Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 14
Saheeh International
And from those who say, "We are Christians" We took their covenant; but they forgot a portion of that of which they were reminded. So We caused among them animosity and hatred until the Day of Resurrection. And Allah is going to inform them about what they used to do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা বানী ইসরাঈল তথা ইয়াহূদীদের থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে সাহায্য করবেন এবং জান্নাত দেবেন যদি তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, রাসূলদের প্রতি ঈমান আনে ও সহযোগিতা করে এবং আল্লাহ তা‘আলাকে উত্তম ঋণ প্রদান করে। কিন্তু তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। অত্র আয়াতে সে অঙ্গীকার ভঙ্গের পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। এ অঙ্গীকার ভঙ্গের পরিণতিস্বরূপ- (১) তাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা লা’নত করেছেন; অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে তারা বঞ্চিত। (২) তাদের অন্তর কঠিন বানিয়ে দিয়েছেন ফলে কোন উপদেশবাণীর প্রভাব অন্তরে পড়ে না। (৩) আল্লাহ তা‘আলার কালাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে। এ পরিবর্তন দু’ধরনের ছিল, কখনো শব্দের পরিবর্তন, আবার কখনো অর্থের পরিবর্তন। ফলে আল্লাহ তা‘আলা যে উদ্দেশ্যে তার কালাম নাযিল করেছেন সে উদ্দেশ্য বিকৃত করেছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ উম্মাতে মুহাম্মাদীর একশ্রেণীর নামধারী আলেমরাও অন্তরের কঠোরতা এবং আল্লাহ তা‘আলার বাণীতে পরিবর্তন সাধন করা থেকে বাঁচতে পারেনি। দুনিয়ার সামান্য স্বার্থ কিংবা সুনামের আশায় আয়াতের অপব্যাখ্যা করে নিজের দল বা মতের সমর্থন নেয়ার অপচেষ্টা করে থাকে। (৪) তাদের যে উপদেশ দেয়া হয়েছে তা তারা ভুলে গিয়েছে, তার প্রতি আমল করেনি। (৫) সর্বদা খিয়ানত করত। সবচেয়ে বড় খিয়ানত ছিল সত্য গোপন ও মিথ্যার প্রসার।
(فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاصْفَحْ)
“সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা কর ও ছাড় দাও”ক্ষমা ও মার্জনা করার নির্দেশ ঐ সময় দেয়া হয়েছিল যখন জিহাদের অনুমতি ছিল না। পরবর্তীতে তা রহিত হয়ে যায়, আর যুদ্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قَاتِلُوا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَلَا يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ وَرَسُوْلُه۫ وَلَا يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتٰبَ حَتّٰي يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَّدٍ وَّهُمْ صٰغِرُوْنَ)
“যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেন তারা তা হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দীন অনুসরণ করে না, তাদের সাথে যুদ্ধ কর, যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া (কর) দেয়।”(সূরা তাওবাহ ৯:২৯)
কতক আলেমের মতে তা রহিত হয়নি বরং তা একটা স্বতন্ত্র নির্দেশ। অবস্থা ও স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পালন করা যেতে পারে।
(وَمِنَ الَّذِيْنَ قَالُوْآ إِنَّا نَصٰرٰٓي)
‘যারা বলে, ‘আমরা খ্রিস্টান’নাসারা শব্দটি নুসরাহ থেকে গৃহিত। যার অর্থ সাহায্য করা। ঈসা (আঃ)-এর কথা
(مَنْ أَنْصَارِي إِلَي اللّٰهِ )
‘আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে?’ এর প্রত্যুত্তরে তাঁর কিছু নিষ্ঠাবান সহচর্য বলেছিলেন:
(نَحْنُ أَنْصَارُ اللّٰهِ)
‘আমরা আল্লাহর সাহায্যকারী।’(সূরা সফ ৬১:১৪) এখান হতেই তাদের নামকরণ করা হয়েছে ‘নাসারা’, বর্তমানে যাদেরকে খ্রিস্টান বলা হয় এরা ঈসা (আঃ)-এর অনুসারী ছিল।
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদীদের মত খ্রিস্টানদের থেকেও অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, কিন্তু তারাও অঙ্গীকারের কথা ভুলে যায়। পরিণতিস্বরূপ আল্লাহ তা‘আলা তাদের মাঝে শত্র“তা ও বিদ্ধেষ বদ্ধমূল করে দিয়েছেন। তাদের নিজেদের মাঝে এ শত্র“তা ও বিদ্বেষ কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সুতরাং মুসলিমদের সতর্ক হওয়া উচিত, পূর্ববর্তী দু’জাতির মত যেন আমরাও আল্লাহ তা‘আলার সাথে দেয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ না করি, তাহলে পরিণতি ভাল হবে না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. বানী ইসরাঈল প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করার কারণে তাদের ওপর যে শাস্তি এসেছে সে সম্পর্কে অবগত হলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার কালামের অপব্যাখ্যা করা পরিবর্তন করার শামিল।
৩. আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক জাতি থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন, যারা ভঙ্গ করেছে তাদের পরিণতি হয়েছে অত্যন্ত ভয়াবহ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings