Surah Qaf Tafseer
Tafseer of Qaf : 7
Saheeh International
And the earth - We spread it out and cast therein firmly set mountains and made grow therein [something] of every beautiful kind,
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬-১১ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আলোচ্য আয়াতগুলোতে আকাশ-জমিন সৃষ্টি, আকাশকে তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত করা, জমিনকে প্রশস্ত করা, আকাশ হতে বরকতময় বৃষ্টি নাযিল ইত্যাদি আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাহ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এসব সৃষ্টির দিকে চিন্তার দৃষ্টিতে তাকালে পুনরুত্থানের প্রতি নেতিবাচক ধারণা দূর হয়ে যাবে।
(أَفَلَمْ يَنْظُرُوْآ إِلَي السَّمَا۬ءِ)
‘তারা কি কখনও তাদের ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে না’ অর্থাৎ তারা কি আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? তারা কি দেখে না, আল্লাহ তা‘আলা কী মজবুত, সুন্দর ও সুউচ্চ করে আকাশ সৃষ্টি করেছেন?
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(اَللّٰهُ الَّذِيْ رَفَعَ السَّمٰوٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا)
“আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশসমূহ স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত যা তোমরা দেখছ।” (সূরা রাদ ১৩ :২) শুধু সৃষ্টিই করেননি, সৃষ্টি করে তাকে বিশেষ করে দুনিয়ার আকাশকে তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন :
(وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِي السَّمَا۬ءِ بُرُوْجًا وَّزَيَّنّٰهَا لِلنّٰظِرِيْنَ)
“আমি আকাশে গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি করেছি এবং তা সুশোভিত করেছি দর্শকদের জন্য” (সূরা হিজর ১৫ :১৬) আকাশ এত বিশাল ও বড় হওয়া সত্ত্বেও তাতে কোন ফাটল বা ছিদ্র নেই। অতএব এ বিশাল আকাশ সৃষ্টি করা কি মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে কঠিন নয়! মহান আল্লাহ বলেন :
(ءَاَنْتُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمِ السَّمَا۬ئُﺚ بَنٰٿھَا)
“তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিন কাজ, না আকাশের? তিনিই এটা নির্মাণ করেছেন।” (সূরা নাযিআত ৭৯ :২৭)
باسقات অর্থ : طوالا تاهقات সুউচ্চ। نضيد অর্থ : স্তরে স্তরে বিন্যস্ত।
অর্থাৎ জমিন সৃষ্টি করে তা সমতল করে দিয়েছেন এবং পেরেকস্বরূপ পাহাড় দিয়েছেন যাতে তা স্থির থাকে এবং তা বসবাসের উপযোগী হবে। জমিনে উদ্ভিদ সৃষ্টি করেছেন যা মানুষের উপকারে আসবে। মহান আল্লাহ বলেন :
(وَهُوَ الَّذِيْ مَدَّ الْأَرْضَ وَجَعَلَ فِيْهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهٰرًا ط وَمِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ جَعَلَ فِيْهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ)
“তিনিই ভূতলকে বিস্তৃত করেছেন এবং এতে পর্বত ও নদী সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।” (সূরা রাদ ১৩ :৩) এসব কিছুর মধ্যে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ। তাহল সব কিছুর স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। এ বিশাল বড় বড় বস্তু যে আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন তিনি কি মানুষকে পুনরুত্থিত করতে সক্ষম নন। অবশ্যই সক্ষম, সুতরাং এখানেই জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা নিহিত।
মানুষ যাতে সহজেই পুনরুত্থানের কথা উপলব্ধি করতে পারে সে জন্য পরের আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন : আমি বৃষ্টি বর্ষণ করে যেমন মৃত জমিনকে জীবিত করি তেমনি তোমাদেরকে মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত করব।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা তবে এটুকু বিশ্বাস করলেই মু’মিন হওয়া যাবে না যতক্ষণ না একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে।
২. আল্লাহ তা‘আলার এসব সৃষ্টি তাঁর বড়ত্ব ও মহত্বের ওপর প্রমাণ বহন করে।
৩. প্রত্যেক আত্মাকে হিসাব নিকাশের জন্য পুনরুত্থিত হতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
৪. পুনরুত্থান চিরন্তন সত্য, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings