Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 108
Saheeh International
That is more likely that they will give testimony according to its [true] objective, or [at least] they would fear that [other] oaths might be taken after their oaths. And fear Allah and listen; and Allah does not guide the defiantly disobedient people.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৬-১০৮ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তামীম আদ-দারী ও আদী বিন বাদ্দার ও তাদের সাথে বানী সাহাম গোত্রের একজন লোক সফরে বের হল। পথিমধ্যে এমন জায়গায় বানী সাহাম গোত্রের লোকটি মারা গেল যেখানে কোন মুসলিম ব্যক্তি ছিল না।
যখন উভয় জন (তামীম আদ্ দারী ও আদী) তার পরিত্যক্ত সম্পদ নিয়ে আগমন করল তখন তারা রৌপ্যের একটি পেয়ালা হারিয়ে ফেলেছিল যা ছিল স্বর্ণ দ্বারা প্রলেপ দেয়া। (যখন জমা দিতে লাগল) তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’জনের কাছ থেকে এ বিষয়ে শপথ নিয়েছিলেন। অতঃপর মক্কায় এ পেয়ালাটি পাওয়া গেল। জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলল, আমরা তামীম ও আদীর কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। তখন মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদার থেকে দু’জন আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করে বলল: তাদের থেকে আমাদের উভয়ের সাক্ষ্য অধিক সত্য। পেয়ালাটি আমাদের মৃত ব্যক্তির। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: এদের ব্যাপারে এ আয়াতগুলো নাযিল হয়। (সহীহ তিরযিমী হা: ২৭৮০)
কোন ব্যক্তি মুমূর্ষু অবস্থায় কিছু অসিয়ত করতে চাইলে তার উচিত, সেই অসিয়ত লিখে রাখা এবং এ বিষয়ে দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখা। আর যদি সফরে থাকে এমনতাবস্থায় কোন মুসলিমকে কাছে না পায় তাহলে ইয়াহূদ, খ্রিস্টান বা অন্য কোন ধর্মের অনুসারী ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখবে।
যদি অসিয়তকারী মৃত ব্যক্তি তার ওয়ারিশগণের ব্যাপারে সন্দেহ করেন যে, যাদেরকে অসিয়ত করা হয়েছে তাদের সাথে খিয়ানত অথবা অসিয়ত পরিবর্তন করতে পারে এমতাবস্থায় সালাতের পর সমস্ত মানুষের সামনে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করানো হবে, তারা বলবে আমরা এ শপথের বিনিময়ে দুনিয়ার কোন মূল্য গ্রহণ করব না এবং গোপনও করব না।
(فَاِنْ عُثِرَ عَلٰٓی اَنَّھُمَا اسْتَحَقَّآ اِثْمًا)
‘যদি এটা প্রকাশ পায় যে, তারা দু’জন অপরাধে লিপ্ত হয়েছে’ অর্থাৎ যদি বুঝা যায় তারা উভয়ে মিথ্যা শপথ করেছে, সম্পদে খিয়ানত করেছে, তাহলে যারা ওয়ারিশ তাদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী থাকবে আর বলবে: তারা (পূর্বে যারা সাক্ষী ছিল) উভয়ে খিয়ানত করেছে তাদের সাক্ষীর চেয়ে আমাদের সাক্ষী অধিক মজবুত।
(ذٰلِكَ أَدْنٰٓي أَنْ يَّأْتُوْا بِالشَّهَادَةِ)
‘এ পদ্ধতিতেই অধিকতর সম্ভাবনা আছে লোকেরা যথাযথ সাক্ষ্যদান করবে’অর্থাৎ এখানে যে উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা উক্ত নির্দেশে নিহিত আছে। আর তা এই যে, উক্ত পদ্ধতি গ্রহণ করার ফলে যাদেরকে অসিয়ত করা হয়েছে তারা সঠিক সাক্ষী দেবে। কেননা তাদের এ আশঙ্কা হবে যে, যদি আমরা খিয়ানত করি অথবা মিথ্যা বলি অথবা পরিবর্তন করি তাহলে এর প্রতিক্রিয়া তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সফরে অসিয়ত করা শরীয়তসম্মত।
২. অসিয়তে সাক্ষী রাখা ওয়াজিব।
৩. মুসলিম না পাওয়া গেলে অমুসলিমকে সাক্ষী বানানো যাবে।
৪. সংশয় হলে সাক্ষীকে শপথ করানো যাবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings