Surah Qaf Tafseer
Tafseer of Qaf : 35
Saheeh International
They will have whatever they wish therein, and with Us is more.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩০-৩৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
মহান আল্লাহ বলেন :
(لَأَمْلَئَنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ)
“আমি অবশ্যই জিন ও মানুষ উভয়কে দিয়েই জাহান্নাম পরিপূর্ণ করব।” (আস্ সাজদাহ্ ৩২ :১৩) এ অঙ্গীকার অনুযায়ী মহান আল্লাহ কাফির জিন ও মানুষ জাতিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে জিজ্ঞাসা করবেন, তুই ভরে গেছিস, না ভরিসনি? সে উত্তরে বলবে, আরো আছে কি? অর্থাৎ যদিও আমি ভরে গেছি কিন্তু হে আল্লাহ! তোমার শত্র“দের জন্য আমার উদরে আরো ঢুকোনোর মতো স্থান আছে। জাহান্নামের সাথে আল্লাহ তা‘আলার এ কথোপকথন এবং জাহান্নামের উত্তর প্রদান আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতার কাছে মোটেও কোন অসম্ভব ব্যাপার না। হাদীসে এসেছে : জাহান্নামে মানুষকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নাম বলবে : আরো আছে কি? এমনকি জাহান্নামে মহান আল্লাহ পা রাখবেন ফলে জাহান্নাম বলবে : ব্যাস্ ব্যাস্। (সহীহ বুখারী হা. ৪৮৪৮)
জাহান্নামে মহান আল্লাহ তাঁর পা রাখবেন ফলে জাহান্নাম বলবে, ব্যাস্ ব্যাস্ এরূপ ৬টির অধিক হাদীস রযেছে। (দেখুন :ইবনু কাসীর- এ আয়াতের তাফসীর)
সে দিন জান্নাত মুত্তাকীদের নিকটবর্তী করে দেয়া হবে। কোন দূরত্ব থাকবে না। আবার এর অর্থ কেউ এভাবে বলেছেন যে, যেদিন জান্নাত মুত্তাকিদের নিকটবর্তী করা হবে সে দিন দূরে নয়, কেননা তা অবশ্যই সংঘটিত হবে। আর
كل ما هو ات فهو قريب
প্রত্যেক যা কিছু আসার তা নিকটবর্তী। (ইবনু কাসীর- এ আয়াতের তাফসীর)
(وَلَدَيْنَا مَزِيدٌ)
‘আমার নিকট রয়েছে তারও অধিক’ অর্থাৎ জান্নাতীগণ জান্নাতে যা কিছু চাইবে সব পাবে। এমনকি তারা যা চাইবে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তার চেয়ে আরো বেশি আছে। বেশি যা দেবেন মুহাদ্দিসগণ তার তাফসীর করেছেন- আল্লাহ তা‘আলার দীদার। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(لِلَّذِيْنَ أَحْسَنُوا الْحُسْنٰي وَزِيَادَةٌ ط وَلَا يَرْهَقُ وُجُوْهَهُمْ قَتَرٌ وَّلَا ذِلَّةٌ )
“যারা কল্যাণকর কাজ করে তাদের জন্য আছে কল্যঅণ এবং আরও অধিক। কলঙ্ক ও হীনতা তাদের মুখমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করবে না।” (সূরা ইউনুস ১০ :২৬)
মু’মিনরা পরকালে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে এ সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ، كَمَا تَرَوْنَ هَذَا القَمَرَ، لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ، فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَي صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا
তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে অবশ্যই দেখতে পাবে যেমন এ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। তা দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। (এরূপ সুস্পষ্টভাবেই আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে) সুতরাং তোমরা যদি পার সূর্যোদয়ের পূর্বের সালাত ও সূর্যাস্তের পূর্বের সালাত আদায় করতে পরাজয় বরণ করবে না তাহলে তাই কর। (সহীহ বুখারী হা. ৫৫৪, সহীহ মুসলিম হা. ৬৩৩) এ সম্পর্কে পূর্বে একাধিক স্থানে আলোচনা করা হয়েছে।
অন্য হাদীসে এসেছে : যখন জান্নাতীগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন : তোমরা কি আরো কিছু চাও, আমি বৃদ্ধি করে দেব? জান্নাতীগণ বলবে : আপনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করেননি? আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেননি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : তখন আল্লাহ তা‘আলা পর্দা তুলে দেবেন এবং জান্নাতীরা আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে। তাদেরকে জান্নাতে যা দেয়া হয়েছে তা এত প্রিয় হবে না যত প্রিয় হবে আল্লাহ তা‘আলাকে দর্শন করা। (সহীহ মুসলিম হা. ৪৬৭)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলা ও জাহান্নামের মাঝে কথোপকথন হবে। কথা বলা আল্লাহর একটি গুণ।
২. আল্লাহ তা‘আলার “পা” রয়েছে তার প্রমাণ পেলাম।
৩. জান্নাত মুত্তাকীদের অতি নিকটবর্তী করে দেয়া হবে।
৪. মু’মিন জান্নাতে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে, কোন অন্তরায় থাকবে না। এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার আকার সাব্যস্ত হয়। তবে এর ধরণ সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত।
৫. জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় জানলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings