Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 80
Saheeh International
You see many of them becoming allies of those who disbelieved. How wretched is that which they have put forth for themselves in that Allah has become angry with them, and in the punishment they will abide eternally.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭৮-৮১ নং আয়াতের তাফসীর:
দাঊদ (আঃ)-এর ওপর অবতীর্ণ যাবূর ও ঈসা (আঃ)-এর ওপর অবতীর্ণ ইঞ্জিল বানী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদের ওপর তা অভিশম্পাত করেছে। তার কারণ তারা অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী ছিল এবং তারা মানুষদেরকে অন্যায় কাজে বাধা দিত না বরং নিজেরা অন্যায় কাজ করত। অন্যায় কাজ করা যেমন অপরাধ তেমনি অন্যায় কাজ দেখে নীরব থাকাও অপরাধ।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: শনিবারের ব্যাপারে যারা সীমালঙ্ঘন করেছে তারা দাঊদ (আঃ)-এর ভাষায় লা‘নতপ্রাপ্ত হয়েছে, আসমান থেকে খাবার আসার পরেও যারা কুফরী করেছে তারা ঈসা (আঃ)-এর ভাষায় লা‘নতপ্রাপ্ত হয়েছে। এরূপ বর্ণনা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রয়েছে। বলা হয়: পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি কুফরী করেছে তারা সবাই দাঊদ ও ঈসা (আঃ)-এর ভাষায় লা’নত প্রাপ্ত হয়েছে। কারণ তাঁরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। (তাফসীর কুরতুবী ৫/১৯০)
আমাদেরও সতর্ক হওয়া উচিত এবং যতদূর সম্ভব মন্দকাজে বাধা দেয়া কর্তব্য। অন্যথায় পূর্ববর্তীদের মত আমাদেরকেও শাস্তি গ্রাস করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করবে। অন্যথায় আমার আশঙ্কা আমাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে শাস্তি আসবে। অতঃপর তোমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আ করবে কিন্তু তা কবূল হবে না। (তিরযিমী হা: ২১৬৯, মুসনাদ আহমাদ: ৫/৩৮৮, হাসান)
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ করতে দেখবে সে যেন তার হাত দ্বারা বাধা দেয়, তাতে সক্ষম না হলে কথা দ্বারা বাধা দেয়, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা পরিবর্তনের চেষ্টা করবে; এটা সর্বনিম্ন ঈমানের পরিচয়। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯ তিরযিমী হা: ২১৭২, নাসাঈ হা: ৫০২৩)
যায়নাব বিনতু জাহশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে সৎ ব্যক্তিরা থাকা সত্ত্বেও কি আমাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হ্যাঁ, যখন খারাপ কাজ অধিক হারে বেড়ে যাবে। (সহীহ বুখারী হা: ৩৩৪৬)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সীমালঙ্ঘন ও অবাধ্যতা অভিশপ্ত হবার অন্যতম কারণ।
২. অন্যায় কাজে জড়িত ব্যক্তিকে সাধ্যমত বাধা দেয়া ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ওপর ওয়াজিব ও চুপ থাকা হারাম।
৩. যারা ঈমানদার তারা কখনো কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings