Surah Al Hashr Tafseer
Tafseer of Al-Hashr : 7
Saheeh International
And what Allah restored to His Messenger from the people of the towns - it is for Allah and for the Messenger and for [his] near relatives and orphans and the [stranded] traveler - so that it will not be a perpetual distribution among the rich from among you. And whatever the Messenger has given you - take; and what he has forbidden you - refrain from. And fear Allah ; indeed, Allah is severe in penalty.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬-৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এ আয়াতগুলোতে মালে ফাঈ এর পরিচিতি ও তার হুকুম এবং বণ্টন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ফাঈ বলা হয় প্রত্যেক ঐ সম্পদকে যা বিনা যুদ্ধে কাফিরদের থেকে পাওয়া যায়। যেমন বনু নাযীর গোত্রের মাল। ফাঈ এর মাল পাঁচ ভাগে ভাগ করা হবে-
(১) এক ভাগ আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের জন্য। এ সম্পদ মুসলিমদের সার্বিক কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
(২) দ্বিতীয় ভাগ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটাত্মীয়দের জন্য, যেমন বনু হাশেম, বনু মুত্তালিব। এতে নারী-পুরুষ সবাই সমান।
(৩) তৃতীয় ভাগ ইয়াতিমদের জন্য, (৪) চতুর্থ ভাগ মিসকিনদের জন্য (৫) পঞ্চম ভাগ মুসাফিরদের জন্য। (তাফসীর সা‘দী)
উমার (রাঃ) বলেন : বনু নাযীর গোত্রের সম্পদ আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ফাঈ হিসাবে প্রদান করেছেন যার জন্য ঘোড়া দৌড়ানো বা যুদ্ধের প্রয়োজন হয়নি। এটা একমাত্র নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা থেকে পরিবারের এক বছরের খরচের জন্য রাখতেন, বাকি যা থাকত মুসলিমদের অস্ত্র ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য দিয়ে দিতেন। ( সহীহ বুখারী হা. ২৯০৪)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইনতেকালের পর তা বাইতুল মালে জমা হবে। যেমন তিনি বলেছেন : আমরা নাবীরা কারো ওয়ারিশ বানাই না, যা কিছু ছেড়ে যাই সব সদকাহ। (সহীহ বুখারী হা. ৪০৩৩)
তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী নেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর পর আলী ও ফাতেমা (রাঃ) আবূ বকর ও উমার (রাঃ)-এর নিকট উত্তরাধিকার দাবী করলে তাদেরকে উক্ত হাদীস জানিয়ে দেন এবং তাদেরকে কিছুই দেননি। (সহীহ বুখারী হা. ৪০৩৩)
(وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ)
‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর’ অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে শরীয়ত ও দীন নিয়ে এসেছেন তা ধারণ কর তথা মেনে চল, আর যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাক। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে শরীয়ত ও দীন দিয়ে যাননি তা যতই জাকজমকপূর্ণ ও সুন্দর বা ভাল মনে হোক না কেন কখনো তা পালন করা যাবে না, যদিও একশ্রেণির আলেম তা ধর্মের নামে তৈরি করে থাকে। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যে ব্যাপারে আমাদের কোন নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত। (সহীহ মুসলিম হা. ৪৫৯০)
সুতরাং যে কোন আকীদাহ পোষণ ও আমল করার পূর্বে দেখে নিতে হবে তা কি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত, তিনি কি তা করেছেন বা নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত নয় এমন আকীদাহ পোষণ করা এবং সেসব আমল করা বিদ‘আত ও প্রত্যাখ্যাত।
মাসরূক (রাঃ) বলেছেন : জনৈক মহিলা ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর কাছে আগমন করে বলল : আমার কাছে খবর এসেছে আপনি নাকি মুখে উলকি তোলা ও পরচুলা লাগাতে নিষেধ করেন। এটা কি আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে পেয়েছেন নাকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে পেয়েছেন। মহিলা আরো বললেন : আমি সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করেছি, কোথাও এরূপ কথা পাইনি। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বললেন : তুমি কি
(وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ)
আয়াতটি পাওনি? মহিলা বললেন : হ্যাঁ, পেয়েছি। তিনি বললেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি তিনি পরচুলা লাগানো, উলকি তোলা ও মুখমণ্ডলের পশম তুলতে নিষেধ করেছেন। (আহমাদ হা. ৩৯৪৫, সনদ সহীহ)।
আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন হারূন আল ফারইয়াবী (রহঃ) বলেন : ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা আমাকে যা ইচ্ছা জিজ্ঞাসা কর আমি কুরআন ও সুন্নাহ থেকে তার উত্তর দেব। আমি তাঁকে বললাম, যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় ভীমরুল হত্যা করে তার ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? আব্দুল্লাহ বলেন তিনি বললেন : বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম, আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ج وَمَا نَهٰكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا
‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।’ (কুরতুবী)
হুযাইফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : আমার পরে যে দুজন রয়েছে তাদের অনুসরণ কর। (তিরমিযী হা. ৩৬৬২, ইবনু মাযাহ হা. ৯৭, সহীহ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : যখন আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ে নির্দেশ দিই তখন তা যথাসম্ভব পালন করবে আর যখন কোন কাজ বারণ করি তখন তা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবে। (সহীহ বুখারী হা. ৭২৮৮, সহীহ মুসলিম হা. ৪১২) সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে শরীয়ত নিয়ে এসেছেন তা নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতে হবে, কোন তরীকা, মাযহাব ও দলের দোহাই দিয়ে বর্জন করার সুযোগ নেই।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. ফাই এর মাল বণ্টননীতি জানতে পারলাম।
২. উলকি করা, পরচুলা লাগানো ও মুখমণ্ডলের পশম তোলা হারাম।
৩. কুরআন ও সহীহ স্ন্নুাহ-দুটিই শরীয়তের মূল উৎস।
৪. শরীয়তের নির্দেশাবলী যথাসম্ভব পালন আর নিষেধাজ্ঞা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৫. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করার নির্দেশ অথবা বিরত থাকতে বলেছেন-সবই আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings