Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 97
Saheeh International
Indeed, those whom the angels take [in death] while wronging themselves - [the angels] will say, "In what [condition] were you?" They will say, "We were oppressed in the land." The angels will say, "Was not the earth of Allah spacious [enough] for you to emigrate therein?" For those, their refuge is Hell - and evil it is as a destination.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৯৭-১০০ নং আয়াতের তাফসীর:
সহীহ বুখারী শরীফে রয়েছে, মুহাম্মাদ ইবনে আবদুর রহমান আল-আসওয়াদ (রঃ) বলেন, মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে যে সেনাবাহিনী গঠন করা হয়েছিল তাতে আমারও নাম ছিল। আমি তখন হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর গোলাম হযরত ইকরামা (রঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতঃ এ কথাটি তাকে বলি। তিনি এতে আমাকে অংশগ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেন এবং বলেন, “আমি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর যুগে যেসব মুসলমান মুশরিকদের সঙ্গে ছিল এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করছিল, মাঝে মাঝে এমনও হতো যে, তাদের কেউ কেউ মুসলমানদেরই তীরের আঘাতে নিহত হতো বা তাদেরই তরবারী দ্বারা তাদেরকে হত্যা করা হতো। তখন আল্লাহ তা'আলা (আরবী) আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে যে, এরূপ লোক যারা তাদের ঈমান গোপন রেখেছিল, বদরের যুদ্ধে যখন তারা মুশরিকদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয় তখন মুসলমানদের হাতে তাদের কয়েকজন লোক মারা যায়। ফলে মুসলমানেরা অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে বলেঃ ‘আফসোস! এরা তো আমাদের ভাই ছিল, অথচ এরা আমাদেরই হাতে মারা গেল। তারা তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। সে সময় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। অতঃপর অবশিষ্ট মুসলমানদের নিকট এ আয়াতটি লিখেন যে, তাদের কোন ওযর ছিল না। তখন তারা বের হয় এবং তাদের সাথে মুশরিকরা মিলিত হয় ও তাদেরকে নিরাপত্তা দান করে। সে সময় (আরবী) (২:৮) -এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। হযরত ইকরামা (রঃ) বলেন যে, এ আয়াতটি কুরাইশের ঐ লোকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় যারা ইসলামের কালেমা পাঠ করেছিল এবং মক্কাতেই ছিল। তাদের মধ্যে ছিল আলী ইবনে উমাইয়া ইবনে খালাফ, আবু কায়েস ইবনে ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা, আবু মানসুর ইবনে হাজ্জাজ এবং হারেস ইবনে জামআ’।
হযরত যহহাক (রঃ) বলেন যে, এ আয়াতটি ঐ মুনাফিকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় যারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর হিজরতের পরেও মক্কায় রয়ে গিয়েছিল। অতঃপর বদরের যুদ্ধে মুশরিকদের সঙ্গে এসেছিল। তাদের কয়েকজন যুদ্ধক্ষেত্রে মারাও যায়। ভাবার্থ এই যে, আয়াতের হুকুম হচ্ছে সাধারণ। প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির জন্যেই এ হুকুম প্রযোজ্য যে হিজরত করতে সক্ষম অথচ মুশরিকদের মধ্যে পড়ে থাকে এবং দ্বীনের উপর দৃঢ় থাকে না। সে আল্লাহ তা'আলার নিকট অত্যাচারী। এ আয়াতের ভাব হিসেবে এবং মুসলমানদের ইজমা হিসেবেও সে হারাম কার্যে লিপ্ত হওয়ার দোষে দোষী। এ আয়াতে হিজরত করা ছেড়ে দেয়াকে অত্যাচার বলা হয়েছে। এ প্রকারের লোকদেরকে তাদের মৃত্যুর সময় ফেরেশতাগণ জিজ্ঞেস করেনঃ “তোমরা এখানে পড়ে রয়েছে কেন? কেন তোমরা হিজরত করনি? তারা উত্তর দেয়,“আমরা নিজেদের শহর ছেড়ে অন্য কোন শহরে চলে যেতে সক্ষম হইনি।” তাদের এ কথার উত্তরে ফেরেশতাগণ বলেন-“আল্লাহ তাআলার পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না?'
মুসনাদ-ই-আবূ দাউদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি মুশরিকের সাথে মিলিত হয় এবং তার সাথেই বাস করে সে ওর মতই। হযরত সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, যখন হযরত আব্বাস (রাঃ), আকীল ও নাওফিলকে বন্দী করা হয় তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত আব্বাস (রাঃ)-কে বলেনঃ “আপনি আপনার নিজের ও আপনার ভ্রাতুষ্পত্রের মুক্তি পণ প্রদান করুন।' তখন হযরত আব্বাস (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমরা কি আপনার কিবলার দিকে নামায পড়তাম না এবং আমরা কি কালেমা-ই-শাহাদাত পাঠ করতাম না’? তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “হে আব্বাস (রাঃ)! আপনারা তর্কতো উত্থাপন করেছেন, কিন্তু আপনারা পরাজিত হয়ে যাবেন। শুনুন, আল্লাহ তা'আলা বলে- (আরবী) অর্থাৎ ‘আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না?'
এরপর যে লোকদের হিজরত পরিত্যাগের উপর ভর্ৎসনা নেই তাদের কথা বর্ণনা করা হচ্ছে যে, যারা মুশরিকদের হাত হতে ছুটতে পারে না বা ছুটতে পারলেও হয়তো পথ চেনা নেই, তাদেরকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করবেন। (আরবী) শব্দটি আল্লাহ তাআলার কালামে নিশ্চয়তা বোধক হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা মার্জনাকারী ও অত্যন্ত ক্ষমাশীল। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইশার নামাযে (আরবী) বলার পর সিজদায় যাওয়ার পূর্বে দু'আ করেছেনঃ “হে আল্লাহ! আইয়াশ ইবনে রাবীআকে, সালাম ইবনে হিশামকে, ওয়ালীদ ইবনে ওয়ালীদকে এবং সমস্ত অসহায় ও শক্তিহীন মুসলমানকে কাফিরদের ছোবল হতে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ! মুর' গোত্রের উপর আপনার কঠিন শাস্তি অবতীর্ণ করুন।' হে আল্লাহ! তাদের উপর আপনি এমন দুর্ভিক্ষ নাযিল করুন যেমন দুর্ভিক্ষ হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর যামানায় এসেছিল।
মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সালাম ফেরানোর পর কিবলাহ্ মুখী হয়েই হাত উঠিয়ে দু'আ করতেনঃ “হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনে ওয়ালীদকে, আইয়াশ ইবনে আবু রাবীআকে সালমা ইবনে হিশামকে এবং অন্যান্য সমস্ত শক্তিহীন মুসলমানকে কাফিরদের হাত হতে রক্ষা করুন, যারা না পারে কোন উপায় করতে এবং না পায় কোন পথ।’
তাফসীর-ই-ইবনে জারীরে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যোহরের নামাযের পরে উপরোক্ত প্রার্থনা করতেন। এ হাদীসটি বিশুদ্ধ, এ সনদ ছাড়া অন্যন্য সনদেও এটা বর্ণিত আছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “আমি এবং আমার মাতা ঐসব দুর্বল নারী ও শক্তিহীন শিশুদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম যাদের বর্ণনা এ আয়াতে রয়েছে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ওযর বিশিষ্টদের মধ্যে গণ্য করেছেন।' হিজরত করার কাজে উদ্বুদ্ধ করতে এবং মুশরিকদের হতে পৃথক থাকার হিদায়াত করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, আল্লাহর পথে হিজরতকারী যেন নিরাশ না হয়। তারা যেখানেই যাবে তিনি তাদের আশ্রয় লাভের সমস্ত ব্যবস্থা করে দেবেন এবং তারা শান্তিতে তথায় বসবাস করতে পারবে। (আরবী) শব্দের একটি অর্থ এক স্থান হতে অন্য স্থানে যাওয়াও বটে। হযরত মুজাহিদ বলেন যে, তারা দুঃখ কষ্ট হতে রক্ষা পাওয়ার বহু পন্থা পেয়ে যাবে। ওর বহু আসবাবপত্র সে লাভ করবে। সে শত্রুদের অত্যাচার হতেও রক্ষা পাবে এবং তার আহার্যেরও ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভ্রান্তির পথের স্থলে সঠিক পথ প্রাপ্ত হবে এবং দারিদ্র ধনশীলতায় পরিবর্তিত হবে।
অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “যে ব্যক্তি হিজরতের উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বহির্গত হয় কিন্তু গন্তব্য স্থানে পৌছার পূর্বেই পথে তার মৃত্যু এসে যায় সেও হিজরতের পূর্ণ পুণ্য প্রাপ্ত হবে।' রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ প্রত্যেক কার্যের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে ওটাই রয়েছে যার সে নিয়ত করেছে। সুতরাং যার হিজরত হবে আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ)-এর উদ্দেশ্যে, তার হিজরত হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর আনন্দের কারণ। আর যার হিজরত হয় দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে বা কোন নারীকে বিয়ে করার জন্যে, সে প্রকৃত হিজরতের পুণ্য প্রাপ্ত হবে না। বরং হিজরত ঐ দিকেই মনে করা হবে।' এ হাদীসটি সাধারণ। হিজরত ও অন্যান্য সমস্ত আমলই এর অন্তর্ভুক্ত।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের মধ্যে ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে একটি হাদীস রয়েছে যে নিরানব্বইটি লোককে হত্যা করে। অতঃপর একজন আবেদকে হত্যা করতঃ একশ পূর্ণ করে দেয়। তারপর তার তাওবা গৃহীহ হবে কি-না তা সে একজন আলেমকে জিজ্ঞেস করে। আলেম তাকে বলেনঃ তোমার তাওবা ও তোমার মধ্যে কোন প্রতিবন্ধক নেই। তুমি তোমার গ্রাম হতে হিজরত করে অমুক শহরে চলে যাও যেখানে আল্লাহ তাআলার আবেদগণ বাস করেন। অতএব সে হিজরতের উদ্দেশ্যে ঐ শহরের দিকে রওয়ানা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়ে যায়। এখন করুণা ও শাস্তির ফেরেশতাদের মধ্যে তার ব্যাপারে মতভেদ দেখা দেয়। করুণার ফেরেশতাগণ বলেন যে, এ ব্যক্তি হিজরতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। পক্ষান্তরে শাস্তির ফেরেশতাগণ বলেন যে, তথায় পৌছতে তো পারেনি। অতঃপর তাদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ হয় যে, এ দিকের এবং ঐ দিকের ভূমি মাপ করা হোক। যে গ্রাম সেখান হতে নিকটবর্তী হবে সে গ্রামের অধিবাসীদের সঙ্গেই তাকে মিলিত করা হবে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা যমীনকে নির্দেশ দেন যে, ওটা যেন খারাপ গ্রাম হতে দূরবর্তী হয়ে যায় এবং ভাল গ্রামের নিকটবর্তী হয়। ভূমি মাপা হলে দেখা যায় যে, একত্ববাদীদের গ্রামটি অর্ধহাত পরিমাণ নিকটবর্তী হয়েছে। ফলে তাকে করুণার ফেরেশতাগণ নিয়ে যান।
অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, মৃত্যুর সময় সে সৎলোকদের গ্রামের দিকে বুকের ভরে এগিয়ে যাচ্ছিল।
মুসনাদ-ই-আহমাদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আতীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়, তারপর তিনি বলেনঃ আল্লাহর পথের মুজাহিদগণ কোথায়? অতঃপর সে সোয়ারী হতে পড়ে মারা যায়, ওর পুণ্যদান আল্লাহ পাকের জিম্মায় চয়ে যায়। অথবা কোন জন্তু তাকে কামড়িয়ে নেয় ফলে সে মারা যায়, ওর পুণ্যদান আল্লাহ তা'আলার দায়িত্বে রয়েছে। কিংবা সে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে, তখনও জিহাদের পণ্যদান আল্লাহ তাআলার জিম্মায় রয়েছে।' (বর্ণনাকারী বলেন যে, স্বাভাবিক মৃত্যুবরণের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এমন এক শব্দ ব্যবহার করেন) আল্লাহর শপথ! আমি এরূপ শব্দ রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর পূর্বে কখনও কোন আরববাসীর মুখে শুনিনি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) আরও বলেনঃ “যে স্বীয় স্থানে মারা যায় সেও জান্নাতের অধিকারী হয়ে যায়।'
মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমে রয়েছে, হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাঃ) বলেন, হযরত খালিদ ইবনে হিযাম (রাঃ) হিজরতের উদ্দেশ্যে আবিসিনিয়া অভিমুখে রওয়ানা হন। পথে তাঁকে একটি সর্পে দংশন করে এবং তাতেই তিনি মারা যান। তাঁর ব্যাপারেই এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। আমি আবিসিনিয়ায় পৌছেই গিয়েছিলাম এবং সংবাদ পেয়েছিলাম যে, হযরত খালিদ ইবনে হিযামও (রাঃ) হিজরত করে আসছেন। সুতরাং আমি তার আগমনের অপেক্ষা করছিলাম। আমি জানতাম যে, বানূ আসাদ গোত্রের তিনি ছাড়া আর কেউ হিজরত করে আসছে না এবং কমবেশী যত মুহাজির ছিলেন তাঁদের সবারই সাথে তাদের আত্মীয়-স্বজন ছিলেন। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ ছিলেন না। তাই আমি উদ্বেগের সাথে হযরত খালিদ (রাঃ)-এর অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আমি তাঁর শাহাদাতের সংবাদ প্রাপ্ত হই। এতে আমার বড়ই দুঃখ হয়। এ হাদীসটি অত্যন্ত গারীব। এটা গারীব হওয়ার এও একটি কারণ যে, এটা হচ্ছে মক্কার ঘটনা, আর এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় মদীনায়। কিন্তু খুব সম্ভব বর্ণনাকারীর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, আয়াতটির হুকুম সাধারণ, যদিও শানে নমূল এটা না হয়।
অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, হযরত জুমরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হিজরত করে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট পৌছার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নিকট পৌছার পূর্বে পথে তার মৃত্যু ঘটে। তাঁর ব্যাপারে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। আর একটি বর্ণনায় রয়েছে, হযরত আবু যামীরা ইবনে আয়িস আয্যারকী (রাঃ) বলেনঃ যখন (আরবী) -এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন আমি বলি যে, আমি ধনীও বটে এবং আমার উপায়ও রয়েছে কাজেই আমাকে হিজরত করতেই হবে। অতঃপর তিনি হিজরত করতঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট পৌছার উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করেন। তিনি তানঈম’ নামক স্থানে পৌছে মৃত্যুমুখে পতিত হন। তার সম্বন্ধে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।
তাবরানীর হাদীস গ্রন্থে রয়েছে, হযরত আবু মালিক (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “যে ব্যক্তি আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমার অঙ্গীকারকে সত্য জেনে এবং আমার রাসূলগণের উপর বিশ্বাস রেখে আমার পথে যুদ্ধের জন্য বের হয়, আল্লাহর জিম্মায় এটা রয়েছে যে, তিনি তাকে সৈন্যদের সাথে মৃত্যু দান করে জান্নাতে প্রবিষ্ট করবেন, অথবা সে আল্লাহর দায়িত্বে পুণ্য, গনীমত এবং অনুগ্রহসহ ফিরে আসবে। আর যদি সে স্বাভাবিকভাবে মারা যায় বা নিহত হয় কিংবা ঘোড়া বা উট হতে পড়ে গিয়ে মারা যায় অথবা কোন বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মারা যায় বা স্বীয় বিছানায় মারা যায় তবে সে শহীদ হবে।'
সুনান-ই-আবি দাউদে তার জন্যে জান্নাত রয়েছে' এটুকু বেশী আছে। এর কতগুলো সুনান-ই-আবি দাউদে নেই। হাফি আবু ইয়ালা (রঃ)-এর মুসনাদে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হয়, অতঃপর মারা যায়, কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্যে হজ্ব করার পুণ্য লিখা হয়। আর যে উমরার উদ্দেশ্যে বের হয় এবং মারা যায় তার জন্যে কিয়ামত পর্যন্ত উমরাকারীর পুণ্য লিখা হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে বের হয়, অতঃপর তার জন্যে কিয়ামত পর্যন্ত গাযীর পুণ্য লিখা হয়। এ হাদীসটিও গারীব।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings