Surah Al Ma'idah Tafseer
Tafseer of Al-Ma'idah : 101
Saheeh International
O you who have believed, do not ask about things which, if they are shown to you, will distress you. But if you ask about them while the Qur'an is being revealed, they will be shown to you. Allah has pardoned that which is past; and Allah is Forgiving and Forbearing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০১-১০২ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
এ আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে তিনটি বর্ণনা পাওয়া যায়:
১. সাহাবী আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুৎবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় একজন লোক বলল: আমার পিতা কে? নাবী বলেছেন: অমুক, তখন
(لَا تَسْأَلُوْا عَنْ أَشْيَا۬ءَ)
১০১ নং আয়াতটি নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬১২)
২. সাহাবী ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: মানুষেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঠাট্টা করে জিজ্ঞাসা করত। একজন বলল, আমার পিতা কে? অন্য লোক বলল: আমার উট হারিয়ে গিয়েছে। আমার উট কোথায়? তখন তাদের ব্যাপারে এ আয়াত নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬২২)
(وَإِنْ تَسْأَلُوْا عَنْهَا)
‘‘যদি সেসব বিষয়ে প্রশ্ন কর’অর্থাৎ যেসব বিষয়ে প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে সেসব বিষয়ে কুরআন অবতীর্ণের সময় প্রশ্ন করলে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ওয়াহী করে জানিয়ে দিতেন। এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষে সহজ। কেননা হতে পারে আমাদের প্রশ্নের কারণে এমন কোন বিধান চলে আসতে পারে, যা পালনে অক্ষম হব বা সংকীর্ণতা চলে আসতে পারে।
যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন:
إِنَّ أَعْظَمَ الْمُسْلِمِينَ جُرْمًا من سَأَلَ عن شَيْءٍ لم يُحَرَّمْ فَحُرِّمَ من أَجْلِ مَسْأَلَتِهِ
সে মুসলিম সবচেয়ে বড় অপরাধী যে ব্যক্তি কোন কিছু জিজ্ঞাসা করল যা হারাম ছিল না ফলে তার প্রশ্নের কারণে হারাম করে দেয়া হল। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৩৫৮)
(عَفَا اللّٰهُ عَنْهَا)
‘আল্লাহ সেসব ক্ষমা করেছেন’ অর্থাৎ যে সকল বস্তু বা বিষয় কুরআন ও সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়নি সে বিষয়গুলো আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন। অতএব সেসব বিষয়ে তোমরা চুপ থাক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
ذَرُوْنِيْ مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ الَّذِينَ من قَبْلِكُمْ بِسُؤَالِهِمْ وَاخْتِلَافِهِمْ علي أَنْبِيَائِهِمْ
আমি তোমাদেরকে যে বিষয়ে ছেড়ে দিয়েছি সে বিষয়ে তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর না; কেননা আমাদের পূর্ববর্তীগণ অধিক প্রশ্ন ও নাবীদের ব্যাপারে মতানৈক্য করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮৮, সহীহ মুসলিম হা: ৩৩৭)
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা যা ফরয করার তা ফরয করে দিয়েছেন। অতএব তা বিনষ্ট করো না (অর্থাৎ যথাযথ আদায় কর)। তিনি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, অতএব তা অতিক্রম করো না। যে সমস্ত বস্তু হারাম করে দিয়েছেন তা ভঙ্গ করো না, আর যে সকল জিনিসের ব্যাপারে তিনি (কিছু বলেননি) নীরবতা অবলম্বন করেছেন তা তোমাদের প্রতি দয়াশীল হয়ে করেছেন। ==== ভুলে গিয়েছেন এমন নয়, সুতরাং সে বিষয়ে প্রশ্ন কর না। (মুসনাদ আহমাদ: ৪/১১৫, ফাতহুল বারী. ১৩/২৮০, ইবনু হাজার বলেন: এর শাহেদ রয়েছে)
পূর্ববর্তী জাতি এমন কিছু অবান্তর প্রশ্ন করেছিল যেমন বানী ইসরাঈলের গাভী বিষয়ে, ইয়াহূদীদের কিতাব নাযিলের ব্যাপারে ইত্যাদি। পরে নিজেরাই এর জন্য আফসোস করেছিল।
সুতরাং আমাদের উচিত এমন কোন প্রশ্ন না করা যার ফলে দশজনের কোন উপকার না হয়ে ক্ষতি হয়। অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ। কিন্তু শরীয়তের বিষয়ে অজানা থাকলে কুরআন-সুন্নাহয় জ্ঞানীদেরকে আদবের সাথে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَاسْئَلُوْٓا اَھْلَ الذِّکْرِ اِنْ کُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ)
“তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীগণকে জিজ্ঞেস কর”(সূরা নাহল ১৬:৪৩)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. অহেতুক প্রশ্ন করা দূষণীয়।
২. আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের প্রতি দয়ালু।
৩. পূর্ববর্তী জাতি অহেতুক প্রশ্ন করে বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল।
৪. এমন কিছু কাজ রয়েছে যা বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings