Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 88
Saheeh International
And eat of what Allah has provided for you [which is] lawful and good. And fear Allah, in whom you are believers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৭-৮৮ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করল। অতঃপর বলল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি যখনই গোশত জাতীয় খাবার গ্রহণ করি তখনই আমি কামোত্তেজনা অনুভব করি। তাই গোশত খাওয়া নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছি। তখন
(أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُحَرِّمُوْ طَيِّبٰتِ...)
আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ তিরযিমী হা: ৩০৫৪)
কোন ব্যক্তি কোন সমস্যার কারণে হালাল বস্তু খেতে না পারলে তা বর্জন করে চলবে বটে তবে নিজের ওপর হারাম মনে করবে না। কারণ বর্জন করা আর হারাম করা এক নয়। যেমন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যব নামক প্রাণী খেতে পারতেন না। ফলে তিনি নিজের জন্য হারাম করে নেননি বরং কেউ খেলে নিষেধও করতেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দস্তরখানা সামনে নিয়ে বসেছিলেন সে দস্তরখানা থেকে খালিদ বিন ওয়ালিদ যব প্রাণী খাচ্ছিলেন।
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, আমরা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যুদ্ধে বের হতাম, তখন আমাদের সঙ্গে স্ত্রীগণ থাকত না, তাই আমরা বলতাম, আমরা কি খাসি হয়ে যাব না? তিনি আমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করলেন এবং কাপড়ের বিনিময়ে হলেও মহিলাদেরকে সাময়িক সময়ের জন্য বিয়ে করার অর্থাৎ নিকাহে মুতার অনুমতি দিলেন এবং আয়াতটি পাঠ করলেন।
(প্রকাশ থাকে যে, মুতা বিবাহ হচ্ছে সাময়িক বা কন্ট্রাক্ট বিবাহ। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অর্থ-সম্পদের বিনিময়ে নির্ধারিত মেয়াদে বিয়ে। মেয়াদ শেষ হলে বিবাহ ভেঙ্গে যাবে। এ জাতীয় বিয়ে ইসলামের প্রথম দিকে জায়েয ছিল। পরবর্তীতে খায়বারের যুদ্ধের সময় তা চিরতরে হারাম ঘোষণা করা হয়)। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬১৫, সহীহ মুসলিম হা: ১৪০৪)
কোন ব্যক্তি নিজের জন্য হালাল বস্তু কসম ছাড়া (অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার কসম এমনটি না বলে) হারাম করে নিলে হারাম বলে গণ্য হবে না। কেবল স্ত্রী ব্যতীত। এ ব্যাপারে ওলামাদের এটাই অভিমত। আর কসম করলে (অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার কসম এটা আমার ওপর হারাম এমন বললে) ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন, তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে।
আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, সহীহ হাদীস এটাই প্রমাণ করে যে, তাকে কাফফারা দিতে হবে না। এটাই অধিকাংশ আলেমের অভিমত।
এ আয়াত দ্বারা অধিকাংশ আলেম বলেন: এ আয়াত প্রতিবাদ করছে ঐ সকল ব্যক্তিদের যারা বৈরাগ্যবাদে অতিরঞ্জিত করে। সুতরাং কোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য উচিত হবে না, আল্লাহ তা‘আলা যেসকল খাবার, পোশাক ও বিবাহ বৈধ করে দিয়েছেন তা হারাম করে নেয়া। তিনজন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাড়িতে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর একজন বলল: আমি যতদিন জীবিত থাকব ততদিন সওম রাখব কখনো সওম ছাড়ব না। আরেক জন বলল: আমি রাতে ঘুমাব না, সারা রাত ইবাদত করব, আরেকজন বলল: আমি জীবনে বিবাহ করব না। তাদের কথা জানার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: জেন রেখ! আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে বেশি ভয় করি, আমি দিনের বেলা সওম রাখি আবার সওম ছাড়ি, রাতে সালাত পড়ি আবার ঘুমাই, আমি বিবাহও করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত বর্জন করবে সে আমাদের অন্তুর্ভুক্ত নয়। (সহীহ বুখারী হা: ৫০৬৩) তাই ইসলামে নিজের চিন্তামত কিছু করার সুযোগ নেই।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন তা হারাম করে নেয়া হারাম।
২. হালাল রুজি খাওয়া ওয়াজিব এবং হারাম বর্জন করাও ওয়াজিব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings