়ে করে।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ এরপর বলেনঃ হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের (কাফিরা) স্ত্রীদের উপর যা খরচ করেছো তা তোমরা কাফিরদের নিকট হতে নিয়ে নাও যখন তারা তাদের মধ্যে চলে যাবে। আর কাফিরদের যেসব স্ত্রী মুসলমান হয়ে তোমাদের নিকট চলে আসবে তাদেরকে তোমরা দিয়ে দাও যা তারা তাদের এই স্ত্রীদের উপর খরচ করেছে।
এটাই আল্লাহর বিধান। তিনি মুমিনদের মধ্যে ফায়সালা করে থাকেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। বান্দাদের জন্যে কি যোগ্য ও উপযুক্ত তা তিনি পূর্ণরূপে ওয়াকিফহাল। তার কোন হুকুমই হিকমত শূন্য নয়। কারণ সাধারণভাবে তিনিই প্রজ্ঞাময়।
(আরবী)-এই আয়াতের ভাবার্থ হযরত কাতাদা (রঃ) এই বর্ণনা করেনঃ হে মুমিনগণ! যে কাফিরদের সাথে তোমাদের সন্ধি ও চুক্তি হয়নি, যদি কোন স্ত্রী তার মুসলমান স্বামীর ঘর হতে বের হয়ে গিয়ে তাদের সাথে মিলিত হয় তবে এটা প্রকাশমান যে, তার মুসলমান স্বামী তার উপর যা খরচ করেছে তা তারা ফেরত দিবে না। সুতরাং এর বিনিময়ে তোমাদেরকেও অনুমতি দেয়া হচ্ছে যে, যদি তাদের মধ্য হতে কোন নারী মুসলমান হয়ে তোমাদের মধ্যে চলে আসে তবে তোমরাও তার স্বামীকে কিছুই দিবে না, যে পর্যন্ত না তারা তোমাদেরকে দেয়।
হযরত যুহরী (রঃ বলেন যে, মুসলমানরা তো আল্লাহ্ তা'আলার এই হুকুম পালন করেছিল এবং কাফিরদের যেসব স্ত্রী মুসলমান হয়ে হিজরত করে চলে এসেছিল, তাদের স্বামীদেরকে তারা তাদের দেয়া মহর ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মুশরিকরা আল্লাহ্ তা'আলার এই হুকুম মানতে অস্বীকার করে। তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং মুসলমানদেরকে অনুমতি দিয়ে বলা হয় যদি তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে কেউ হাত ছাড়া হয়ে কাফিরদের নিকট চলে যায় এবং তারা তোমাদেরকে তোমাদের খরচকৃত জিনিস না দেয় তবে যখন তাদের মধ্য হতে কোন নারী তোমাদের নিকট চলে আসবে তখন তোমরা তোমাদের কত খরচ বের করে দিয়ে কিছু অতিরিক্ত হলে তা তাদেরকে প্রদান করবে, অন্যথায় মুআমালা এখান হতেই শেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ তাদেরকে কিছুই দিতে হবে না।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে এর ভাবার্থ বর্ণিত আছেঃ এতে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে হুকুম দেয়া হচ্ছে যে, যে মুসলিম নারী কাফিরদের মধ্যে চলে যাবে এবং কাফিররা তার স্বামীকে তার কৃত খরচ প্রদান না করবে, তাকে তিনি গানীমতের মাল হতে তার খরচ পরিমাণ প্রদান করবেন। সুতরাং (আরবী)-এর অর্থ দাঁড়ালোঃ হে মুমিনগণ! এর পর যদি তোমরা কুরায়েশদের হতে অথবা কাফিরদের অন্য কোন দল হতে গানীমতের মাল লাভ কর তবে তোমাদের মধ্যে যাদের স্ত্রীরা কাফিরদের মধ্যে চলে গেছে তাদের খরচকৃত মালের সমপরিমাণ তাদেরকে তা হতে দিয়ে দাও। অর্থাৎ মহরে মিসাল প্রদান কর। এই উক্তিগুলোতে বৈপরীত্য কিছুই নেই। ভাবার্থ এই যে, প্রথম রূপ যদি সম্ভব হয় তবে তো ভাল কথা, অন্যথায় গানীমতের মাল হতে তাদের প্রাপ্য তাদেরকে দিয়ে দিতে হবে। দুটোতেই ইখতিয়ার রয়েছে এবং হুকুমের মধ্যে প্রশস্ততা আছে। হযরত ইবনে জারীর (রঃ) এই আনুকূল্যই পছন্দ করেছেন। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা'আলারই জন্যে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings