Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 119
Saheeh International
Allah will say, "This is the Day when the truthful will benefit from their truthfulness." For them are gardens [in Paradise] beneath which rivers flow, wherein they will abide forever, Allah being pleased with them, and they with Him. That is the great attainment.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১৯-১২০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বলবেন: আজ সে-সব সত্যবাদীদের সততা উপকারে আসবে যারা দুনিয়াতে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। সত্যবাদী হল তারা যারা নিয়্যতে, কথায় ও আমলে সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত। কিয়ামতের দিন তারা তাদের সততার প্রতিদানস্বরূপ নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত পাবে। (তাফসীর সা‘দী পৃঃ ২৪১)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন: সেদিন তাওহীদপন্থীরা তাদের তাওহীদের মাধ্যমে উপকৃত হবে। অর্থাৎ মুশরিকদের ক্ষমা ও পরিত্রাণের কোন রাস্তাই থাকবে না। (ইবনে কাসীর, ৩ /২৭০)
জান্নাতবাসীদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা সন্তুষ্ট থাকবেন এবং তারাও আল্লাহ তা‘আলার ওপর সন্তুষ্ট থাকবে। আর আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় সফলতা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللّٰهِ أَكْبَرُ)
“আল্লাহর সন্তুষ্টিই সর্বশ্রেষ্ঠ।”(সূরা তাওবাহ ৯:৭২)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতবাসীদেরকে সম্বোধন করে বলবেন: হে জান্নাতবাসীরা! জান্নাতবাসীরা বলবে: আপনার আহ্বানে আমরা হাজির, সকল কল্যাণ আপনার হাতে। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তোমরা কি সন্তুষ্ট? তখন তারা বলবে: হে আমাদের রব, কেন আমরা সন্তুষ্ট থাকব না, অথচ আমাদের এমন কিছু দিয়েছেন যা আপনার কোন সৃষ্টিকে দেননি? আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়ে উত্তম কিছু দেব! তারা বলবে: এর চেয়ে উত্তম আর কী? আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তোমাদের জন্য আমার সন্তুষ্টি অবধারিত হয়ে গেল আর কখনো অসন্তুষ্ট হব না। (সহীহ বুখারী হা: ৭৫১৮)
সুতরাং আখিরাতকে নষ্ট করে দুনিয়ার সামান্য সম্পদ, সুনাম ও ক্ষমতা অর্জন করাই প্রকৃত সফলতা নয়, বরং প্রকৃত সফলতা হল আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি হাসিল করে জান্নাতের অধিবাসী হওয়া। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সে লক্ষ্যে আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল মানুষ কিয়ামতের দিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
২. যাদেরকে কেন্দ্র করে শির্ক করা হয়েছে তাদেরকেও কৈফিয়ত দিতে হবে।
৩. ঈসা (আঃ) ও তাঁর মা কোন ইলাহ নন। বরং ঈসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার বান্দা ও রাসূল এবং তাঁর মা একজন নেককার বান্দী ছিলেন।
৪. সকল নাবীগণই এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন।
৫. শাস্তি দেয়া না দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
৬. নাবীরা ছিলেন উম্মাতের প্রতি দয়ালু।
৭. গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, কোন নাবী ও নৈকট্যশীল ফেরেশতাও নন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings