Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 97
Saheeh International
Allah has made the Ka'bah, the Sacred House, standing for the people and [has sanctified] the sacred months and the sacrificial animals and the garlands [by which they are identified]. That is so you may know that Allah knows what is in the heavens and what is in the earth and that Allah is Knowing of all things.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯৬-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর:
ইহরাম অবস্থায় স্থলচর ও জলচর উভয় শ্রেণির প্রাণীই শিকার করা নিষিদ্ধের আওতাভুক্ত। কিন্তু
(أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُه)
‘তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে’এ আয়াত দ্বারা জলচর প্রাণী ইহরাম অবস্থায় শিকার করা বৈধ করে দেয়া হয়েছে। (আযওয়াউল বায়ান: ২/৮৮)
পানির জীবিত ও মৃত উভয় শ্রেণিই হালাল। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন: জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সমুদ্রে ভ্রমণ করি, সাথে অল্প কিছু পানি বহন করি। যদি তা দিয়ে ওযূ করি তাহলে পানি শেষ হয়ে যাবে আর আমরা পিপাসার্ত হয়ে যাব। আমরা কি সমুদ্রের পানি দ্বারা ওযূ করতে পারি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন:
هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ
(সাগরের) পানি পবিত্র ও মৃত প্রাণী সবই হালাল। (আবূ দাঊদ হা: ৮৩, তিরযিমী হা: ৬৯, সহীহাহ: ৪৮০)
(مَا دُمْتُمْ حُرُمًا)
“যতক্ষণ ইহরামে থাকবে” অর্থাৎ যতক্ষণ ইহরাম অবস্থায় থাকবে ততক্ষণ শিকার করা, শিকারের কাজে সহযোগিতা করা, শিকার দেখিয়ে দেয়া সব কিছু নিষেধ। তবে মুহরিম ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ শিকার করে হাদিয়া দিলে খাওয়া হারাম হবে না। (তাফসীর তাবারী ১১/৭৯, হা: ১২৭৫)
ইমাম শাফিঈ (রহঃ) ও আহমাদ (রহঃ)-সহ অধিকাংশ আলেম বলেন: শিকারী ব্যক্তি যদি মুহরিম ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শিকার করে তাহলে মুহরিম ব্যক্তির জন্য তা খাওয়া হালাল হবে না। সা’ব বিন জুসামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জংলী গাধা হাদিয়া দিলেন, কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা ফিরিয়ে দিলেন। যখন ঐ ব্যক্তির মুখে অসন্তোষ ভাব দেখতে পেলেন তখন বললেন, আমি মুহরিম না হলে তোমার হাদিয়া ফেরত দিতাম না। (সহীহ বুখারী হা: ১৮২৫)
(جَعَلَ اللّٰهُ الْكَعْبَةَ)
‘‘কা‘বাকে আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন’অর্থাৎ কা‘বাকে দীনের উপযোগী ও জীবনের নিরাপত্তা করে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়নে এবং তাঁর ফরয বিধান যথাযথভাবে পালনে সুযোগ করে দিয়েছেন।
আর হারাম মাসে (যুলকাদা, যুলহাজ্জ, মুহাররাম ও রজব) সীমালঙ্ঘন ও হত্যা করা হারাম করে দিয়েছেন। ফলে এ মাসগুলোতে কেউ কারো ওপর সীমালঙ্ঘন করতে পারবে না এবং হারামের জন্য যে পশু উৎসর্গ করা হয়েছে তার ওপর সীমালঙ্ঘন করা, অনুরূপভাবে গলায় মালা পরিহিত পশু যা কুরবানীর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার ওপর সীমালঙ্ঘন করা হারাম করেছেন।
রাসূলের ওপর দায়িত্ব শুধু পৌঁছে দেয়া, তিনি পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষ যা প্রকাশ করে আর যা গোপন করে তা সবই আল্লাহ তা‘আলা জানেন। সেই অনুযায়ী মানুষকে প্রতিদান দেবেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইহরাম অবস্থায় জলচর প্রাণী শিকার করা বৈধ, স্থলচর প্রাণী শিকার করা হারাম।
২. কা‘বা ও হারাম মাসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings