Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 40
Saheeh International
Do you not know that to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth? He punishes whom He wills and forgives whom He wills, and Allah is over all things competent.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৮-৪০ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা চোর ও চোরনীর হাত কাটার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এতে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। সম্পদের হিফাযত হবে এবং মানুষ চুরির মত কবীরা গুনাহ ও অসভ্য আচরণ থেকে বেঁচে থাকবে।
যে ব্যক্তি অন্যের সংরক্ষিত সম্পদ অনুমতি ছাড়া গোপনীয়ভাবে নিয়ে আসে তাকে চোর বলে। অতএব অসংরক্ষিত সম্পদ, নির্দিষ্ট পরিমাণ ও গোপনীয়ভাবে না হলে চুরির শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে না।
তবে কতটুকু পরিমাণ চুরি করলে হাত কাটা হবে এ নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। এ বিষয়ে সঠিক কথা হল: যদি চুরিকৃত জিনিসের পরিমাণ এক চতুর্থাংশ স্বর্ণমুদ্রা (দীনার) অথবা তিনটি রৌপ্যমুদ্রা (দিরহাম) অথবা ঐ পরিমাণ মূল্যের কোন জিনিস হলে হাত কাটা হবে। (তাফসীর সা‘দী, পৃঃ ২১৯, আযউয়াউল বায়ান ৩/২৮৫, ইবনে কাসীর, ৩/১৩১, সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ ৪/১১৪)
হাত কাটা হবে কব্জি পর্যন্ত। প্রথমবার চুরি করলে ডান হাত কাটা হবে, দ্বিতীয়বার চুরি করলে বাম পা কাটা হবে; তার পরে চুরি করলে বাম হাত কাটা হবে। তারপরে চুরি করলে ডান পা কাটা হবে। অধিকাংশ উলামাগণ এটাই বলেছেন। (আযউয়াউল বায়ান, ৩/২৮৫)
চোরের কৃত কর্মের ফলাফল হিসেবে তার ওপর আল্লাহ তা‘আলার এ ফায়সালা বাস্তবায়ন করবে ইসলামী সরকার।
কিসের দ্বারা চোরের দণ্ড সাব্যস্ত হবে:
১. প্রমাণ: অবশ্যই দু’জন ন্যায়পরায়ণ স্বাধীন মুসলিম ব্যক্তি বিচারপতির সামনে সাক্ষ্য দেবে যে, সে চুরি করেছে।
২. অথবা নিজে স্বীকার করবে যে, আমি চুরি করেছি। (সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ: ৪/৯৫)
যে ব্যক্তি চুরি করার পর তাওবাহ করবে এবং আমল সংশোধন করে নেবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করবেন। অবশ্যই চুরিকৃত সম্পদ ফিরত দিতে হবে।
জাহিলী যুগে ধনী সম্ভ্রান্ত ও উচ্চ মর্যাদাশীল ব্যক্তি চুরি করলে ছেড়ে দিত। আর গরীব নীচু বংশের লোক চুরি করলে দণ্ড কায়েম করত।
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: মক্কা বিজয়ের দিন কুরাইশদের কোন এক মহিলা চুরি করেছিল। কুরাইশ বংশের লোকেরা বলল: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এ মহিলার ব্যাপারে কে সুপারিশ করবে? তারা বলল: উসামা বিন যায়েদ ছাড়া এ কাজে কেউ সাহস পাবে না। মহিলাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে আসা হল। উসামা তার ব্যাপারে সুপারিশ করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা লাল হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আল্লাহ তা‘আলার দণ্ডের ব্যাপারে সুপারিশ করছ? উসামা (রাঃ) বললেন: হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। বিকাল বেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন: আল্লাহ তা‘আলার যথার্থ প্রসংশা করলেন, অতঃপর বললেন: তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়েছে এজন্য যে, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত বংশের কেউ চুরি করলে ছেড়ে দিত আর দুর্বল ও নীচু বংশের কেউ চুরি করলে তার ওপর হদ কায়েম করত। আল্লাহ তা‘আলার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! যদি মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত তাহলে আমি তার হাত কেটে দিতাম। (সহীহ বুখারী হা: ৬৮৮৭)
আমাদের অবস্থা যেন এমন না হয় যে, বিত্তশালী ও মর্যাদাশালীদের ওপর দণ্ড কায়েম না করে শুধু গরীব নীচু শ্রেণি লোকদের ওপর বাস্তবায়ন করি। বিচারপতির কাছে বিচার চলে গেলে কোন প্রকার সুপারিশ করা নিষেধ। আমাদের সমাজে যদি ইসলামের এ বিধান প্রয়োগ হত তাহলে দূর্নীতি ও অরাজকতামুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত। হে আল্লাহ! তা‘আলা আমাদের তাওফীক দান করুন এবং প্রশাসকদের হিদায়াত দান করুন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. চুরি করা কবীরা গুনাহ।
২. চোরের জন্য শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তির বিধান রয়েছে।
৩. তাওবাহ করার পরেও চুরিকৃত সম্পদ মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে।
৪. আল্লাহ তা‘আলার এ বিধান চালু করলে সমাজে কোন প্রকার চুরির শঙ্কা থাকবে না।
৫. চোরের পক্ষে আদালতের কাছে সুপারিশ অবৈধ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings