Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 4
Saheeh International
They ask you, [O Muhammad], what has been made lawful for them. Say, "Lawful for you are [all] good foods and [game caught by] what you have trained of hunting animals which you train as Allah has taught you. So eat of what they catch for you, and mention the name of Allah upon it, and fear Allah ." Indeed, Allah is swift in account.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪-৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের জন্য যে সব খাদ্য হালাল করে দিয়েছেন, অত্র আয়াতে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।
যা পবিত্র ও উপকারী কেবল সে খাদ্যগুলো মানুষের জন্য হালাল করা হয়েছে। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبٰ۬ئِثَ)
“তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন।“ (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৭)
আরো হালাল করা হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাণী যা শিকার করে নিয়ে আসবে। তবে তার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে:
১. অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাণী বিসমিল্লাহ বলে ছাড়তে হবে।
২. যা শিকার করে নিয়ে আসবে তা যেন নিজে না খেয়ে মালিকের জন্য নিয়ে আসে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাণী খায় তাহলে খেয়ো না; কারণ সে তা নিজের জন্য শিকার করেছে। (সহীহ বুখারী হা: ১৭৫, সহীহ মুসলিম হা: ১৯২৯)
যদি প্রশক্ষিণপ্রাপ্ত প্রাণী কুকুর হয় তাহলে আরো কিছু শর্ত হল:
১. কুকুর কালো হবে না; কারণ কালো কুকুর শয়তান। (সহীহ মুসলিম হা: ৫১০)
২. যখন শিকার করার জন্য প্রেরণ করবে তখন দৌড়ে যাবে। আবার যখন থামতে বলবে তখন থেমে যাবে। যখন ফিরে আসতে বলবে তখন ফিরে আসবে।
৩. অন্য কোন কুকুর যেন তার সাথে শিকারে শরীক না হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৫৪৮৩)
এ থেকে বুঝা যাচ্ছে কুকুর লালন-পালন করা যাবে, তবে কেবল শিকার করা, বাড়ি বা ফসল পাহারা দেয়ার জন্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি শিকার করা অথবা ফসল পাহারা দেয়া ছাড়া কুকুর লালন-পালন করবে প্রতিদিন তার নেকী থেকে এক কিরাত পরিমাণ কমে যাবে। (সহীহ বুখারী হা: ৫৪৮২, সহীহ মুসলিম হা: ১৫৭৪) সুতরাং উল্লেখিত উদ্দেশ্য ছাড়া খ্রিস্টানদের সভ্যতা পালনে কুকুর ঘরে রাখা অবশ্যই হারাম এবং এজন্য প্রতিদিন তার নেকী কর্তন করা হবে।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের জন্য কেবল পবিত্র ও সার্বিক উপযোগী খাদ্য হালাল করার কথা পুনরাবৃত্তি করেছেন যাতে তাঁর শুকরিয়া আদায় এবং বেশি বেশি তাঁকে স্মরণ করা হয়।
আরো হালাল করে দিয়েছেন ইয়াহূদ ও খ্রিস্টানদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া। যখন তারা তাদের শরীয়তসম্মত পন্থায় তা জবেহ করবে; কেননা সকল নাবীগণই বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের নামে জবেহ করা হারাম ও শির্ক।
তাই যে সকল আহলে কিতাব আল্লাহ তা‘আলার নামে জবেহ করবে তাদের জবেহকৃত প্রাণী উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য খাওয়া হালাল। আহলে কিতাবদের পাত্রে পানাহার করাও বৈধ। সাহাবী আবূ সা‘লাবাহ আল খুশানী (রাঃ) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করলাম এবং বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আহলে কিতাবদের এলাকায় বসবাস করি, আমরা তো তাদের পাত্রে খাই এবং যারা শিকার করে তাদের এলাকায় বসবাস করি, তাদের ধনুক দিয়ে শিকার করি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা শিকার করি এবং অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারাও শিকার করি। আপনি আমাদের বলুন, এর মধ্যে কোন্টি আমাদের জন্য বৈধ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তুমি যে বললে, আহলে কিতাবদের এলাকায় বসবাস কর এবং তাদের পাত্রে খাও, যদি তাদের পাত্র ছাড়া অন্য পাত্র পাও তাহলে তাদের পাত্রে খাবে না, আর না পেলে তাদের পাত্র ধুয়ে নেবে, তারপর খাবে। (আবূ দাউদ হা: ২৮৫৭, হাসান)
অনুরূপভাবে স্বীয় ধর্মের পুত-পবিত্র ও স্বাধীন নারীদেরকে এবং ইয়াহূদ ও খ্রিস্টানদের পুত-পবিত্র ও স্বাধীন নারীদেরকে বিবাহ করা হালাল করেছেন। কেননা ব্যভিচারিণী ও খারাপ চরিত্রের মহিলা মু’মিনদের জন্য হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَلزَّانِيْ لَا يَنْكِحُ إِلَّا زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَّالزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَآ إِلَّا زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذٰلِكَ عَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ)
“ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারী ব্যতীত বিবাহ করে না এবং ব্যভিচারিণী ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ ব্যতীত বিবাহ করে না, আর মু’মিনদের জন্য ব্যভিচার করা হারাম হয়েছে।” (সূরা নূর ২৪:৩)
তবে শর্ত হল যথাযথভাবে তাদের মোহর আদায় করে দেবে। তোমরা ব্যভিচার করবে না এবং তাদেরকে ব্যভিচারিণী ও গোপন সঙ্গিণী হিসেবে গ্রহণ করবে না।
যে ব্যক্তি ঈমানের আবশ্যকীয় রুকন অস্বীকার করবে এবং তার ওপর মৃত্যু বরণ করবে তার সকল আমল বাতিল হয়ে যাবে। আর আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِيْنِه۪ فَيَمُتْ وَهُوَ كٰفِرٌ فَأُولٰ۬ئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ)
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন ত্যাগ করবে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মারা যাবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে।”(সূরা বাক্বারাহ ২:২১৭)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জানা না থাকলে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেয়া শরীয়তের নিয়ম।
২. শর্ত সাপেক্ষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাণী দ্বারা শিকার করা বৈধ।
৩. আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদ ও খ্রিস্টানদের মধ্যে যারা স্বধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত তাদের খাদ্য ও জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া হালাল।
৪. আহলে কিতাব নারীদের বিবাহ করা বৈধ। শর্ত হল, স্বাধীন ও পুত পবিত্র হতে হবে।
৫. পরকিয়া, বিবাহের পূর্বে সম্পর্ক ও সাময়িক বিবাহ হারাম।
৬. মুরতাদের সকল আমল বাতিল হওয়ার কারণে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে।
৭. বিবাহের পর মাহর প্রদান করা আবশ্যক।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings