Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 58
Saheeh International
And when you call to prayer, they take it in ridicule and amusement. That is because they are a people who do not use reason.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৭-৫৮ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা সেসব পূর্ববর্তী কিতাবধারী ও কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন যারা আমাদের দীন ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা ও খেল-তামাশা করে।
এ বিধান শুধু পূর্ববর্তী কিতাবধারী ও কাফিরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাদেরকে তো সাধারণভাবেই কোনক্রমে বন্ধু বানানো যাবে না, এ কাজ করুক আর না করুক। বরং এ আচরণ যাদের মধ্যেই বিদ্যমান থাকবে বা প্রকাশ পাবে সে নামধারী মুসলিম হলেও তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। কেননা এরা সবাই শয়তানের দলে, আল্লাহ তা‘আলার দলে নয়। এমনিভাবে যারা ইসলামের বিধান ও মুসলিমদের নিয়ে ঠাট্টা করে তারাও ঐ সব শয়তানের দল। এরা ইসলাম ও মুসলিমদের শত্র“।
সুতরাং সে সকল মু’মিনের ঈমানের ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ হয়- যারা মুখে ঈমানের দাবী করে যারা ইসলাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করে, মুসলিমদের প্রিয় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ব্যঙ্গ করে এবং ইসলামের বিধি-বিধানকে কুদৃষ্টিতে দেখে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখে। যদি সত্যিই তারা ইসলামকে ভালবাসে তাহলে ইসলামকে যারা খারাপ জানে তাদেরকে ভাল জানতে পারে না। অবশ্যই তাদেরকে খারাপ জানবে। এটাই ঈমানের দাবী।
(وَإِذَا نَادَيْتُمْ إِلَي الصَّلٰوةِ)
‘তোমরা যখন সালাতের জন্য আহ্বান কর’ তোমরা সালাতের জন্য আহ্বান কর বা আযান দাও তখনও তারা এটাকে ঠাট্টা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে।
হাদীসে এসেছে; যখন আযান দেয়া হয় তখন শয়তান পিছনদ্বার দিয়ে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে এতদূর চলে যায় যেখানে আযান শোনা যায় না। আযান শেে সে আবার ফিরে আসে। (সহীহ বুখারী হা: ৬০৮, সহীহ মুসলিম হা: ৩৮৯)
অনুরূপভাবে শয়তানের অনুসারীদেরকেও আযান শুনতে ভাল লাগে না। যার কারণে আযান নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মন্তব্য করে। এরা ইসলামের শত্র“ ও শয়তানের দল।
এ আয়াত থেকে বুঝা যায়, হাদীসও শরীয়তের মূল উৎস ও অকাট্য প্রমাণ। কারণ কুরআনে সালাতের জন্য আযানের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু আযান কিভাবে দিতে হবে তার ধরণ-করণ ইত্যাদি কিছ্্ুই উল্লেখ নেই। এর বিস্তারিত বর্ণনা হাদীসে এসেছে। সুতরাং হাদীস দীনের অকাট্য দলীল। তবে হাদীস হতে হবে সহীহ, কারণ ইসলামের শত্র“রা ইসলাম ও মুসলিমদের ক্ষতি করার জন্য অনেক বানোয়াট কথা হাদীসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। সুতরাং কোন সহীহ হাদীস যদি একটি মাত্র বর্ণনাকারী দ্বারাও বর্ণিত হয় তাহলেও তা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। চাই আমার মত, দল ও চিন্তার সাথে মিলুক আর নাই মিলুক।
ইসলামের কোন বিধি-বিধান ও প্রতীক নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করলে তার বিধান সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُوْلُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوْضُ وَنَلْعَبُ ط قُلْ أَبِاللّٰهِ وَاٰيٰتِه۪ وَرَسُوْلِه۪ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ - لَا تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ)
“এবং তুমি তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে: ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বল: ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে বিদ্রƒপ করছিলে? ‘তোমরা ওযর পেশের চেষ্টা কর না। তোমরা ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছ।”(সূরা তাওবাহ ৯:৬৫)
তাই আমাদের উচিত ইসলামের প্রতিটি বিধান ও প্রতীককে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কাফির মুশরিকরা আমাদের দীন নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করে, অতএব কিভাবে আমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখব?
২. যারা ইসলামের কোন বিধান ও নিদর্শন নিয়ে ঠাট্টা করবে তারা মুসলিম থাকতে পারে না।
৩. হাদীসও কুরআনের মত ইসলামী শরীয়তের অকাট্য প্রমাণ। হাদীস ছাড়া ইসলাম পূর্ণঙ্গভাবে পালন করা সম্ভব নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings