Surah Al Hashr Tafseer
Tafseer of Al-Hashr : 5
Saheeh International
Whatever you have cut down of [their] palm trees or left standing on their trunks - it was by permission of Allah and so He would disgrace the defiantly disobedient.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
নামকরণ :
(الحشر) হাশর শব্দের অর্থ একত্রিত করা, জড়ো করা, পুনরুত্থিত করা ইত্যাদি। এখানে হাশর বলতে বনু নাযীর গোত্রের নির্বাসনকে বুঝানো হয়েছে। অত্র সূরার দ্বিতীয় আয়াতে উল্লিখিত الحشر শব্দটি থেকেই সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ সূরাকে বনু নাযীর নামে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ সূরাটি বনু নাযীর গোত্রের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। (সহীহ বুখারী, সূরা হাশরের তাফসীর)।
সূরার শুরুর দিকে বনু নাযীরের নির্বাসন ও বনু নাযীরের যুদ্ধ, মালে ফাঈ বণ্টন পদ্ধতি এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে শরীয়ত নিয়ে এসেছেন তার একচ্ছত্র অনুসরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর মুহাজির ও আনসারদের ফযীলত, দীনের খাতিরে একে অপরের জন্য উদারতা ও অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্য দারে কথা ও পূর্ববর্তী ঈমানদার ভাইদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর আহলে কিতাব কাফিরদেরকে মুনাফিকদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি নামক ছলনা, তাদের কাপুরুষতা এবং আভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। সূরার শেষের দিকে মু’মিনদেরকে আখিরাতের পাথেয় গ্রহণ, কুরআনের মহত্ত্ব ও আল্লাহ তা‘আলার কয়েকটি সুন্দর সুন্দর নামের পরিচিতি এসেছে।
ফযীলত : সূরা হাশরের ফযীলতের ব্যাপারে বলা হয়, যে ব্যক্তি সকাল বেলা
اعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم
পড়ার পর অত্র সূরার শেষ তিনটি আয়াত পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন; তারা সে ব্যক্তির জন্য বিকাল পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। আর সেদিন মারা গেলে তার শহীদি মৃত্যু হবে, আর বিকাল বেলা পাঠ করলেও অনুরূপ হবে। (এ হাদীসটি দুর্বল, দেখুন যঈফুল জামে হা. ৫৭৩২) এ ছাড়াও আরো দুটি ফযীলতের দুর্বল হাদীস রয়েছে (কুরতুবী)।
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় হিজরত করে আসেন তখন মদীনায় তিনটি ইয়াহূদী গোত্র ছিল। বনু নাযীর, বনু কুরাইযা ও বনু কাইনুকা। এসব গোত্রের সাথে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শান্তিচুক্তি করেন। বদর যুদ্ধের ছয় মাস বা তার কিছু কম-বেশি সময় পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কাছে কুল্লাবী গোত্রের নিহত ব্যক্তির দিয়াত আদায় করার জন্য যান। হত্যাকারী ছিল আমর বিন উমাইয়া আয যমরী। তারা দিয়াত দেবে বলে স্বীকার করে এবং বলে : হে আবুল কাশেম আপনি এখানে বসেন আমরা দিয়াত তুলে নিয়ে আসি। এ সুযোগে তারা গোপনে পরামর্শ করল যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হত্যা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। তারা ঠিক করল, ওপর থেকে পাথর ফেলে হত্যা করা হবে। কিন্তু কে পাথর ফেলবে? তখন সালাম বিন মাশকুস বলল : এরূপ করো না। কেননা তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর এরূপ করলে আমাদের মধ্যস্থিত চুক্তি ভঙ্গ হয়ে যাবে। এমন সময় ওয়াহীর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানিয়ে দেওয়া হল যে, তারা তোমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে, অতত্রব এখনই এখান থেকে চলে যাও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্রুত সেখান থেকে উঠে মদীনার দিকে রওনা দিলেন। সাহাবীরা তার পিছু পিছু রওনা হল এবং বলতে লাগল আপনি চলে আসলেন কেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন তাদের ষড়যন্ত্রের কথা বললেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বিরুদ্ধে একটি সেনাদল প্রেরণ করলেন এবং বললেন : তাদেরকে মদীনা থেকে বের করে দাও। তাদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশ দিন সময় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন : এর পর কাউকে পেলে তার গর্দান উড়িয়ে দেওয়া হবে। (সহীহ মুসলিম, সহীহ বুখারী হা. ৪০২৮)
তারা কয়েকদিন অবস্থান করে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল। এদিকে মুনাফিক আব্দুল্লাহ বিন উবাই লোক প্রেরণ করে বলল : তোমরা তোমাদের এলাকা থেকে বের হয়ে যেয়ো না। আমার সাথে দু হাজার সৈন্য আছে, তারা তোমাদের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। তাছাড়া বনু কুরাইযা ও গাতফান গোত্র তোমাদের সহযোগিতা করবে। বনু নাযীর গোত্রের নেতা হুয়াই বিন আখতাব (পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন) তার কথায় আশান্বিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট লোক প্রেরণ করে বলল : আমরা এখান থেকে চলে যাব না, আপনি যা পারেন করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীগণ তাকবীর বললেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-এর হাতে ঝাণ্ডা তুলে দিলেন। সাহাবীরা তাদের গোত্র ঘেরাও করে তীর নিক্ষেপ করল। এদিকে ইবনু উবাই, গাতফান গোত্র ও কুরাইযা গোত্র সহযোগিতা করার যে কথা ছিল তারা কেউ সহযোগিতা করেনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের গাছগুলো কেটে ও পুড়িয়ে দিলেন। অবশেষে তারা পরাজিত হয়ে বলতে বাধ্য হল, আমরা মদীনা থেকে চলে যাব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন : তোমরা নিজেরা সন্তানাদি ও অস্ত্র ছাড়া যতটুকু সম্ভব বহন করে নিয়ে যাও। তাদের সকল অস্ত্র ও বাকী সম্পদ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করায়ত্ত করে নেন। বনু নাযীর গোত্রের সম্পদ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মুসলিমদের কল্যাণের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। তাতে খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ বের করা হয়নি। কারণ এটা ফাঈ হিসাবে পেয়েছিলেন, এর জন্য যুদ্ধ করতে হয়নি। ফাঈ হিসাবে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ৫০টি বর্ম, ৫০টি হেলমেট, ৩৪০টি তরবারী পেয়েছিলেন। এ ঘটনাকে أَوَّلُ الْحَشْرِ (প্রথম হাশর) বলে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ হল এটা ছিল তাদের প্রথম নির্বাসন। মদীনা থেকে তারা খায়বারে বসতি স্থাপন করে। উমার (রাঃ) পুনরায় নির্বাসন দিয়ে তাদেরকে সিরিয়াতে পাঠিয়ে দেন। যার ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, এখানেই প্রত্যেক মানুষের সর্বশেষ হাশর হবে।
১-৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আকাশ-জমিন ও এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু (জীব হোক আর জড় হোক) আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ ও পবিত্রতা বর্ণনা করে। তাঁর ইবাদত করে ও তাঁর বড়ত্বের কাছে নত হয়। যেমন অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَنْ فِيْهِنَّ ط وَإِنْ مِّنْ شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِه۪ وَلٰكِنْ لَّا تَفْقَهُوْنَ تَسْبِيْحَهُمْ)
“সপ্ত আকাশ, পৃথিবী এবং তাদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই যা তাঁর সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না; কিন্তু তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না।” ( সূরা ইসরা ১৭ : ৪৪)
(كَفَرُوْا مِنْ أَهْلِ الْكِتٰبِ)
‘আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কাফির’ অর্থাৎ বনু নাযীরের ইয়াহূদীরা।
(لِأَوَّلِ الْحَشْر)
‘প্রথম সমাবেশেই’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : যে ব্যক্তি সিরিয়াকে হাশরের স্থান হিসাবে সন্দেহ পোষণ করে সে যেন এ আয়াতটি পাঠ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : এদেরকে বের করে দাও। তারা বলল : কোথায়? তিনি বললেন : হাশরের জমিনে। (দুররুল মানছুর ৩/১৮৭) কাতাদাহ বলেন : এটা প্রথম হাশরের স্থান।
(مَا ظَنَنْتُمْ أَنْ يَّخْرُجُوْا)
‘তোমরা কল্পনা করনি যে, তারা নির্বাসিত হবে’ অর্থাৎ তাদের শক্তি সামর্থ্য ও একাত্বতা এত মজবুত ছিল যে, তোমরা কল্পনাও করতে পারনি যে, ছয় দিনে তাদেরকে নির্বাসিত করতে পারবে। তারা ধারণা করেছিল যে, সাহায্য পাওয়া যাবে। যেমন ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আব্দুল্লাহ বিন উবাই তাদেরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং যে মজবুত দুর্গ নির্মাণ করেছিল তাতে তাদের আশা ছিল মুসলিমরা কোন দিন তাদেরকে বের করে দিতে সক্ষম হবে না। কিন্তু এমনভাবে তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার আযাব আসল যে, তারা বুঝতেও পারেনি। যেমন কা‘ব বিন আশরাফকে হত্যা করা হল। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন :
(قَدْ مَكَرَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَأَتَي اللّٰهُ بُنْيَانَهُمْ مِّنَ الْقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَيْهِمُ السَّقْفُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَأَتٰهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُوْنَ)
“তাদের পূর্ববর্তীগণও চক্রান্ত করেছিল; আল্লাহ তাদের ইমারতের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছিলেন; ফলে ইমারতের ছাদ তাদের ওপর ধ্বসে পড়ল এবং তাদের প্রতি শাস্তি আসল এমন দিক হতে যা তারা উপলব্ধিও করতে পারেনি।” (সূরা নামল ১৬ : ২৬)
(وَقَذَفَ فِيْ قُلُوْبِهِمُ الرُّعْبَ)
‘তিনি তাদের অন্তরে ভয় সঞ্চার করলেন’ যেমন তাদের নেতা কাব বিন আশরাফকে হত্যা করার মাধ্যমে তাদের অন্তরে ভয় প্রবেশ করেছে। তাছাড়া এক মাসের দূরের পথ থেকেই শত্রুরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভয় করবে এ প্রতিশ্রুতি তো পূর্বেই প্রদান করা হয়েছে।
(بِأَيْدِيْهِمْ) অর্থাৎ যখন তারা নিশ্চিত হয়ে গেল যে, দেশ থেকে চলে যেতেই হবে তখন তারা অবরোধ অবস্থায় ভেতর থেকেই নিজেদের বাড়িগুলো ধ্বংস করা শুরু করল যাতে মুসলিমরা কাজে না লাগাতে পারে।
(وَلَوْلَآ أَنْ كَتَبَ اللّٰهُ)
অর্থাৎ পূর্ব থেকেই যদি তাদের তাকদীরে দেশ ত্যাগের কথা লেখা না থাকত তাহলে দুনিয়াতেই তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হত। যেমন বনু কুরাইযাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, নারীদেরকে বন্দী করা হয়েছিল, সম্পদকে গনিমত হিসাবে আটক করা হয়েছিল।
উরওয়া বিন যুবাইর (রাঃ) বলেন : তারপর বদর যুদ্ধের ছয় মাসের মাথায় বানী নাযীর গোত্রের ঘটনা ঘটে। তারা ছিল ইয়াহূদীদের একটি দল। তারা মদীনার এক পার্শ্বে বসবাস করত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ঘেরাও করলেন, তারা এখান থেকে চলে যাবে বলে দুর্গ থেকে নেমে আসে। উট বোঝাই করে যত মাল নিয়ে যেতে পারে তার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সিরিয়ার দিকে নির্বাসন করে দেন। (দুররুল মানছুর ৬/১৮৭, হাকেম ২/৪৮৩, সহীহ) বর্ণনাকারী বলছেন তাদের এ নির্বাসনের কথা তাওরাতের আয়াতে উল্লেখ ছিল। ইকরিমা বলেন : الْجَلَا۬ءَ হল হত্যা করা, কাতাদাহ বলেন : الْجَلَا۬ءَ হল এক দেশ থেকে অন্য দেশে বের করে দেওয়া। তাদের এ শাস্তির কারণ হল তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ ও তাদের নির্দেশ ভঙ্গ করেছে। সুতরাং যারাই আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের সাথে নাফরমানী করবে ও তাদের বিরুদ্ধাচরণ করবে তাদের পরিণতি এমনি হবে।
(مَا قَطَعْتُمْ مِّنْ لِّيْنَةٍ) - لِّيْنَةٍ
কী তা নিয়ে ইমাম কুরতুবী দশটি মত বর্ণনা করেছেন। সঠিক কথা হল তা এক প্রকার খেজুর। যেমন আজওয়া, বারনী ইত্যাদি খেজুরের প্রকার। অবরোধকালে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশে সাহাবীরা বনু নাযীরের খেজুর গাছ কেটে ফেলেছিল ও আগুন লাগিয়ে দিলেছিল। কিছুৃ গাছ বাকী ছিল। এ কাজ আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশেই হয়েছিল। এ রকম করার লক্ষ্য ছিল শত্রুর আড়ালকে ভেঙ্গে দেওয়া যাতে আত্মরক্ষা করতে না পারে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. বনু নাযীর গোত্রের ইয়াহূদীদের কর্তৃক নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও উমার (রাঃ) তাদের যে শাস্তি দিয়েছেন তা জানতে পারলাম।
৩. মুসলিম নিধনে ইয়াহূদীদের এরূপ চক্রান্ত এখনো বিদ্যামান আছে।
৪. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করার পরিণাম।
৫. দুনিয়াতে হাশরের স্থান হল সিরিয়া।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings