Surah Adh Dhariyat Tafseer
Tafseer of Adh-Dhariyat : 12
Saheeh International
They ask, "When is the Day of Recompense?"
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
নামকরণ :
الذّٰرِيٰتِ (আল যারিয়াত) শব্দের অর্থ বাতাস, অত্র সূরার প্রথম আয়াতে الذّٰرِيٰتِ (আল যারিয়াত) শব্দটি উল্লেখ রয়েছে, সেখান থেকেই সূরার নামকরণ করা হয়েছে।
সূরার শুরুতে আল্লাহ তা‘আলা কয়েকটি শপথ করে বলছেন যে, তোমাদেরকে (কিয়ামতের) যে প্রতিশ্র“তি দেয়া হয়েছে তা সত্য এবং তা অবশ্যই সংঘটিত হবে। তারপর মুত্তাকীদের তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে। অতঃপর মানুষকে চিন্তার দৃষ্টিতে কয়েকটি নিদর্শনের দিকে তাকানোর দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইবরাহীম (আঃ)-এর মেহমানের প্রসিদ্ধ ঘটনা ও লূত (আঃ)-এর জাতিকে মর্মান্তিক শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করার বর্ণনা এসেছে। তারপর পরপর কয়েকজন নাবীর অবাধ্য জাতির অবাধ্যতা ও আপতিত আযাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূরার শেষ দিকে এক মানব ও জিন সৃষ্টির লক্ষ-উদ্দেশ্য ও আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করত তাঁর দিকে ধাবিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১-১৪ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
وَالذَّارِيَاتِ অর্থ : বাতাস। এখানে এমন বাতাসকে বুঝানো যা ধূলাবালি উড়িয়ে নিয়ে যায়।
فَالْحَامِلَاتِ মেঘমালা বহনকারী, وقرا অর্থ : পানির ভারী বোঝা। অর্থাৎ এমন মেঘমালা যা পানির ভারী-বোঝা বহন করে নিয়ে যায়।
فَالْجَارِيَاتِ হলো নৌযান যা নদী ও সমুদ্রে চলাচল করে।
فَالْمُقَسِّمَاتِ ‘শপথ কর্ম বন্টনকারীদের’ দ্বারা সেসকল ফেরেশতাদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশাবলী বণ্টন করে।
এসব বড় বড় নিদর্শনের শপথ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : তোমাদেরকে পুনরুত্থান ও হিসাব-নিকাশের যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা সত্য, অবশ্যই তা বাস্তবায়িত হবে। আল্লাহ তা‘আলা যে জিনিসের শপথ করেন অন্যান্য জিনিসের তুলনায় তা অধিক গুরুত্বের দাবীদার। তাই বড় বড় নিদর্শনের শপথ করে পুনরুত্থানের বিষয়টির সত্যতার সাথে গুরুত্ব ব্যক্ত করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মাখলুকের মধ্য হতে যে কোন জিনিসের নাম নিয়ে শপথ করতে পারেন। কিন্তু মানুষ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করতে পারে না। অন্যের নামে শপথ করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللّٰهِ فَقَدْ أَشْرَكَ
যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করল যে র্শিক করল। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ হা. ৩২৫১, সহীহ)
অতঃপর আকাশের শপথ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : যে আকাশ (ذَاتِ الْحُبُكِ) অর্থাৎ- বহু কক্ষপথবিশিষ্ট (অন্য একটি অর্থ হলো : শপথ সুসজ্জিত ও আলোক-উজ্জ্বল আকাশের যা গ্রহ-নক্ষত্র ও তারকারাজি দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত)। হে মক্কাবাসী! তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও কুরআনের ব্যাপারে যেসব কথায় লিপ্ত রয়েছো- যেমন কেউ বল : জাদুকর, কেউ বল : জ্যোতিষী, কেউ বল : পাগল ইত্যাদি এ সকল কথা বিরোধপূর্ণ যা সত্য নয়।
(يُؤْفَكُ عَنْهُ مَنْ أُفِكَ)
অর্থাৎ সে ব্যক্তিকে কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে যে আল্লাহ তা‘আলার প্রমাণ ও দলীল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাকে কল্যাণের তাওফীক দেয়া হয়নি।
الْخَرَّاصُونَ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : তারা মুরতাদ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন : এর অর্থ হল মিথ্যুক, যারা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে।
(غَمْرَةٍ سَاهُونَ)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : কুফরী ও সংশয়ের মাঝে গাফেল হয়ে পড়ে আছে।
يُفْتَنُونَ -এর অর্থ হলো : يحرقون ويعذبون
যেভাবে সোনা আগুনে পুড়িয়ে যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, ঠিক ঐভাবে এদেরকেও আগুনে নিক্ষেপ করে শাস্তি দেয়া হবে। ==
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. পুনরুত্থান ও হিসাব-নিকাশের প্রতি ঈমান রাখতে হবে।
২. আল্লাহ তা‘আলা যে কোন জিনিসের শপথ করতে পারেন। কিন্তু মানুষ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যের নামে শপথ করতে পারে না।
৩. যারা আখিরাতে অবিশ্বাসী তাদের প্রতি লা‘নত, তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings