Surah Adh Dhariyat Tafseer

Surah
Juz
Page

Adh-Dhariyat : 31

51:31
قَالَفَمَاخَطْبُكُمْأَيُّهَاٱلْمُرْسَلُونَ ٣١

Saheeh International

[Abraham] said, "Then what is your business [here], O messengers?"

Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)

৩১-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর:

ইতিপূর্বে গত হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম (আঃ) সম্পর্কে সংবাদ দিতে গিয়ে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “অতঃপর যখন ইবরাহীম (আঃ)-এর ভীতি দূরীভূত হলো এবং তার নিকট সুসংবাদ আসলো তখন সে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে আমার সাথে বাদানুবাদ করতে লাগলো। ইবরাহীম (আঃ) তো অবশ্যই সহনশীল, কোমল হৃদয়, সতত আল্লাহ অভিমুখী। হে ইবরাহীম (আঃ)! এটা হতে তুমি বিরত হও। তোমার প্রতিপালকের বিধান এসে পড়েছে; তাদের উপর তো শাস্তি আসবে যা অনিবার্য।" (১১:৭৪-৭৬)

আর এখানে আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর উক্তি উদ্ধৃত করেন যে, তিনি ফেরেশতাদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ “হে প্রেরিত দূতগণ! আপনাদের বিশেষ কাজ কি?' অর্থাৎ আপনাদের শুভাগমনের উদ্দেশ্য কি? ফেরেশতাগণ জবাবে বলেনঃ আমাদেরকে এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে। এই সম্প্রদায় দ্বারা তারা হযরত লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন। তারা আরো বলেনঃ “আমরা আদিষ্ট হয়েছি যে, আমরা যেন তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি; যা সীমালংঘনকারীদের জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে চিহ্নিত।' অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে ঐ পাপীদের নাম ঢেলাগুলোর উপর পূর্ব হতেই লিখিত আছে। প্রত্যেকের জন্যে পৃথক পৃথক ঢেলা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সূরায়ে আনকাবুতে রয়েছেঃ (আরবী)

অর্থাৎ “সে (ইবরাহীম আঃ) বললোঃ এই জনপদে তো লূত (আঃ) রয়েছে। তারা বললোঃ সেথায় কারা আছে তা আমরা ভাল জানি, আমরা তো দূত (আঃ)-কে ও তার পরিজনবর্গকে রক্ষা করবেই, তার স্ত্রী ব্যতীত; সে তো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।" (২৯:৩২)

অনুরূপভাবে এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ‘সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম। এর দ্বারাও হযরত লূত (আঃ) এবং তাঁর পরিবার পরিজনকে বুঝানো হয়েছে। তার স্ত্রী ব্যতীত, যে ঈমান আনয়ন করেনি। মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সেখানে একটি পরিবার ব্যতীত কোন অত্মিসমর্পণকারী আমি পাইনি।' এ আয়াত দু’টি ঐ লোকদের দলীল যারা বলেন যে, ঈমানের নামই ইসলাম। কেননা, এখানে যাদেরকে মুমিন বলা হয়েছে তাদেরকেই মুসলিম বলা হয়েছে। মুতাজিলাদের মাযহাবও এটাই যে, ঈমান ও ইসলাম একই জিনিস। কিন্ত তাদের এ দলীল খুবই দুর্বল। কেননা, এ লোকগুলো মুমিন ছিলেন। আর আমরাও তো এটা স্বীকার করি যে, প্রত্যেক মুমিনই মুসলিম হয়। কিন্তু প্রত্যেক মুসলিম মুমিন হয় না। সুতরাং অবস্থার বিশেষত্বের কারণে তাঁদেরকে মুমিন ও মুসলিম বলা হয়েছে। এর দ্বারা সাধারণভাবে এটা প্রমাণিত হয় না যে, প্রত্যেক মুসলিম মুমিন হয়ে থাকে। হযরত ইমাম বুখারী (রঃ) এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসদের মাযহাব এই যে, যখন ইসলাম প্রকত ও সঠিক হয় তখন ঈমান ও ইসলাম একই হয়। তবে ইসলাম প্রকৃত ও বাস্তবরূপী না হলে ঈমান ও ইসলামের পার্থক্য অবশ্যই হবে।

এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এই কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার মধ্যে ঐ লোকদের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন, শিক্ষা ও উপদেশ রয়েছে যারা আল্লাহর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে। তারা ঐ সব লোকের কৃতকর্মের পরিণাম দেখে যথেষ্ট শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

Quran Mazid
go_to_top
Quran Mazid
Surah
Juz
Page
Settings