Surah Al Mujadila Tafseer
Tafseer of Al-Mujadila : 12
Saheeh International
O you who have believed, when you [wish to] privately consult the Messenger, present before your consultation a charity. That is better for you and purer. But if you find not [the means] - then indeed, Allah is Forgiving and Merciful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১-১৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
(یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْٓا.... وَاللہُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِیْرٌ)
এখানে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে মজলিসের আদব শিক্ষা দিচ্ছেন এবং জ্ঞানীদের মর্যাদার কথা বর্ণনা করছেন।
যখন মু’মিনরা কোন মজলিসে একত্রিত হবে তখন যদি আগত লোকদের জন্য মজলিসে জায়গা করে দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে নড়েচড়ে বসে মজলিসে জায়গা করে দেবে। কেননা আগত লোকজন এসে দাঁড়িয়ে থাকবে বা কোন বসা লোককে উঠিয়ে দিয়ে বসতে হবে এমন যেন না হয়। কারণ এ দুটিই আদবের খেলাফ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি যেন অন্য কোন ব্যক্তিকে তার স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে না বসে। বরং মজলিসের জায়গাকে প্রশস্ত করে দাও। (সহীহ বুখারী হা. ৬২৬৯)
অন্যত্র তিনি বলেন : কোন ব্যক্তি তার জায়গা থেকে চলে গিয়ে ফিরে আসলে সে ব্যক্তি উক্ত জায়গার বেশি হকদার। (সহীহ মুসলিম হা. ২১৭৯)
আল্লাহ তা‘আলা এর প্রতিদানস্বরূপ তোমাদেরকে জান্নাতে অতীব প্রশস্ত স্থান দান করবেন। অথবা যেখানেই প্রশস্ততা কামনা করবে সেখানেই তিনি তা দান করবেন। যেমন বাড়িতে প্রশস্ততা, রুযীতে প্রশস্ততা এবং কবরে প্রশস্ততা ইত্যাদি।
(وَإِذَا قِيْلَ انْشُزُوْا)
‘যখন বলা হয়, তোমরা উঠে যাও’ অর্থাৎ জিহাদের জন্য, সালাতের অথবা কোন ভাল কাজের জন্য যেতে বলা হয়, তখন সত্বর উঠে চলে যাও। আব্দুর রহমান বিন জায়েদ বলেন : সাহাবায়ে কেরাম যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসতেন তখন প্রত্যেকেই চাইতেন যে, তিনি সবশেষে যাবেন। কখনো কখনো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রয়োজন থাকত; ফলে তাঁর জন্য এটা কষ্টকর হয়ে যেত। তাই নির্দেশ দেওয়া হল যখন চলে যেতে বলা হবে তখন যেন তারা চলে যায়।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَإِنْ قِيْلَ لَكُمُ ارْجِعُوْا فَارْجِعُوْا هُوَ أَزْكٰي لَكُمْ ط وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ)
“যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’, তবে তোমরা ফিরে যাবে, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।” (সূরা নূর ২৪ : ২৮)
( يَرْفَعِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ لا وَالَّذِيْنَ أُوْتُوا الْعِلْمَ دَرَجٰتٍ)
অর্থাৎ ঈমানদারদের মর্যাদা বেঈমানদারদের ওপর এবং (ঈমানদার) শিক্ষিতদের মর্যাদা অশিক্ষিত সাধারণ ঈমানদারদের থেকে অনেক বেশি। ঈমানদার আলেমদেরকে আখিরাতে নেকী অনেক বেশি দেওয়া হবে আর দুনিয়াতে অনেক মর্যাদা দেওয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : আলেমের মর্যাদা ইবাদতকারীর ওপর তেমন যেমন পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মর্যাদা সমস্ত তারকার ওপর। (আবূ দাঊদ হা. ৩৬৪১)
অন্যত্র নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
الْعُلَمَاءُ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ
আলেমরাই নাবীদের ওয়ারিশ। এছাড়া আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে।
(یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْٓا اِذَا نَاجَیْتُمُ الرَّسُوْلَ..... وَاَطْھَرُﺚ فَاِنْ لَّمْ تَجِدُوْا فَاِنَّ اللہَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ)
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে প্রত্যেক মু’মিন নির্জনে কথা বলার আশা করত। কিন্তু সবার সাথে নির্জনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া তো একা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষে সম্ভব নয়। আবার কেউ কেউ বলেছেন : অনেক মুনাফিকরা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে চুপিচুপি কথা বলতে গিয়ে সময় নষ্ট করত। এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ জারী করে দিলেন যে, যারাই নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নির্জনে কথা বলতে চাইবে তারাই যেন সদকা প্রদান করে। এটা তাদের জন্য উত্তম অর্থাৎ সদকাহ প্রদান করে কথা বলা। কেননা এর মাধ্যমে তাদের অনেক কল্যাণ হাসিল হবে। কিন্তু এ নির্দেশ সাহাবীদের জন্য কষ্টকর হয়ে গেলে আল্লাহ তা‘আলা বিধানটি হালকা করে দিলেন। তাই পরবর্তী আয়াতটি পূর্ববর্তী আয়াতকে রহিত করে দিয়েছে। (ইবনু কাসীর)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : মুসলিমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বেশি বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করত, এমনকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুশকিলে নিপতিত করত। আল্লাহ তা‘আলা চাইলেন এ সমস্যা থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উত্তরণ করতে, তাই তিনি পরবর্তী আয়াত নাযিল করলেন (কুরতুবী)। এছাড়াও এ সম্পর্কে আরো বর্ণনা রয়েছে।
আল্লামা সা‘দী (রহঃ) বলেন : আয়াতটি রহিত হয়নি, বরং নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মানার্থে হুকুমটি বলবৎ আছে। তবে কেউ সদকাহ না দিলে আল্লাহ পাকড়াও করবেন না। (তাফসীর সা‘দী)
তাই ফরয সালাত, যাকাত ও আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্য করলেই সদকার পরিবর্তে যথেষ্ট হয়ে যাবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. মাজলিসের আদব জানতে পারলাম।
২. আলেমদের মর্যাদা সাধারণ লোকদের থেকে অনেক বেশি যদি সেই আলেম ইলম অনুযায়ী আমল করে।
৩. ইসলামী শরীয়তের আদেশ-নিষেধের হিকমত জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings