Surah Al Hashr Tafseer
Tafseer of Al-Hashr : 18
Saheeh International
O you who have believed, fear Allah . And let every soul look to what it has put forth for tomorrow - and fear Allah . Indeed, Allah is Acquainted with what you do.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৮-২০ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন বান্দাদেরকে তাঁর ভয় করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তারপরেই কিয়ামত দিবসে আত্মরক্ষার্থে কী সৎ আমল প্রস্তুত করে রেখেছে তা হিসাব করে দেখার নির্দেশ প্রদান করেছেন। কারণ মানুষ যখন কিয়ামতের ভয়াবহতা স্মরণ করবে, সেদিনে নিজের অসহায়ত্ব খেয়াল করবে তখন নিজের মাঝে তাক্বওয়া চলে আসবে। আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে সকল অবাধ্য কাজ বর্জন করবে এবং তাঁর নির্দেশমূলক কাজ পালনে সচেষ্ট হবে। এখানে কিয়ামত দিবসকে আগামী কাল বলে উল্লেখ করার কারণ হল : এর সংঘটন কাল বেশি দূরে নয় বরং অতি নিকটে।
প্রত্যেক নাবীরা যেমন এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন তেমনই তাক্বওয়ার দিকে আহ্বান করেছেন। সূরা শুআরার ১০৫-১০৮, ১২৩-১২৬, ১৬০-১৬৩ ও ১৭৬-১৭৯ নম্বর আয়াতে এ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। তাক্বওয়ার ফলাফল সম্পর্কে সূরা বাক্বারায় আলোচনা করা হয়েছে।
(وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ نَسُوا اللّٰهَ)
অর্থাৎ যারা (আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত, নির্দেশ পালন ও নিষেধ বর্জন না করার মাধ্যমে) আল্লাহ তা‘আলার স্মরণকে বর্জন করেছে ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে সৎআমলের কথা ভুলিয়ে দিয়েছেন যা আখিরাতে তাদের উপকারে আসতো। আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে এমন সব মানুষের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা আল্লাহ তা‘আলার স্মরণ থেকে বিমুখ হবে তারাই তাঁর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যাবে, নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন :
(یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْھِکُمْ اَمْوَالُکُمْ وَلَآ اَوْلَادُکُمْ عَنْ ذِکْرِ اللہِﺆ وَمَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِکَ فَاُولٰ۬ئِکَ ھُمُ الْخٰسِرُوْنَ)
“হে মু’মিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন না করে-যারা এমন করবে (উদাসীন হবে) তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।” (সূরা মুনাফিকূন ৬৩ : ৯)
النسي এর প্রকৃত অর্থ অনিচ্ছাকৃত ভুলে যাওয়া। যেমন সূরা বাক্বারায় বলা হয়েছে :
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ اِنْ نَّسِیْنَآ اَوْ اَخْطَاْنَا)
‘হে আমাদের রব! আমরা ভুলে গেলে অথবা ভুল করলে পাকড়াও করবেন না।’ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য উম্মাতে মুহাম্মাদিকে পাকড়াও করা হবে না, এ উম্মতকে তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখানে অর্থ হল : স্বেচ্ছায় বর্জন করা। শব্দটি এ অর্থে কুরআনের সূরা ত্ব-হার ১১৫, ১২৬ ও সূরা আ‘রাফের ৫১ ও সূরা সাজদাহর ১৪ নম্বর আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।
(لَا یَسْتَوِیْٓ اَصْحٰبُ النَّارِ . . . . )
‘জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়।’ এরূপ পার্থক্য করে অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন :
(أَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ اجْتَرَحُوا السَّيِّاٰتِ أَنْ نَّجْعَلَهُمْ كَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لا سَوَا۬ءً مَّحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ ط سَا۬ءَ مَا يَحْكُمُوْنَ)
“দুস্কৃতিকারীরা কি মনে করে যে, আমি জীবন ও মৃত্যুর দিক দিয়ে তাদেরকে তাদের সমান গণ্য করবো যারা ঈমান আনে ও আমল করে? তাদের সিদ্ধান্ত কত মন্দ।” (সূরা জাসিয়া ৪৫ : ২১)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(أَمْ نَجْعَلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ كَالْمُفْسِدِيْنَ فِي الْأَرْضِ ز أَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِيْنَ كَالْفُجَّارِ)
“যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে আমি কি তাদেরকে ঐসব লোকের সমান করে দেব, যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়? অথবা আমি কি মুত্তাক্বীদেরকে গুনাহগারদের সমান করে দেব?” (সূরা সোয়াদ ৩৮ : ২৮)
অতএব জান্নাতী ও জাহান্নামী কখনো সমান নয়, বরং তাদের উভয় শ্রেণির মাঝে আকাশ-জমিন তফাত। সুতরাং প্রত্যেক মু’মিনের কামনা-বাসনা থাকবে সে কিভাবে জান্নাতী হতে পারবে। কারণ যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেল আর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল সে ব্যক্তিই সফলকাম।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. সৎকাজ করার মাধ্যমে ও অসৎকাজ বর্জন করার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা ওয়াজিব।
২. আখিরাতের মুক্তির জন্য পাথেয় গ্রহণ করা উচিত।
৩. জান্নাতবাসী ও জাহান্নামী কখনো সমান নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings