Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 75
Saheeh International
The Messiah, son of Mary, was not but a messenger; [other] messengers have passed on before him. And his mother was a supporter of truth. They both used to eat food. Look how We make clear to them the signs; then look how they are deluded.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭২-৭৫ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা বলে, “ঈসা হলেন আল্লাহ”এবং যারা বলে, “আল্লাহ তিনজনের একজন” (আল্লাহ, ঈসা ও মারইয়াম) তারা কাফির। এ সম্পর্কে এ সূরার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে খ্রিস্টানদের ভ্রষ্টতার বিবরণ পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। ঈসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার দাস বলে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেননি। তিনি যখন দুগ্ধপোষ্য শিশু তখন তিনি আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশে সর্বপ্রথম নিজের মুখে আল্লাহ তা‘আলার দাসত্বের কথা প্রকাশ করেছিলেন, যখন সাধারণত শিশুরা কথা বলতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ঈসা (আঃ) বলেছিল,
(قَالَ إِنِّيْ عَبْدُ اللّٰهِ اٰتٰنِيَ الْكِتٰبَ وَجَعَلَنِيْ نَبِيًّا)
“সে বলল: ‘আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নাবী করেছেন, (সূরা মারইয়াম ১৯:৩০)
ঈসা (আঃ) এ কথা বলেননি যে, “আমিই আল্লাহ অথবা আল্লাহর পুত্র।”বরং তিনি বলেছেন “আমি আল্লাহর দাস” এবং তিনি পরিণত বয়সে উপনীত হয়ে এ দাওয়াতই দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন:
(إِنَّ اللّٰهَ رَبِّيْ وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْهُ ط هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ)
“নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার এবং তোমাদের রব। অতএব তোমরা তাঁরই ইবাদত কর। এটাই সঠিক পথ।”(সূরা আলি-ইমরান ৩:৫১)
এ সেই শব্দাবলী যা তিনি মায়ের কোলেও বলেছিলেন। (সূরা মারইয়াম ১৯:৩৬) অনুরূপ কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে তিনি আসমান হতে অবতরণ করবেন, তিনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসারী হয়ে আসবেন, আল্লাহ তা‘আলার এককত্ব ও তাঁর আনুগত্যের দিকে আহ্বান করবেন। নিজের ইবাদতের দিকে নয়।
(فَقَدْ حَرَّمَ اللّٰهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ)
“আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন”যারা শির্কে আকবার তথা বড় শির্কে লিপ্ত হয়। তাদের পরিণতি হল:
(১) তাদের সকল আমল বাতিল হয়ে যাবে। (২) তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।
(৩) তাদের জন্য জান্নাত হারাম। (৪) জাহান্নাম তাদের ঠিকানা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَنَادٰٓي أَصْحٰبُ النَّارِ أَصْحٰبَ الْجَنَّةِ أَنْ أَفِيْضُوْا عَلَيْنَا مِنَ الْمَا۬ءِ أَوْ مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّٰهُ ط قَالُوْآ إِنَّ اللّٰهَ حَرَّمَهُمَا عَلَي الْكٰفِرِيْنَ)
“জাহান্নামীরা জান্নাতবাসীদেরকে সম্বোধন করে বলবে, ‘আমাদের ওপর কিছু পানি ঢেলে দাও, অথবা ‘আল্লাহ জীবিকাস্বরূপ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা হতে কিছু দাও।’তারা বলবে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের জন্য এ দু’টি হারাম করেছেন।”(সূরা আ‘রাফ ৭:৫০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُّسْلِمَةٌ
মু’মিন আত্মা ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। (সহীহ বুখারী হা: ২৮৯৭)
(وَأُمُّه۫ صِدِّيْقَةٌ)
‘তার মা পরম সত্যনিষ্ঠা ছিলেন।’অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর মা ছিলেন সত্যবাদী যাদের মযার্দা নাবীদের পরে। তিনি ঈসা (আঃ)-এর ওপর ঈমান এনেছিলেন। অর্থাৎ তিনি নাবী ছিলেন না। যেমন অনেকে ধারণা করে থাকে মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর সাথে ফেরেশতা কথা বলেছিলেন, তাঁর ওপর ওয়াহী হয়েছিল তাই তিনিও নাবী।
আল্লাহ তা‘আলা নারীদের থেকে কাউকে নাবী হিসেবে প্রেরণ করেননি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوْحِيْٓ إِلَيْهِمْ مِّنْ أَهْلِ الْقُرٰي)
“তোমার পূর্বেও জনপদবাসীদের মধ্য হতে পুরুষগণকেই প্রেরণ করেছিলাম, যাদের নিকট ওয়াহী পাঠাতাম।”(সূরা ইউসূফ ১২:১০৯)
(كَانَا يَأْكُلٰنِ الطَّعَامَ)
‘তারা উভয়ে খাবার খেত।’মারইয়াম (আলাইহাস সালাম) ও ঈসা (আঃ) উভয়ে খাবার খেতেন। এ আয়াতের এ অংশ প্রমাণ করছে যে, তারা কেউ মা‘বূদ ছিলেন না। যদি মা‘বূদই হতেন তাহলে খাবারের প্রয়োজন হত না এবং তারা ফেরেশতাও ছিলেন না। কেননা ফেরেশতাগণ খাবার ও অন্যান্য জিনিসের প্রতি মুখাপেক্ষী নয় যা মানুষের প্রয়োজন। এসব আল্লাহ তা‘আলা বিস্তারিত বর্ণনা করে দিয়েছেন, এরপরেও যে সকল মানুষ সত্য বিমুখ তারাই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
সুতরাং যারা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী তারা কাফির, ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে যারা বাড়াবাড়ি করেছে তাদের থেকে তিনি মুক্ত, তিনি এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ঈসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার একজন বান্দা ও রাসূল ছিলেন। তিনি নিজে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতেন এবং মানুষকে সেদিকে আহ্বান করতেন।
২. শির্কে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তি তাওবাহ করে ফিরে না আসলে তার ঠিকানা জাহান্নাম।
৩. ত্রিত্ববাদের বিশ্বাস ভ্রান্ত বিশ্বাস।
৪. বানী ইসরাঈলের জন্যও তাওবার দরজা খোলা ছিল।
৫. পৃথিবীর সকল নাবীই ছিলেন পুরুষ, নারীদের মধ্য হতে কোন নাবী আগমন করেননি।
৬. ঈসা (আঃ) ও তাঁর মা ছিলেন সাধারণ মানুষের মত যারা পানাহার করতেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings