Surah An Najm Tafseer
Tafseer of An-Najm : 25
Saheeh International
Rather, to Allah belongs the Hereafter and the first [life].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৯-২৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর : /b>
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে যে সঠিক দীন ও তাওহীদ এসেছে তার আলোচনা করার পর মুশরিকদের বাতিল ধর্মের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তারা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যাদের ‘ইবাদত করে তারা তো আয়াতে উল্লিখিত গুণাবলির অধিকারী নয়, তারা কোন প্রকার উপকার ও ক্ষতি করতে পারে না। তারা ‘ইবাদত করে এমন সব মূর্তির যা তারা নিজের হাতে তৈরি করেছে, যার নামকরণ করেছে তাদের বাপ-দাদারা। যারা মূলত ‘ইবাদত পাবার হক্বদার নয়।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : اللت (লাত) নামে একজন লোক ছিল, সে ছাতু তৈরি করে হাজীদের খাওয়াতো। (সহীহ বুখারী হা. ৪৮৫৯)
ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন : العزى শব্দটি العزيز থেকে এসেছে। মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী “নাখলা” নামক স্থানে একটি বৃক্ষ ছিল। তার ওপর গম্বুজ নির্মিত ছিল। তা চাদরাবৃত করা হত। কুরাইশরা তাকে খুব সম্মান করত। আমাদের দেশে ক্ববর পূজারীরা যেমন করে থাকে।
আবূ সুফিয়ান (রাঃ) উহূদের দিন বলেছিলেন, আমাদের উয্যা আছে, তোমাদের উয্যা নেই। জবাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন : আল্লাহ তা‘আলা আমাদের অভিভাবক, তোমাদের কোন অভিভাবক নেই। (সহীহ বুখারী হা. ৩০৩৯)
আবূ তুফায়েল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন : মক্কা বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খালেদ ইবনু ওয়ালিদকে “নাখলা” নামক স্থানে প্রেরণ করলেন। সেখানে উয্যা নামক মূর্তি ছিল। খালেদ (রাঃ) সেখানে আসলেন। উয্যা তিনটি বাবলা গাছের ওপর ছিল। গাছগুলো কেটে ফেলা হলো। গম্বুজ ভেঙ্গে ফেলা হলো। অতঃপর খালেদ (রাঃ) ফিরে এসে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানালেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : “ফিরে যাও, তুমি কিছুই করনি। খালেদ (রাঃ) ফিরে আসলেন এবং তখন দেখলেন তার রক্ষক ও খাদেমরা উয্যাকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে আর বলছে হে উয্যা! হে উয্যা! খালেদ (রাঃ) আসলেন এবং দেখলেন, একজন উলঙ্গ নারী রয়েছে, যার চুলগুলো এলোমেলো, আর সে তার মাথার ওপর মাটি নিক্ষেপ করছে। খালেদ (রাঃ) তরবারী দ্বারা তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ সংবাদ দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : ঐটাই হলো উয্যা। (মু’জামুল বুলদান ৪/১১৭)
(أَلَكُمُ الذَّكَرُ وَلَهُ الْأُنْثٰي)
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার জন্য তোমরা কন্যা সন্তান নির্ধারণ করো আর তোমাদের নিজেদের জন্য ছেলে সন্তান গ্রহণ করে নিচ্ছ। এরূপ বণ্টন কতইনা নিকৃষ্ট।
(أَمْ لِلْإِنْسَانِ مَا تَمَنّٰي)
অর্থাৎ মানুষ যা কিছু আকাক্সক্ষা করে তার সব পায় না।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : যখন তোমাদের কেউ কিছুর আকাক্সক্ষা করে তখন সে কিসের আকাক্সক্ষা করছে তা যেন লক্ষ্য করে। কেননা সে জানেনা তার ঐ আকাক্সক্ষার জন্য কী লেখা হবে। (মুসনাদ আহমাদ ২/৩৫৭, সহীহ)
(لَا تُغْنِيْ شَفَاعَتُهُمْ)
‘তাদের কোন সুপারিশ কাজে আসবে না’ শাফা‘য়াতের আলোচনা সূরা আল বাকারাতে করা হয়েছে।
সুতরাং যদি নৈকট্যশীল ফেরেশতাদের শাফা‘য়াত আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ছাড়া কাজে না আসে তাহলে কোথায় মূর্তি আর কোথায় মাজারে শায়িত ব্যক্তি ও পীর-গাউস-কুতুবদের শাফায়াত!
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. মক্কার মূর্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা এক, অদ্বিতীয় তার কোন স্ত্রী ও সন্তানাদি নেই।
৩. যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা শাফা‘য়াত করার অনুমতি দেবেন এবং যাদের প্রতি তিনি খুশি কেবলমাত্র তারাই কারো জন্য শাফা‘য়াত করতে পারবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings