Surah At Tur Tafseer
Tafseer of At-Tur : 44
Saheeh International
And if they were to see a fragment from the sky falling, they would say, "[It is merely] clouds heaped up."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৩-৪৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
কাফিরদের অবাধ্যতা ও গোঁড়ামির কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : তারা যদি আকাশের কোন খণ্ড ভেঙ্গে পড়তে দেখে তখন তারা বলে- এটাতো মেঘমালা مركوم অর্থাৎ متراكم বা পুঞ্জীভূত হওয়া।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَابًا مِّنَ السَّمَا۬ءِ فَظَلُّوْا فِيْهِ يَعْرُجُوْنَ لَقَالُوْآ إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُوْرُوْنَ)
“আমি যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার খুলে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে থাকে, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে; বরং আমরা এক জাদুগ্রস্ত সম্প্রদায়।” (সূরা আল হিজ্র ১৫ :১৪-১৫)
অতএব তাদেরকে কিয়ামত অবধি ছেড়ে দাও; যেদিন তাদের চক্রান্ত কোন কাজে আসবে না। আর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকো।
(وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا)
‘তুমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায় ধৈর্যধারণ কর; তুমি আমার চোখের সামনেই রয়েছো’ অর্থাৎ তুমি রিসালাতের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে সব কষ্টের সম্মুুখীন হয়েছো তার জন্য তোমার প্রভুর ফায়সালার অপেক্ষা কর। কারণ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার দৃষ্টির বাইরে নন বরং তিনি সব দেখছেন।
(حِيْنَ تَقُوْمُ)
(দাঁড়ানো) বলতে কোন্ দাঁড়ানোকে বুঝানো হয়েছে? কেউ বলেছেন : সালাতের জন্য দাঁড়ানোর সময় তাসবীহ পাঠ করা। যেমন সালাতের শুরুতে পড়া হয় :
কেউ বলেছেন : নিদ্রা হতে জাগ্রত হয়ে দাঁড়ানো। এ ব্যাপারে সহীহ বুখারীতে ১১৫৪ নং হাদীসেও রয়েছে।
কেউ বলেছেন : মজলিস থেকে উঠে দাঁড়ানো। যেমন হাদীসে এসেছে : যে ব্যক্তি কোন মজলিস থেকে ওঠার সময় এ দু‘আটি পাঠ করবে তার জন্য তা ঐ মজলিসের ভুলত্র“টির কাফফারা হয়ে যাবে। (আবূ দাঊদ হা. ৪৮৫৯) দু‘আটি হলো :
سُبْحَانَك اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إلٰهَ إِلَّاأَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
(وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ)
‘এবং তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা কর রাত্রিকালে’ অর্থাৎ তাঁর যিক্র কর, সলাত আদায় ও কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তাঁর ইবাদত কর। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَمِنَ الَّیْلِ فَتَھَجَّدْ بِھ۪ نَافِلَةً لَّکَﺣ عَسٰٓی اَنْ یَّبْعَثَکَ رَبُّکَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًاﮞ)
এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর, এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে।
(وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ)
ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন : মিরাজের পূর্বে সূর্যোদয়ের আগে, ফজরের সময় দু’ রাকআত আর আসরের সময় দু’রাকআত সলাত ফরয ছিল। অতঃপর আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফারয করার মাধ্যমে তা রহিত করে দেন। (ইবনু কাসীর- এ আয়াতের তাফসীর)
জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : একরাতে আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি চৌদ্দ তারিখের রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন : তোমরা যেমন এ চাঁদটি দেখতে পাচ্ছ তেমনিভাবে তোমরা তোমাদের রবকে দেখতে পাবে এবং তাঁকে দেখার ব্যাপারে বাধা বিঘœ হবে না। তাই তোমাদের সামর্থ্য থাকলে সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের আগের সালাতের ব্যাপারে পরাজিত হবে না। তারপর তিনি পাঠ করলেন : তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে। (সহীহ বুখারী হা. ৪৮৫১, সহীহ মুসলিম হা. ৬৩৩)
সূর্যোদয়ের পূর্ব বলতে ফজরের সালাত সূর্যাস্তের পূর্বে বলতে ‘আসরের সালাতকে বুঝানো হয়েছে। আর রাতের কিয়দাংশ সালাত আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা হলো তাহাজ্জুদের সালাত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. কুরাইশ কাফিররা অবাধ্যতার চরমসীমায় পৌঁছে গিয়েছিল।
২. দীনের দা‘ওয়াত দিতে গিয়ে কেউ কষ্টের সম্মুখীন হলে তাকে সান্ত্বনা দেয়া উচিত। যেমন আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিয়েছেন।
৩. জালিমরা দুনিয়াতেই কিছু খারাপ পরিণতির সম্মুখীন হয়। আর আখিরাতে রয়েছে চরম শাস্তি।
৪. আল্লাহ তা‘আলার চোখ রয়েছে তার প্রমাণ পেলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings