Surah An Najm Tafseer
Tafseer of An-Najm : 32
Saheeh International
Those who avoid the major sins and immoralities, only [committing] slight ones. Indeed, your Lord is vast in forgiveness. He was most knowing of you when He produced you from the earth and when you were fetuses in the wombs of your mothers. So do not claim yourselves to be pure; He is most knowing of who fears Him.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩২ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
দুনিয়া ও আখিরাতের রাজত্ব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার, তিনি যেভাবে ইচ্ছা তাঁর রাজত্ব পরিচালনা করেন, বান্দাদের ওপর বিধান জারি করেন, যারা তাঁর আনুগত্যশীল তাদেরকে ভাল প্রতিদান এবং যারা অবাধ্য পাপাচারী তাদের কর্মের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করবেন।
كَبَآئِرَ শব্দটি كبيرة-এর বহুবচন। অর্থ হল কবীরা গুনাহ, বড় পাপ। যার সংজ্ঞার মতপার্থক্য
(إِنْ تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ)
এ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
الْفَوَاحِشَ শব্দটি فاحشة শব্দের বহুবচন। অর্থ হলো, অশ্লীল কাজ। যেমন ব্যভিচার, সমকামিতা, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি।
لمم-এর আভিধানিক অর্থ হল, অল্প ও ছোট হওয়া। আর এ থেকেই বলা হয় الم المكان বা ঘরে অল্পক্ষণ ছিল। অনুরূপ কোন জিনিসকে কেবল স্পর্শ করা বা তার নিকটবর্তী হওয়া অথবা কোন কাজকে লাগাতার নয় বরং কেবল একবার দু’বার করা কিংবা অন্তরে কেবল খেয়ালের উদ্রেগ হওয়া এ সবকেই لمم বলা হয়। (ফাতহুল কাদীর)
لمم-এর ভাষাগত প্রয়োগ ও তার অর্থের প্রতি লক্ষ্য করেই তার অর্থ করা হয়েছে “সাগীরা গুনাহ”।
ইবনু লুবাবাহ্ আত্ তায়েফী বলেন : আমি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-কে الا اللمم সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বললেন : لمم (লামাম) হল (পর নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া, স্পর্শ করা) অতঃপর যদি খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে তাহলে তা হবে ব্যভিচার।
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : আল্লাহ তা‘আলা আদম সন্তানের আমলনামায় ব্যভিচারের অপরাধের একটি অংশ লেখেন, যা তার দ্বারা হবেই তা থেকে বাঁচার কোনক্রমেই উপায় নেই। চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, মুখের ব্যভিচার হল বলা, অন্তরের ব্যভিচার হলো আকাক্সক্ষা করা, লজ্জাস্থান হয় তা (বাস্তবায়নের মাধ্যমে) সত্যায়িত করে বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। (সহীহ বুখারী হা. ৬২৪৩)
মোটকথা لمم হল সাগীরা গুনাহ যা ক্ষমা হয়ে যাবে কবীরা ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকলে।
أَجِنَّةٌ হলো جنين-এর বহুবচন। মূল অর্থ গুপ্ত। গর্ভস্থ ভ্রুণকে جنين বলা হয়। কারণ তা মানুষের চক্ষু থেকে গোপনে থাকে।
(فَلَا تُزَكُّوْآ أَنْفُسَكُمْ)
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার নিকট তোমাদের খুঁটিনাটি, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল কিছু জানা, তাই নিজেদের প্রশংসা করার কোন সুযোগ নেই। তবে আল্লাহ তা‘আলা যার প্রশংসা করেন তার কথা ভিন্ন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
( أَلَمْ تَرَ إِلَي الَّذِيْنَ يُزَكُّوْنَ أَنْفُسَهُمْ ط بَلِ اللّٰهُ يُزَكِّيْ مَنْ يَّشَا۬ءُ وَلَا يُظْلَمُوْنَ فَتِيْلًا)
“তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে পবিত্র মনে করে? বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন এবং তাদের ওপর সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হবে না। ” (সূরা নিসা ৪ : ৪৯)
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্র ইবনু ‘আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমার কন্যার নাম ‘বাররাহ’ রেখেছিলাম। তখন যায়নাব বিনতু আবি সালামাহ শুনলেন : নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এরূপ নামকরণ করা থেকে নিষেধ করেছেন। আমার নামও ‘বাররাহ’ ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের পুণ্যবানদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলাই অধিক ভাল জানেন। তখন সাহাবীগণ বললেন : তাহলে এর নাম কী রাখব? তিনি বললেন : ‘যায়নাব’ রাখো। (সহীহ মুসলিম, অধ্যায় : খারাপ নাম পরিবর্তন করা মুস্তাহাব)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আকাশ-জমিনের রাজত্ব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার হাতে।
২. আল্লাহ তা‘আলা সৎ আমলকারীদের উত্তম প্রতিদান ও খারাপ আমলকারীদের মন্দ ফল দেবেন।
৩. কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার ফযীলত জানতে পারলাম।
৪. لمم-এর ব্যাখ্যা জানলাম।
৫. আত্মপ্রশংসা করা নিষেধ।
৬. খারাপ নাম থাকলে তা পরিবর্তন করা মুস্তাহাব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings