Surah Qaf Tafseer
Tafseer of Qaf : 26
Saheeh International
Who made [as equal] with Allah another deity; then throw him into the severe punishment."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৩-২৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
প্রত্যেক মানুষের সাথে নিযুক্ত ফেরেশতা কিয়ামতের দিন আমল সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে। বলবে এই দেখো তুমি যা কিছু করেছ সব কিছু আমি লিখে রেখেছি। অপরাধিরা আমলনামা পেয়ে যা বলবে : আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَوُضِعَ الْكِتٰبُ فَتَرَي الْمُجْرِمِيْنَ مُشْفِقِيْنَ مِمَّا فِيْهِ وَيَقُوْلُوْنَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْكِتٰبِ لَا يُغَادِرُ صَغِيْرَةً وَّلَا كَبِيْرَةً إِلَّآ أَحْصَاهَا)
“এবং উপস্থিত করা হবে ‘আমালনামা এবং তাতে যা লিপিবদ্ধ আছে, তার কারণে তুমি অপরাধিদের দেখবে আতঙ্কগ্রস্ত এবং তারা বলবে, ‘হায়, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটা কেমন গ্রন্থ! যে ছোট-বড় কিছুই বাদ দেয়া হয়নি; বরং সমস্তই হিসেব রেখেছে।’ (সূরা কাহফ ১৮ :৪৯) আল্লাহ তা‘আলা তখন ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দেবেন ঐ পাপাচারীকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করতে।
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : কিয়ামতের দিন জাহান্নাম তার গর্দান বের করে দিয়ে বলবে, আজ আমি তিন শ্রেণির মানুষের জন্য নিযুক্ত হয়েছি- (১) উদ্ধত ও সত্যের বিরুদ্ধাচরণকারীদের জন্য, (২) আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্যদের শরীক স্থাপনকারীদের জন্য, (৩) অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যাকারীর জন্য। জাহান্নাম এসব লোকদেরকে জড়িয়ে ধরবে অতঃপর তার তলদেশে নিক্ষেপ করবে। (মুয়াত্তা মালেক ৩/২৪০, সহীহ)
عنيد অর্থ সত্যবিমুখ, এটা কাফিরের প্রথম অপরাধ, দ্বিতীয় অপরাধ হল নিজে তো ভাল কাজ করেই না অপরকেও ভাল কাজে প্রবল বাধা দেয়। তৃতীয় অপরাধ হল তারা সীমালঙ্ঘনকারী, চতুর্থ অপরাধ হল তাওহীদের ব্যাপারে সন্দিহান। যার ফলে আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশী স্থাপন করে। এ সমস্ত কাফিরদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামে নিক্ষেপ করতে বলবেন।
(وَقَالَ قَرِيْنُهُ)
‘তার সহচর (শয়তান) বলবে’ এখানে সহচর হলো শয়তান, সে বলবে : হে আল্লাহ! আমি তাকে পথভ্রষ্ট করিনি, বরং সে নিজেই পথভ্রষ্ট ছিল। এ-কথা বলে সে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “যখন বিচারকার্য সম্পন্ন হবে তখন শয়তান বলবে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সত্য প্রতিশ্রুতি, আমিও তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি। আমার তো তোমাদের ওপর কোন আধিপত্য ছিল না, আমি কেবল তোমাদেরকে আহ্বান করেছিলাম এবং তোমরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলে। সুতরাং তোমরা আমার প্রতি দোষারোপ কর না, তোমরা নিজেদেরই প্রতি দোষারোপ কর। আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম নই এবং তোমরাও আমাকে উদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম নও। তোমরা যে পূর্বে আমাকে আল্লাহর শরীক করেছিলে আমি তা অস্বীকার করছি, নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা ইব্রাহীম ১৪ :২২)
আল্লাহ তা‘আলা বলবেন : আমার কাছে ঝগড়া করো না, আমি পূর্বেই সতর্কবাণী প্রেরণ করেছিলাম। আমার কথার রদ-বদল হয় না। আমি বান্দার প্রতি জালিমও না। সুতরাং কিয়ামতের দিন শয়তানের দোষ দিয়ে রক্ষা পাওয়া যাবে না। সেদিন শয়তান উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করে কেটে পড়বে। তাই আমাদের এখনই সতর্ক হওয়া উচিত, যে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে দিন রাত এত অপরাধ করছি সে শয়তান আমাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছে দিয়ে চলে যাবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. কিয়ামত দিবসে মানুষের সাথে নিযুক্ত ফেরেশতাদের সাক্ষীর কথা জানতে পারলাম।
২. আয়াতে বর্ণিত খারাপ গুণাবলী থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।
৩. শয়তান ও জাহান্নামবাসীদের ঝগড়ার কথা জানতে পারলাম।
৪. শয়তানের প্রতিশ্রুতি মিথ্যা, সে প্রতিশ্রুতির নামে ধোঁকা দিয়ে থাকে।
৫. আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি জুলুম করেন না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings