Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 99
Saheeh International
For those it is expected that Allah will pardon them, and Allah is ever Pardoning and Forgiving.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯৭-১০০ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আবূ আসওয়াদ (রাঃ) বলেন: মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল তাতে আমারও নাম ছিল। আমি তখন ইবনু আব্বাসের গোলাম ইকরামা (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করতঃ এ কথাটি তাঁকে বলি। তিনি আমাকে অংশগ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেন এবং বলেন: আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে যেসব মুসলিম মুশরিকদের সঙ্গে ছিল এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল, মাঝে মাঝে এমনও হত যে, তাদের কেউ কেউ মুসলিমদেরই তীরের আঘাতে নিহত হতো বা তাদেরই তরবারী দ্বারা তাদেরকে হত্যা করা হত। তখন আল্লাহ তা‘আলা
(إِنَّ الَّذِيْنَ تَوَفّٰهُمُ الْمَلٰ۬ئِكَةُ ظَالِمِيْٓ أَنْفُسِهِمْ)
আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৯৬)
এ আয়াতে যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হিজরত করে না তাদেরকে তিরস্কারের সাথে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সুতরাং কাফিরদের দেশ থেকে হিজরত করা ফরয, যেখানে ইসলামের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আমল করা যায় না এবং যেখানে থাকলে কুফরীর দিকে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(إِلَّا الْمُسْتَضْعَفِيْنَ....)
‘তবে যেসব অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশু কোন উপায় অবলম্বন করতে পারে না’অর্থাৎ উপরে উল্লিখিত শাস্তির আওতাধীন তারা নয় যারা- দুর্বল অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু। যারা কোন উপায় অবলম্বন করতে পারে না এবং কোন পথও খুঁজে পায় না, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা যাদের অক্ষমতা কবুল করেন আমার মাতা তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৯৭)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈশার সালাতে
سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
পাঠের পর বলতেন, হে আল্লাহ! আইয়া বিন আবূ রবীযাহকে নাজাত দাও, সালামা বিন হিশামকে নাজাত দাও, ওয়ালিদ বিন ওয়ালিদকে নাজাত দাও, দুর্বল মু’মিনদেরকে নাজাত দাও। হে আল্লাহ! তোমার শাস্তি মুযার গোত্রের ওপর কঠিন করে দাও, ইউসূফ (আঃ)-এর যুগে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তেমন দুর্ভিক্ষ দাও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৯৮)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা হিজরতের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন এই বলে যে, যারা দুনিয়ার ভালবাসা ও সম্পদের মোহ ত্যাগ করে আল্লাহ তা‘আলার পথে ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা প্রশস্ততা দেবেন।
مراغما- কাতাদাহ বলেন এর অর্থ হল: পথ হারা থেকে পথের দিশা ও দারিদ্রতা থেকে সচ্ছলতা ফিরে পাবে।
মুজাহিদ বলেন: যা অপছন্দ করে, তা থেকে দূরে থাকতে পারবে। অর্থাৎ হিজরত করলে অনেক বাসস্থান, আশ্রয়স্থল ও সচ্ছলতা পাবে। (ইবনে কাসীর, ২/৪৩৬)
তারপর বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশ্যে দীন রক্ষার্থে হিজরত করবে তার প্রতিদান আমলনামায় পৌঁছে গেছে। যদিও সে গন্তব্য স্থানে পৌঁছার পূর্বেই মৃত্যু বরণ করে।
বানী ইসরাঈলের সেই একশতজন হত্যাকারী ব্যক্তি যখন তাওবাহ করে নিজ পাপী এলাকা থেকে হিজরত করে ভাল এলাকার দিকে যাচ্ছিল তখন পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। আল্লাহ তা‘আলা তার হিজরতকে কবুল করে নেন এবং জান্নাত প্রদান করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৩৪৭০, সহীহ মুসলিম হা: ৭১৮৫)
তাই দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা ও সম্পদের মোহে মোহান্বিত হয়ে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় হিজরত না করা বড় ধরণের অপরাধ।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত পালনে বাধাপ্রাপ্ত হলে হিজরত করা ওয়াজিব।
২. হিজরত করা ওয়াজিব হলে তা বর্জন করা কবীরা গুনাহ।
৩. শরীয়তসম্মত ওযর থাকলে ইসলামের বিধান পালনে শিথিল করা হয়।
৪. কোন সৎ আমল করার খালেস নিয়ত করার পরে তা করতে সক্ষম না হলেও নিয়তের জন্য নেকী পাওয়া যাবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings