52:38
أَمۡ لَهُمۡ سُلَّمٌ يَسۡتَمِعُونَ فِيهِۖ فَلۡيَأۡتِ مُسۡتَمِعُهُم بِسُلۡطَٰنٍ مُّبِينٍ٣٨
Saheeh International
Or have they a stairway [into the heaven] upon which they listen? Then let their listener produce a clear authority.
২৯-৪২ নম্বর আয়াতের তাফসীর : এ আয়াতগুলোর শুরুতে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর কাফির-মুশরিক কর্তৃক আরোপ করা তিনটি খারাপ বৈশিষ্ট্য অপনোদন করছেন- (১) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি গণক নন। (২) তিনি উন্মাদও নন এবং (৩) তিনি কোন কবিও না।আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (وَمَا عَلَّمْنٰھُ الشِّعْرَ وَمَا یَنْۭبَغِیْ لَھ۫ﺚ اِنْ ھُوَ اِلَّا ذِکْرٌ وَّقُرْاٰنٌ مُّبِیْنٌ) “আমি তাঁকে (রাসূলকে) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তাঁর জন্য শোভনীয়ও নয়। এটা কেবল এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন। ” (সূরা ইয়া-সীন ৩৬ :৬৯)তাই আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উক্ত তিনটি খারাপ বৈশিষ্ট্য অপনোদন করার পর দা‘ওয়াতী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন।رَيْبَ -এর অর্থ : বিপর্যয়, দুর্ঘটনা। مَمْنُوْنِ মৃত্যুর নামসমূহের একটি নাম। আয়াতের তাৎপর্য হলো : মক্কার কুরাইশরা এ অপেক্ষায় ছিল যে, হয়তো মুহাম্মাদ কালের কোন দুর্ঘটনায় মারা যাবে, আর আমরা স্বস্তি লাভ করব।(فَإِنِّيْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُتَرَبِّصِيْنَ) অর্থাৎ আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রয়েছি। দেখ, কার মৃত্যু আগে আসে। তারপর আল্লাহ তা‘আলা ৩২-৪৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত অস্বীকৃতিসূচক কাফিরদেরকে প্রশ্ন করছেন, যার না-বোধক উত্তর আসবে।প্রথমেই আল্লাহ তা‘আলা তাদের এই চলমান কৃতকর্মের কারণ জিজ্ঞাসা করছেন যে, তারা এরূপ কেন করছে? তারা কি তাদের বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী এ কাজ করছে? আল্লাহ নিজেই উত্তর দিচ্ছেন যে, না- বিবেক তো আমিই তাদের দিয়েছি, বিবেক খাটিয়ে যদি তারা কাজ করতো তাহলে তারা সঠিক পথ পেত। আসলে তারা হলো অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা কুরআন নিয়ে তাদের মন্তব্য ও তার বিপরীতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, তারা কি বলতে চায় যে, এ কুরআন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিজের রচনা করা গ্রন্থ? যদি তারা তাই মনে করে তাহলে তারাও তার মতোই একটি গ্রন্থ রচনা করে নিয়ে আসুক। এ ব্যাপারে পূর্বে সূরা বাকারাসহ অন্যান্য স্থানে আলোচনা করা হয়েছে।তারপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের ক্ষমতা কতটুকু তার প্রতি ইঙ্গত দিচ্ছেন যে, তারা কি এমনিতেই সৃষ্ট না তাদের কোন স্রষ্টা রয়েছে? আসলে স্রষ্টা ব্যতীত যে কোন কিছু সৃষ্টি হয় না তারই কথা আল্লাহ জানালেন। আল্লাহ তা‘আলা আরো বললেন, তারা কি নিজেরাই নিজেদের স্রষ্টা? তারা কি আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? তাদের নিকট কি তাদের রবের ভাণ্ডার রয়েছে, নাকি তার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তাদের রয়েছে যে, তারা তা নিয়ন্ত্রণ করছে? নাকি তাদের জন্য আসমানে উঠার সিঁড়ি রয়েছে? যদি থাকে তাহলে তাদের মধ্যে যে ঐ সিঁড়ি বেয়ে আসমানে উঠে সেখান থেকে কিছু শুনেছে তা দলিল হিসাবে পেশ করুক। প্রকৃত কথা এই যে, উল্লেখিত কোন কিছুর মালিকই তারা নয়, তবে তারা কিসের অহংকার করছে? যদি তাদের কোন কিছু করার ক্ষমাত না-ই থাকে তাহলে তাদের উচিত আত্মসমর্পণ করা।এরপর মুশরিকদের একটা ভ্রান্ত বিশ্বাসের বিষয়ে বলছেন যে, তারা বলে : ফিরিশ্তারা আল্লাহর কন্যা। অথচ কন্যা সন্তান তাদেরই অপছন্দের বস্তু। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেন, কন্যা সন্তান আল্লাহর জন্য আর পুত্র সন্তান তোমাদের জন্য? এ কেমন বণ্টন?এরপর আল্লাহ তাদের অস্বীকৃতির কারণ হিসেবে জিজ্ঞাসা করছেন, তুমি কি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ, যে কারণেই তারা তোমার কথা শুনতে চাচ্ছে না? আসল বাস্তবতা তাও নয়। নাকি তারা অদৃশ্যের খরব রাখে, যেজন্য তুমি যা বলছ তা তারা অস্বীকার করছে যে, তুমি যা বলছ তা মিথ্যা যার ফলে তারা বিশ্বাস করে যে, তোমার কথা ঠিক নয়; নাকি তারা ইচ্ছাকৃতই কোন ষড়যন্ত্র করছে আর বাস্তব কথা সেটাই। তাদের জেনে রাখ দরকার যে, তারাই তাদের ষড়যন্ত্রে ধ্বংশ হয়ে যাবে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন গণক, জাদুকর বা পাগল নন যা কাফেররা বলে থাকে। দায়ীদের এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কেননা এমন কথা তাদের ক্ষেত্রেও বলা হতে পারে, তাই ধৈর্য ধারন করতে হবে।২. আল্লাহর মুখলেস বান্দাদের তিনি সবসময় সাহায্য করে থাকেন।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us