Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 49
Saheeh International
And judge, [O Muhammad], between them by what Allah has revealed and do not follow their inclinations and beware of them, lest they tempt you away from some of what Allah has revealed to you. And if they turn away - then know that Allah only intends to afflict them with some of their [own] sins. And indeed, many among the people are defiantly disobedient.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর:
মূসা (আঃ)-এর ওপর তাওরাত এবং ঈসা (আঃ)-এর ওপর ইঞ্জীল অবতীর্ণ করতঃ তার অনুসরণ করার ও তার দ্বারা ফায়সালা করার নির্দেশ দেয়ার পর নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর যে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন, তার দ্বারা স্বীয় উম্মাতের মাঝে ফায়সালা করার নির্দেশ দিচ্ছেন এবং আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যা দিয়েছেন প্রবৃত্তির অনুসরণ যেন তা থেকে বিমুখ না করে।
(لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً)
‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য দিয়েছি একটি নির্দিষ্ট শরীয়ত ও একটি নির্দিষ্ট পথ।’এর অর্থ হল: পূর্বোক্ত শরীয়তসমূহে গৌণ বিষয়ে কিছু মতপার্থক্য ছিল। এক শরীয়তে কোন জিনিস হালাল ছিল অন্য শরীয়তে তা হারাম ছিল। এক শরীয়তে কোন বিষয় কষ্টকর ছিল অন্য শরীয়তে তা সহজ ছিল। কিন্তু সকলের দীন ছিল একটাই; তা হল ইসলাম। আর তা প্রতিষ্ঠিত ছিল তাওহীদের ওপর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
وَالْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ لِعَلَّاتٍ، أُمَّهَاتُهُمْ شَتَّي وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ
নাবীগণ সবাই বৈমাত্রিয় ভাই, তাদের মাতা ভিন্ন কিন্তু তাদের দীন একই। (সহীহ বুখারী হা: ৩৪৪৩, সহীহ মুসলিম হা: ২৩৬৫) এর অর্থ হল আমাদের সকলের দীন এক কিন্তু পদ্ধতিতে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
(أُمَّةً وَّاحِدَةً)
‘এক সম্প্রদায়’আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে সকলকে এক শরীয়তের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখতেন, কিছু রহিত করতেন না। কিন্তু বিভিন্ন শরীয়ত দান করেছেন এটা পরীক্ষা করার জন্য যে, কে দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে আর কে বিচ্যুত হয়।
(أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُوْنَ)
“তবে কী তারা জাহেলী যুগের বিধি ব্যবস্থার আশা করে?” কুরআন ও সুন্নাহর ইসলাম ব্যতীত সব কিছুই জাহিলিয়াত। এখানে আল্লাহ তা‘আলা তা‘আলা তিরস্কার ও ভর্ৎসনার সাথে প্রশ্ন করেছেন। এর আসল অর্থ হল: আল্লাহ তা‘আলা তোমার ওপর যা অবতীর্ণ করেছেন তা দ্বারা তোমার বিচার ফায়সালা করা হতে তারা কি বিমুখ হতে চায় এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে, আর জাহেলী যুগের বিচার ফায়সালা তালাশ করে?
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলার কাছে ঐ ব্যক্তি বেশি ক্রোধভাজন, যে ইসলামে জাহিলি যুগের রীতিনীতি খেঁাঁজে এবং অন্যায়ভাবে অন্যের রক্ত প্রবাহিত করতে চায়। (সহীহ বুখারী হা: ৬৮৮২)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রত্যেক ফায়সালা কিতাব ও সহীহ সুন্নাহ দ্বারা হওয়া আবশ্যক।
২. প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে।
৩. শরীয়ত ভিন্নতার হিকমত জানতে পারলাম।
৪. দুনিয়ার বালা-মুসিবত মানুষের পাপের কারণে আসে।
৫. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শরীয়তের বিধান সর্বশেষ এবং সর্বোৎকৃষ্ট।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings